২৪ ঘন্টায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:২০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২৩

সংগৃহীত ছবি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দেইর আল বালাহ শহরে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর রাতভর অভিযানে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪৩ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৬২ জন। শহরটির বৃহত্তম হাসপাতাল আল আকসা মারটেয়ার থেকে সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদম্যধম সিএনএন। এছাড়া ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় এক রাতেই কমপক্ষে ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে চার হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত চার হাজার ৬৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের মধ্যে এক হাজার ৮৭৩ জনই শিশু। এছাড়া আরও এক হাজার ১০১ জন নারী এবং এক হাজার ৬৭৭ জন পুরুষ নিহত হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে যে, নিহতদের মধ্যে ৮৩৯ জনই গাজার দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দা। এর আগে উত্তরাঞ্চলের লোকজনকে দক্ষিণাঞ্চলে পালাতে বলা হয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় আরও ১৪ হাজার ২৪৫ জন আহত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলের উত্তরাংশে ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। সেদিন কয়েকশ’ হামাস যোদ্ধা বুলডোজার দিয়ে সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলের প্রবেশ করেন, শত শত ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের হতাহত করেন এবং ইসরায়েল থেকে ২ শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যান।

এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের নাগরিকরা রয়েছেন এবং তাদের সবাই বেসামরিক নাগরিক।

Nagad

হামাসের এই হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী, (আইএএফ) যা এখনও চলছে। গত ১৬ দিনের যুদ্ধে এ পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক এবং গাজায় ‍নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ হাজার ৬০০ জনে।

হামাসের নেতারা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য এই যুদ্ধ শুরু করেছেন তারা। অন্যদিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামাসকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করেই যুদ্ধের ময়দান ছাড়বে আইডিএফ।