ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্তে ব্যাপক সংঘর্ষ, ইসরায়েলের যুদ্ধ ঘোষণা
ফিলিস্তিনের গাজার হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের আবারও সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটি গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫ হাজারেরও বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে। বড় ধরনের এই হামলার পর যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী।
কয়েক ডজন হামাস যোদ্ধা দক্ষিণ ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করে আকস্মিক হামলা করেছে বলে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম গুলো জানাচ্ছে।


দ্য টাইমস অব ইসরায়েলর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে পাল্টা অভিযানের পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। সশস্ত্র বাহিনী বলছে, হামাসকে এঘটনার দায় এবং পরিণতি বহন করতে হবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) পক্ষে সেখানকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালেন্ত জানিয়েছেন, এই হামলার সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত আইডিএফ ইতোমধ্যে ময়দানে নেমেছে।
শনিবার দুপুরের আগে এক বিবৃতিতে হামাসের শীর্ষ নেতা মোহাম্মেদ দেইফ বলেন, ‘আমরা অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম শুরু করেছি। শনিবার ভোর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে প্রায় ৫ হাজার রকটে ছুড়েছি। ইসরায়েলকে আমরা উপযুক্ত জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশপ্রেমিক সব ফিলিস্তিনিকে এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।’
তুর্কি সংবাদ মাধ্যম টিআরটি জানায়, দখলকৃত পশ্চিম তীরের শহর হুওয়ারাতে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়, পরে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা নতুন করে সহিংসতা ছড়ালে আহত আরও নয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে গাজা থেকে প্রতিরোধ যুদ্ধের ডাক দেয় হামাস।
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দেইফ এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ (অভিযান আল-আকসা বন্যা) ঘোষণা করছি । শত্রুর অবস্থান, বিমানবন্দর এবং সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে আমরা প্রথমেই আঘাত করার ঘোষণা করছি। এই পর্যন্ত গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে।