যুদ্ধকালীন জরুরি সরকার গঠন ইসরায়েলের, অভিযান চালানোর ঘোষণা
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে। এই যুদ্ধে উভয় দেশেই ২৩ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই জরুরি সরকারের ছোট্ট মন্ত্রিসভায় সদস্য হিসেবে রয়েছেন কেবল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, বিরোধী নেতা বেনি গ্যান্টজ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।
বুধবার (১১ অক্টোবর) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও বিরোধী দলীয় নেতা বেনি গান্টজ জরুরি সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছান। দুই পক্ষের এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।


এই অবস্থায় হামাসের ঘাঁটি বলে পরিচিত গাজায় অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি এই অভিযানে প্রত্যেক হামাস সদস্যের ‘মৃত্যু পরোয়ানা’ ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গোষ্ঠীটির সব সদস্যকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে।
ইসরায়েলের সেই ঘোষণার পর দেশটির বিমানবাহিনী গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা চালায়। এসব হামলায় প্রাণহানি ১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে গাজার। এই অবস্থায় গাজায় স্থল অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এখনো বিষয়টি প্রস্তুতি পর্যায়ে রয়েছে।