রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কমিশনের কিছু করার নেই: ইসি রাশেদা

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কমিশনের কিছু করার নেই। সবসময় বলি, বিশ্বাস করি, এসব প্রশমিত হয়ে আসবে। আলটিমেটলি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ভোট করায় আমাদের চেষ্টা থাকবে নিরন্তর। ভোট মানেই চ্যালেঞ্জ। ইভিএমে হোক, ব্যালটেই হোক। চ্যালেঞ্জ উত্তরণে যা যা করা দরকার তা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটা বড় স্টেপ- দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়া সবখানে ব্যালট পেপার যতটা সম্ভব সকালে পাঠানোর চেষ্টা করবো। এসব নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা চলছে।

রোববার (২০ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। দলীয় সরকারের অধীনে ভোট করায় কোনো ধরনের চাপ ছিল না বলে জানান এ নির্বাচন কমিশনার।

দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে কোনো ধরনের চাপ ছিল না দাবি করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা এতগুলো ভোট করেছি, আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। এখনও আমাদের মাথায় কোনো চাপ নেই। কিন্তু বাইরে থেকে মানুষ ধারণা করতে পারে, এরকম-ওরকম চাপ রয়েছে। সত্যিকার অর্থে কোনো তরফ থেকে বলা হয়নি— এরকম করে দেন, ওরকম করে দেন। কোনো দিক থেকেই কমিশনের কেউই চাপের মধ্যে নেই। এটা জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের আসলে একটা চতুর্মুখী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ভোট করতে গেলে আমাদের যে ধরনের কাজ করতে হয়, সব শুরু করে দিয়েছি। অনেক এগিয়ে গেছে ও চলছে। তোড়জোড় চলছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা তৈরি করা। আগামীকাল (সোমবার) কমিশন সভায় উঠবে।

কমিশনার বলেন, অস্থিরতা তো সারাজীবন থাকবে? কোনোদিন রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল না? অতীতকে আমরা আঁকড়ে ধরবো না। অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে এগোতে হবে। আমরা এখনও আশাবাদী বিএনপি ভোটে আসবে। দেড় বছর ধরে বরাবরই বলে আসছি, তারা আসবে। রাজনীতির কূটকৌশল, কে কীভাবে এগোবে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত বলা কঠিন। এটা তারা কীভাবে নিচ্ছেন, কি কারণে করছেন, কি চিন্তা করছেন এটা তাদের ব্যাপার। আমরা কিন্তু আশাবাদী, কমিশন মনে করে তারা ভোটে আসবে।

রাশেদা সুলতানা বলেন, আস্থায় রাখতে না পারলে, উনারা (বিএনপি) মাথায় নিচ্ছে না আস্থায় আনা যায়। মাথায় নিলেই আস্থায় এসে যাবে। আমার ধারণা, একটা পর্যায়ে ওনারা আস্থায় নেবেন, ভোটে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস।

Nagad