জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন: ইসি আনিছুর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১:০৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩

২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, তবে তারিখ ঠিক করিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা আজকে থেকে শুরু হয়ে গেল।’

আজ শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আনিছুর রহমান বলেন, ‘ব্যালটে ভোট হবে। কাজেই চ্যালেঞ্জটা বেশিই থাকবে। নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, আইনে প্রিসাইডিং অফিসারের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। এগুলো জানতে হবে।’

এদিকে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সংসদ বহাল রেখে আগামী নির্বাচন করতে হলে, ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে আগের ৯০ দিনের মধ্যে তা করতে হবে। অর্থাৎ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হবে চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে।

প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘জনগণ নিজের ভোট দিতে পারলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। বিশ্বাসযোগ্য করতে শুধু সুষ্ঠু নয়, অংশগ্রহণমূলক ভোট হতে হবে। জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারলেই ভোট শতভাগ সুষ্ঠু হবে।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোট সুষ্ঠু করার জন্য আইনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

Nagad

নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমাদের চাকরিতে ঢুকেছি তখন নির্বাচনে কোনোরকম প্রশিক্ষণই হতো না। কিন্তু নির্বাচন তো ঠিকই করতাম। তারপরও নির্বাচন নিয়ে কোনোরকম কথাবার্তা হতো না। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে ততই সবকিছু জটিল হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে নির্বাচনও জটিল হয়ে গেছে। এই জটিল হওয়ার কারণে এতো আইনকানুন ও এতো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। আমাদের নির্বাচন আইন আছে, সেগুলো আপনারা দেখে বা পড়ে নিবেন। আপনাদের কাছে বেশি কথা না বলাই ভালো। নিজে পড়লেই জানা যায় সবকিছু।

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আপনারা আইনকানুনগুলো ভালো করে দেখে নেবেন, পড়ে নেবেন। নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেন, কঠিন প্রশিক্ষণ সহজ যুদ্ধ। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করার জন্য সকলের সহযোগিতা দরকার। যত সুন্দরভাবে প্রশিক্ষণ হবে, ততই একটা সুন্দর নির্বাচন হবে। আমরা দায়িত্ব নিয়ে ১ হাজার নির্বাচন সুন্দর ও অবাধভাবে করেছি। কোনো কথা ওঠেনি সেসব নির্বাচন নিয়ে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভূমিকা অনেক। একটা সুন্দর সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনে ভূমিকা রাখেন।

সারাদিন. ২ সেপ্টেম্বর