ওয়াগনার প্রধানের বিমানে হামলার আশঙ্কা রাশিয়ার
রাশিয়ার বেসরকারি আধা-সামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে বহনকারী একটি জেট বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১০ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৩ আগস্ট) রাতে মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে যাওয়ার পথে তিয়েভের এলাকায় ওই বিমানটি ভেঙে পড়ে। রাশিয়া জানিয়েছে, বিমানে যাত্রী ও কর্মী মিলিয়ে দশজন ছিলেন, সকলেই মৃত।


রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়েশন জানিয়েছে, যাত্রী তালিকায় ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের নাম ছিল। মোট সাতজন যাত্রী ও তিনজন বিমানকর্মী ওই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে ছিলেন।
এমনিতে যে বিমানে করে প্রিগোজিন যাচ্ছিলেন বলে খবর, সেটিকে নিরাপদ বিমান বলে মনে করা হয়। গত ২০ বছরে এমব্রেয়ার ১৩৫ বিমান একবারই দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল।
ভাগনার বাহিনীর সাথে যুক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেলে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার সেনা বিমানটিকে গুলি করে নামিয়েছে। এই খবর দিয়েছে বিবিসি।
ফ্লাইট ট্রাকার ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ৩০ সেকেন্ড আগেও সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। তবে আকস্মিক দুর্ঘটনায় পড়ে বিমানটি।
রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি টিভের অঞ্চলের কুজেনকিনো গ্রামের কাছে খাড়াভাবে মাটিতে আছড়ে পড়ে।
সুইডিশ ফ্লাইট ট্র্যাকিং সংস্থা ফ্লাইটরাডার২৪-এর কর্মকর্তা লান পেটচনিক বলেন, বিকেল ৩টা ১৯ মিনিট বিমানটি আকস্মিক খাড়াভাবে মাটিতে আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার সময়ে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের ব্যবধানে বিমানটি তার ২৮ হাজার ফিট উচ্চতা থেকে ৮ হাজার ফিট নিচে নেমে আসে।
লান পেটচনিক বলেন, যাই ঘটেছে তা খুব দ্রুত ঘটেছে। মনে হচ্ছে বিমানের সাথে তারা যুদ্ধ করেছিলেন। এরপর বিমানটি নাটকীয়ভাবে পড়ে যায়। তবে এতে দুর্ঘটনার সময়ে কোনো ত্রুটি দেখা দেয়নি।
এক ভিডিওতে দেখা গেছে, দুর্ঘটনার সময়ে বিমানটি সোজা নাক বরাবর নিচে পড়েছে এবং এর পেছনে ধোঁয়ার কুন্ডলি দেখা গেছে।
রাশিয়ার তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা সামনে রেখে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে নাম অপ্রকাশিত রেখে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হয়তো গুলি করে অথবা এক বা একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে বিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছে। যদিও বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
সারাদিন/২৪ আগস্ট/এমবি