ফ্রান্সে মেয়রের বাড়িতে ভাঙচুর-আগুন গ্রেপ্তার ৭১৯

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৫৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

নাহেল এম নামের এক অপ্রাপ্তবয়স্ক তরুণের মৃত্যু নিয়ে ফ্রান্সে পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ চলছে। শনিবার (০১ জুলাই) রাতে দেশটির রাজধানী প্যারিসের এক মেয়রের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষোভকারীরা।

এছাড়া ভাঙচুর ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একই রাতে প্যারিসসহ পুরো ফ্রান্স থেকে ৭১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিবিসি, সিএনএন’সহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার (০১ জুলাই) রাত দেড়টার দিকে রাজধানী প্যারিসের উপশহর লিলেস রোজেসের মেয়র ও রক্ষণশীল দল লেস রিপাবলিকান পার্টির নেতা ভিনসেন্ট জিনব্রানের বাসভবনে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা বাইরে রাখা মেয়রের গাড়ি ভাঙচুর ও বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।

ভিনসেন্ট জিনব্রান সে সময় জরুরি বৈঠকের জন্য বাড়ির বাইরে অবস্থান করছিলেন। তিনি বলেন, বাড়িতে দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন আমার স্ত্রী। রাত দেড়টার দিকে একদল বিক্ষোভকারী বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে।

রোববার (০২ জুলাই) এক বিবৃতিতে ভিনসেন্ট জিনব্রান বলেন, বিক্ষোভকারীরা চরম কাপুরুষতা দেখিয়েছে। গতকাল আমি জরুরি এক বৈঠকে বাড়ির বাইরে ছিলাম। এই সুযোগে রাত দেড়টার দিকে একদল লোক আমার বাড়ির গেট ভেঙে ঢুকে প্রথমে গাড়ি ভাঙচুর ও পরে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। আমার স্ত্রী তখন আমাদের দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন।

Nagad

উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন (মঙ্গলবার) ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপশহর নানতেরে ট্রাফিক আইন অমান্যের অভিযোগে নাহেল এম নামের এক অপ্রাপ্তবয়স্ক তরুণকে গাড়ি থামাতে বলেছিল পুলিশ; কিন্তু নাহেল সেই নির্দেশ না মানায় এক পুলিশ সদস্য তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে এবং তাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় নাহেল।

তার মৃত্যুর পর থেকেই বিক্ষোভ দানা বাঁধছিল নানতেরে। এই দিন বিকেলের দিকে নাহেলের মা মৌনিয়া এক ভিডিওতে তার ছেলেকে হত্যাকারী পুলিশ সদস্যের বিচার দাবি করেন। ফ্রান্সের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ভাইরাল হয়ে যায়। তার ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। নাহেল ও তার মা আলজেরীয় বংশোদ্ভুত এবং মুসলিম।

সারাদিন/০২ জুলাই/এমবি