তিন কারণে ঝালকাঠিতে সড়কে ১৭ জন নিহত: তদন্ত কমিটি

ঝালকাঠি সংবাদদাতাঝালকাঠি সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

ঝালকাঠির ছত্রকন্দায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহতের ঘটনায় তিনটি কারণ শনাক্ত করেছে জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি। একই সাথে বেশ কয়েকটি সুপারিশও করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) সকালে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মামুন শিবলী এই তথ্য জানান।

তদন্ত কমিটির প্রধান মামুন শিবলী জানান, দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির জন্য প্রথমত বাসটির চালকের খামখেয়ালিপনা, দ্বিতীয়ত চালকের অপেশাদারী আচরণ এবং তৃতীয়ত বিধি ভেঙে সড়কের পাশে বড় পুকুর খনন করা হয়েছিল।

দুর্ঘটনাকবলিত বাস বাশার স্মৃতির ফিটনেস থাকলেও চালক মোহন খানের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল হালকা গাড়ি চালানোর। কিন্তু তিনি বাসের মত একটি ভারি যানবাহন চালাচ্ছিলেন দীর্ঘদন ধরেই।

মোহাম্মদ মামুন শিবলী বলেন, তদন্তে আমাদের কাছে প্রতিয়মান হয়েছে সড়কের পাশের বড় ও গভীর পুকুরটি মৃত্যুকূপ হিসেবে রুপ নিয়েছে। ঝালকাঠি থেকে পিরোজপুর বা মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা সড়কটি অত্যন্ত পুরাতন। এই সড়ক প্রশস্ত না করায় জমির ব্যক্তি মালিকানারা সেখানে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করেছে। সড়কটির দুই পাশে যদি মহাসড়কের মতই ১০/১২ ফুট জমি অধিগ্রহণ করা থাকতো তাহলে দুর্ঘটনা ঘটলেও এত প্রাণহানি হতো না।

তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, বাস মালিক পক্ষের উচিত কার হাতে গাড়ি দিচ্ছেন তার যথাযথ মনিটরিং করা। তদন্তকারী আরও দুটি সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে প্রকৃতপক্ষে চালক মোহন খানের খামখেয়ালীপনায় দুর্ঘটনা ও ১৭ জনের প্রাণহানি হয়। দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার আগ মুহূর্তে বাসের চালক তার সিটে বসে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা নিয়ে তর্ক করছিলেন আর মোবাইল চালাচ্ছিলেন বলেও তদন্তে উঠে আসে।

Nagad

এছাড়া বাস মালিক সমিতি ও মালিক পক্ষ আয় বাড়ানোর ওপর জোর দিলেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, পরিবহন চলাচলে নির্দেশনা মেনে চলতে গরিমসির কথা উঠে এসেছে। এসব প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে, সম্প্রতি সড়কে গাড়ির চাপ বাড়লেও সে অনুপাতে সড়ক প্রশস্ত না করার প্রসঙ্গ।

সারাদিন/০৩ আগস্ট/এমবি