‘সহিংসতায় যাদের সংশ্লিষ্টতা থাকবে না, তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:২২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২৩

সহিংসতায় যাদের সংশ্লিষ্টতা থাকবে না, তাদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে-বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, শনিবারের (২৯ জুলাই) বিএনপির সহিংসতার ঘটনায় ৭০০ জনের মতো ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সহিংসতায় যাদের সংশ্লিষ্টতা থাকবে না, তাদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে কত জনকে ইতোমধ্যে আদালতে পাঠানো হয়েছে, তার সঠিক সংখ্যা তিনি জানেন না।

রোববার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোনও ধরনের পরিবেশ, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, জাপান ও কোরিয়ান প্রতিনিধি ছিল। নির্বাচন কেমন হবে সেসব বিষয়ে তারা পর্যবেক্ষণ করছে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি পর্যবেক্ষকরা জানতে চেয়েছেন, আমাদের প্রস্তুতিটা কী ধরনের রয়েছে। আমাদের পুলিশ, অন্য বাহিনী এবং অন্য সব সংস্থা এই নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত আছে কি না। এখানে হয়তো সহিংসতা আসবে। এই যে অন্যান্য দল নির্বাচন বয়কট করছে, ক্রমাগত তারা নানান ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে… এমতবস্থায় আমরা নির্বাচনটা করতে পারব কি না—এ সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে তাদের বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছি।’

মন্ত্রী আরও বলেন, একাত্তরের পর থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলোতে সঠিক ভূমিকা রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এখানে মন্ত্রণালয়ের কোনও ভূমিকা থাকবে না। মুখ্য ভূমিকায় থাকবে ইলেকশন কমিশন। তাদের তত্ত্বাবধায়নেই আমাদের যত সিকিউরিটি ফোর্সগুলো থাকবে, প্রশাসনও থাকবে। আমরা বলেছি, এই সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাউকে বদলি-পদায়ন কিছুই করতে পারবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা এসেছেন আমরা নির্বাচনের জন্য কতটা প্রস্তুত। আমরা তাদের বলে দিয়েছি আমরা প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশন যেদিন থেকে তফসিল ঘোষণা করবে সেদিন থেকে আমাদের পুরো ফোর্স তাদের তত্ত্বাবধায়নে চলে যাবে। শুধু ফোর্স নয়, যা কিছু আছে সবই তাদের নেতৃত্বে চলে যাবে। নির্বাচনের দিন কী করে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা হবে সে বিষয় আমরা তাদের জানিয়েছি।

Nagad

নির্বাচনকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো ভূমিকা থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জানিয়েছি, এ সময় মুখ্য ভূমিকায় চলে যাবে নির্বাচন কমিশন। আমাদের যত নিরাপত্তা বাহিনী; সবগুলো নির্বাচনের সময় কমিশনের তত্ত্বাবধানেই থাকবে, অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও থাকবে না। আমরা এতটুকু বলেছি, সেসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাউকে বদলিও করতে পারবে না, আবার কাউকে পদায়নও করতে পারবে না। সবকিছুই নির্বাচন কমিশনই নিয়ন্ত্রণ করবে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা তো কনস্টিটিউশনে (সংবিধান) নেই, কাজেই এটা (আলোচনায়) আসার কোনো প্রশ্নই আসে না।’