সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে: কাদের

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২৩

ছবি: বাসস

নির্বাচনের সময় সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধন খুব যৌক্তিকভাবে হয়েছে। এটা নিয়ে অযথা সমালোচনা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। সরকার ইসিকে সহযোগিতা করবে।

বুধবার (৫ জুলাই) দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গত কয়েকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেমন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও তেমন হবে। নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনেই হবে। সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরা বন্ধুর মতো থাকুন। বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে। যেভাবেই হোক ক্ষমতা পেতে হবে। আওয়ামী লীগ হারলেই কেবল বিএনপির দৃষ্টিতে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নির্বাচন মানেই বিশৃঙ্খলা, জাল ভোট, ভোট কেন্দ্র দখল, এসব অপপ্রচারগুলো বাস্তবে সদ্য অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এর প্রতিফলন ঘটেনি। সেদিক থেকে বাংলাদেশে নির্বাচন ঘিরে আশার আলো দেখতে পাই।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন ও গণতান্ত্রিক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেটার বড় প্রমাণ আইন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন। নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে যারা প্রশ্ন করেন, গুজব ছড়ান, ষড়যন্ত্র করেন তাদের এ বাস্তবতা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের নির্বাচন, নির্বাচনি ব্যবস্থার প্রতি নজরে রাখা দরকার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনও এভাবে সম্পন্ন হবে। এখানে সরকার কোন হস্তক্ষেপ করবে না। শেখ হাসিনার সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে যারা অপপ্রচার চালিয়েছে, তাদের অপপ্রচার একেবারেই সত্য নয়। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও অন্যান্য দল, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণে ভোটার উপস্থিত ভালো ছিল। অনেকে অপপ্রচার করেছে যে, ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ নেই। নির্বাচন মানেই বিশৃঙ্খলা, জাল ভোট, এসব অপপ্রচার চালানো হয়; যা বাস্তবে ঘটেনি। সেদিক থেকে আমরা বাংলাদেশের নির্বাচনের আশার আলো দেখতে পাই।

Nagad

ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ হারিয়েছে- বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই অভিযোগ মিথ্যা। কেননা সবগুলো সিটি করপোরেশন ও উপনির্বাচনে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা শেখ হাসিনার সময়েই বেশি কার্যকর।

যৌথসভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।