নাইজারে বাড়ছে উত্তেজনা, লড়াইয়ের আশঙ্কা

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলির জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অফ ওয়াস্টার্ন আফ্রিকান স্টেটস (ইকোয়াস) রোববার পর্যন্ত নাইজারের সেনা শাসককে সময় দিয়েছিল। সেনা সেই সময়সীমাকে গুরুত্ব দেয়নি।

নাইজারে সদ্য গঠিত সেনা শাসককে ‘ইকোয়াস’ জানিয়েছিল, রোববারের (০৬ আগস্ট) মধ্যে শাসনক্ষমতা দেশের গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ফেরত দিতে হবে। নইলে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো যৌথভাবে নাইজারের সেনা শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করবে।

কিন্তু বাস্তবে নাইজারের হুন্টা সরকার সেই হুমকিতে কান দেয়নি। তারা দুইটি ঘোষণা দিয়েছে। এক, দেশের আকাশসীমা আপাতত বন্ধ রাখা হবে। বহির্শত্রুর আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতেই এই সিদ্ধান্ত বলে তারা জানিয়েছে। দুই, বিদ্রোহী সেনা অফিসারদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদ দেয়া হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট পদে বসেছেন সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানের চিফ গার্ড।

দেশের সংবিধান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত সরকারি দপ্তর থেকে সাবেক কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশে সামরিক শাসন জারি করা হয়েছে।

দেশের সাবেক প্রধান এখনো সেনার জিম্মায়। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো তার হাতেই পুনরায় ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা একত্রে যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তাতে বলা হয়েছিল, রোববারের মধ্যে সেনা ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে তারা আক্রমণ করতে বাধ্য হবেন। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি আরো একটা যুদ্ধ শুরু হবে নাইজারে?  তথ্যসূত্র- রয়টার্স, এএফপি, ডয়েচে ভেলে

Nagad

সারাদিন/০৭ আগস্ট/এমবি