আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস
সরকারি ওয়েবসাইটটির ‘ন্যূনতম’ সুরক্ষা ছিল না
সরকারের যে ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়েছে, সেটির ‘ন্যূনতম নিরাপত্তাব্যবস্থা’ ছিল না। ওয়েবসাইটে দেশের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যগুলো ছিল অরক্ষিত। সেখানে যে কেউ প্রবেশ করতে পারতেন। প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি সাইটগুলো কতটা নিরাপদ এবং নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে কি না, তা দেখভালের দায়িত্ব কার। ওয়েবসাইটের দুর্বলতায় তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়টি গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানে জানান তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। তিনি বলেন, এখানে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। অবশ্য ‘দায়’ যাঁদের, সেই সংস্থার কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনো কথাই বলছেন না। আইসিটি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ওয়েবসাইটটি পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ তথ্য সুরক্ষিত করতে কাজ করছে। তারা ‘এপিআই—অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (অন্য কোনো সার্ভার বা অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে যোগাযোগ)’ বন্ধ রেখেছে। সূত্র: প্রথম আলো


জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ও ভূমির ওয়েবসাইটের দিকে আঙুল
সরকারঘোষিত ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো থেকেই দেশের অনেক নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। নাম উল্লেখ না করলেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর তালিকার ২৭ নম্বর প্রতিষ্ঠান থেকে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানান তিনি। সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২৭ নম্বর প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ‘রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন’। আর নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ও ভূমি সেবার ওয়েবসাইটকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তারাও নাম উল্লেখ না করে জানিয়েছেন, সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভঙ্গ করে এনআইডির তথ্য সংরক্ষণ করে রাখার কারণেই দেশের অনেক নাগরিকের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। তবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত নন। সূত্র: কালের কণ্ঠ
তথ্য সুরক্ষায় চরম ব্যর্থতা
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আর্থিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের ওয়েবসাইট ঝুঁকিতে * সাইবার নিরাপত্তায় অনীহা পরিস্থিতি জটিল করেছে * ডার্ক ওয়েবে ডলারে মিলছে স্পর্শকাতর তথ্য
প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে বাড়ছে ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা। সরকারি বা বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই নাগরিকের তথ্য নেবে তাদেরই দায়িত্ব এগুলো সুরক্ষিত রাখা। কিন্তু অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই তথ্য সুরক্ষিত রাখতে চরমভাবে ব্যর্থ। অনেকেই আবার সুরক্ষা নিশ্চিতে উদাসীন, কেউ কেউ এ বিষয়ে অনীহাও প্রকাশ করেছে। ফলে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আর্থিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের ওয়েবসাইট। এই ঝুঁকি কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা নাগরিকদের স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। ডলারের (ক্রিপ্টোকারেন্সি) বিনিময়ে যা পাওয়া যাচ্ছে ডার্ক ওয়েবে। সাইবার নিরাপত্তা মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার বাংলাদেশি নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ করে মার্কিন অনলাইন পোর্টাল টেকক্রাঞ্চ। এ ঘটনার পর তথ্য সুরক্ষায় চরম ব্যর্থতার বিষয়টি ফের আলোচনায় এসেছে। এ প্রসঙ্গে রোববার তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী (আইসিটি) জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, ‘হ্যাক করে কেউ এই তথ্যগুলো নেয়নি, বরং ওয়েবসাইটের কারিগরি দুর্বলতা থেকে তথ্যগুলো ফাঁস হয়েছে। এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। ২৯টি ওয়েবসাইট ঝুঁকিপূর্ণ, এটা আগেই বলা হয়েছে। সেই তালিকায় থাকা ২৭ নম্বর প্রতিষ্ঠানটিই এই ধরনের অবস্থায় পড়ল।’ পরে ওই তালিকা খুঁজে দেখা যায়, সেখানে ২৭ নম্বর হচ্ছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের ওয়েবসাইট। অর্থাৎ আগে সতর্ক করার পরেও সংশ্লিষ্টরা কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেননি। সূত্র: যুগান্তর
গ্রামেও ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা
কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন সুরুজ মিয়া। তাঁর বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের মজিদচালা গ্রামে। জ্বর না সারায় রোববার ডাক্তার দেখাতে আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়েছে ২৭ বছর বয়সী এই যুবকের। সপ্তাহখানেকের মধ্যে কালিয়াকৈরে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়া দ্বিতীয় রোগী সুরুজ। বিষয়টি নিয়ে
উদ্বেগ প্রকাশ করে চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন, শহরাঞ্চল ছাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলেও এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, কয়েক দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত রোগী আসা বাড়ছে। সুরুজের আগেও এক নারীর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছিল। তিনি দু’দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। গতকাল সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সুরুজকে। তাঁদের দু’জনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিনা খরচে করা হয়েছে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) লুৎফর রহমান আজাদ বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের একজন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। অন্যজন চিকিৎসাধীন। সূত্র: সমকাল
উৎসে করে সর্বনাশ আবাসনে
জমি ফ্ল্যাট নিবন্ধনে বাড়ছে ২৪ থেকে ৬০ গুণ কর, বিনিয়োগ হারানোর শঙ্কা, ক্ষতিগ্রস্ত হবে সংশ্লিষ্ট ২০ হাজার কারখানা, বেকার হতে পারেন ১ কোটি কর্মী, বাড়বে বিদেশে অর্থ পাচার
নির্বাচনের বছরে জমি ও ফ্ল্যাট নিবন্ধনে উৎসে কর ২৪ গুণ একসঙ্গে বাড়ায় সর্বনাশা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে দেশের আবাসন শিল্পে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই কর ক্ষেত্রবিশেষে ৫০ থেকে ৬০ গুণ বেড়ে যেতে পারে। এতে আবাসন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২০ হাজার শিল্প কারখানা বন্ধ ও ১ কোটি মানুষ বেকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতিকে সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। অতিরিক্ত এই কর আরোপ আবাসন খাতের জন্য ভয়াবহ হুমকি বলেও মনে করছে বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএলডিএ)। গত ৬ জুলাই সংগঠনের সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ভূমি উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিকদের এই সংগঠনটি মনে করে, জমি নিবন্ধনে অতিরিক্ত কর আরোপের কারণে দেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগ কমবে। পাশাপাশি অনেকেই দেশের বাইরে বাড়িঘর করতে আগ্রহী হবেন, বাড়বে বিদেশে অর্থ পাচার।নিবন্ধনে উৎসে কর অতিরিক্ত বৃদ্ধিকে নজিরবিহীন বলে মনে করেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, আগে মানুষ জমিতে বিনিয়োগ লাভজনক ও নিরাপদ মনে করতেন। এখন এই অতিরিক্ত কর বৃদ্ধিতে ঢাকা বা বড় শহরে জমিতে বিনিয়োগ করা অলাভজনক মনে করবে। এ অবস্থায় জমি বেচাকেনা কমবে। এতে সরকার হারাবে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব। তারা বলেন, নির্বাচনের আগে হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত আবাসন খাতের জন্য বড় ধরনের হুমকি। এটি সরকারের বিরুদ্ধেও গভীর ষড়যন্ত্র। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
ডেঙ্গু ভয়ংকর আগস্ট-অক্টোবরে
একাকার শহর-গ্রাম
সারা দেশে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। এ বছর এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২ হাজার ৯৫৪ জন। মারা গেছেন ৭৩ জন। এটি হলো সরকারি হিসাব। বাস্তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি। শহর-গ্রাম সবখানেই এখন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। পরিস্থিতি এখনই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হলে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, আগের মাসগুলোর তুলনায় চলতি জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৩৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৫১৬ ও অন্যান্য জেলায় ৩২০ জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুধু তাদের হিসাব পেয়ে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না। তারা চিকিৎকের পরামর্শ নিয়ে বাসায় অবস্থান করেন। যারা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন না কিংবা বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নেন, তাদের তথ্য সরকারের কাছে থাকে না। ফলে ডেঙ্গু রোগীর প্রকৃত হিসাব পাওয়া কঠিন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এ বছর ডেঙ্গু জ্বর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার ছাড়া বাকি ৫৯ জেলায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘটেছে। শহর ও গ্রামের হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তদের অনেকে ছুটছেন হাসপাতালে। আবার কেউ ছুটছেন চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন, তাদের তথ্য সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন ও কন্ট্রোল রুম। সংস্থাটি ঢাকা শহরের ২০টি সরকারি, ৩৩টি বেসরকারি হাসপাতালসহ মোট ৫৩টি হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। এর বাইরে সারা দেশের বিভাগ ও জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সূত্র: কাল বেলা।
ব্যাংক যখন ক্ষুদ্রঋণদাতা, লাভ তখন উভয়পক্ষেরই
মোহাম্মদ মোস্তফা, পেশায় কামার। তাকে কাজ করতে হতো ম্যানুয়াল যন্ত্রপাতি দিয়ে। এসব সরঞ্জাম দিয়ে কাজ করতে পরিশ্রম হয় বেশি কিন্তু ফল পাওয়া যায় কম। তাই মোস্তফা ঠিক করলেন, তার কামারশালাকে যান্ত্রিকীকরণ করবেন। কিন্তু স্থানীয় এনজিওগুলোর কাছ থেকে চড়া সুদের ছোট ঋণ নিয়ে সেটি সম্ভব নয়। তবে ২০২০ সালে সময়োপযোগী ১০ লাখ টাকার একটি ব্যাংকঋণ মোস্তফার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এ ঋণের টাকা দিয়ে তিনি একটি বৈদ্যুতিক হিট মেশিন কিনে সেটি হাপরের জায়গায় বসান। আগে লোহা গলানো এবং গৃহস্থালি ও কৃষি-সরঞ্জাম তৈরির জন্য আগুনে বাতাস দিতে তাকে এই শ্রমঘন হাপর ব্যবহার করতে হতো।গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় মোস্তফার গ্রামের বাড়িতে স্থাপিত লোহার ওয়ার্কশপটি এখন ১০ থেকে ১৫ জন মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। পাশাপাশি এর সরবরাহ চেইনের ওপর নির্ভর করে আরও ১০০ জন মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
‘নির্বাচন বাংলাদেশের, দৌড়ঝাঁপ বিদেশিদের’
দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর, “নির্বাচন বাংলাদেশের, দৌড়ঝাঁপ বিদেশিদের”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এবারও বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে চলছে বিদেশি কূটনীতিকদের নানা তৎপরতা। গতকাল বাংলাদেশ সফরে এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার ঢাকা আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। চলতি মাসের শেষভাগে আসছেন ইইউর মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি। চলতি মাসে আসার সম্ভাবনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি জোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজের।সবকটি সফরেই বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় গুরুত্ব পাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং শ্রম অধিকারের মতো বিষয়গুলো। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।
২০২৫ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার প্রায় ৬০ শতাংশ অব্যবহৃত থাকবে
দেশে বিদ্যুতের বর্তমান ইনস্টল ক্যাপাসিটি ২৪ হাজার ২৬৩ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ বাদে)। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাব অনুযায়ী, আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ সক্ষমতায় যুক্ত হবে আরো অন্তত সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। এ সক্ষমতা যুক্ত হলে দেশে সংশ্লিষ্ট সময়ে মোট সক্ষমতা তৈরি হবে ৩৮ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটের কিছু বেশি। অথচ দেশে বর্তমানে (জুলাই ২০২৩) বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে গড়ে সাড়ে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। চলতি বছর বাদ দিয়ে ২০২৪ ও ২০২৫ সালে প্রতি বছরে ১০ শতাংশ হারে অর্থাৎ বছরে ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট করে চাহিদা বৃদ্ধি পেলে সংশ্লিষ্ট বছরে চাহিদা দাঁড়ায় ১৬ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। সে হিসাবে ২০২৫ সাল নাগাদ যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি হবে, তার প্রায় ৬০ শতাংশই অব্যবহৃত থাকবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে তার অর্ধেকেরই কিছু বেশি ব্যবহার হচ্ছে। বাকি সক্ষমতার কেন্দ্র বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে বিপিডিবি। সংস্থাটির বিদ্যমান আর্থিক যে পরিস্থিতি তাতেই বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়ের সংস্থান হচ্ছে না। অতিরিক্ত সক্ষমতার যুক্ত হলে বিপিডিবির কাঁধে যে পরিমাণ ব্যয়ের বোঝা যুক্ত হবে তা সামাল দেয়া কষ্টসাধ্য হবে। সূত্র: বনিক বার্তা ।
কিশোর গ্যাংয়ের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। গতকাল রোববার গভীর রাতে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের রাজ্জাক প্লাজার পেছনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাতে রাজ্জাক প্লাজার পেছনে কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে চার যুবককে কুপিয়ে জখম করেন। তখন দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হলে অন্তত ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত জড়িতদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়