নির্বাচনকে ঘিরে অপপ্রচার বন্ধে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সহায়তার আশ্বাস
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর অপপ্রচার বন্ধে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, আজকে আমরা ফেসবুকের একটা টিমের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমাদের যে টেকনিক্যাল লোক আছে, তাদের নিয়ে বসেছিলাম। কারণ এখানে কিছু টেকনিক্যাল ব্যাপার ছিল। মূলত ব্যাপারটা ছিল ফেসবুকে যেসব অপপ্রচার হয়, সেই অপপ্রচারগুলো কিভাবে রোধ করা যায়। বিশেষ করে ঘৃণাত্মক মন্তব্য, সাম্প্রদায়িকতা বা অন্যান্য যেসব ভায়োলেশন হয় সেগুলো তারা ডিলিট করবে, রিমুভ করে দেবে, ব্লক করবে। মূলত এই ছিল মিটিংয়ের বিষয়।’


বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে ইসির সঙ্গে বৈঠকে বসে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা ইনকরপোরেশনের একটি টিম। বৈঠকে ইসিকে এমন আশ্বাস দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকটি হওয়ার থাকলেও পরে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়।
এদিকে আগামী অক্টোবরের শেষ অথবা নভেম্বরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আর ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে নানা কর্মসূচি শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। সময় যত গড়াবে নির্বাচন নিয়ে তৎপরতাও বাড়বে। ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়ানোর আশঙ্কা আছে।
এমন পরিস্থিতিতে অপপ্রচার রোধে ফেসবুকের সহায়তা নিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই অংশ হিসেবে আজ মেটা ইনকরপোরেশনের একটি টিমের সঙ্গে বসে নির্বাচন কমিশন।
মিটিং শেষে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি।
আজকের আলোচনাকে প্রাথমিক আলোচনা উল্লেখ করে অশোক কুমার আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের একজন ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য। তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। আমাদের কাছে যেটা নেগেটিভ প্রতীয়মান হবে আমরা তাদের সেটা জানাব। পরে তারা সেটাকে রিমুভ করে দেবে।’
শুধুমাত্র নির্বাচনকেন্দ্রিক বিভিন্ন কনটেন্টের বিষয়ে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে উল্লেখ করে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর এই কার্যক্রম শুরু হবে। কমিশন নয়, ফেসবুক কর্তৃপক্ষই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারাই কমিশনের কাছে সময় চেয়েছিল।’