খাজা টাওয়ারে আগুন, বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সেবা সচল রাখার চেষ্টা

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৪৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৩

রাজধানীর মহাখালীর বহুতল ভবন খাজা টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবায় যে বিঘ্ন ঘটেছিল, তা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। ঠিক করতে- আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ভেতরে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের দুই থেকে পাঁচজন কর্মীকে ভেতরে প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে এটি ঠিক হতে এক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে জানিয়েছে সংগঠন- আইএসপিএবি।

আইএসপিএবি জানায়, ভবনটিতে প্রবেশ করে ডেটা সেন্টার চালু করতে পারলে ইন্টারনেট সেবা দ্রুতই মোটামুটি স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে।

পরিস্থিতি দেখে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঞা।

তিনি বলেন, ইন্টারনেট সেবাদাতাদের কোনো সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা নয়। কারণ, সেগুলো সুরক্ষিত থাকে। তবে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এখনো জানা যায়নি।

Nagad

নাজমুল করিম বলেন, নিরাপত্তার কারণে ভবনে প্রবেশের অনুমতি না পাওয়ায় ডেটা সেন্টার চালু করা যাচ্ছে না। অন্তত একটা ডেটা সেন্টার চালু করা গেলে ইন্টারনেট আজই আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। জেনারেটর দিয়ে এখনো ডেটা সেন্টার চালু করা সম্ভব। তবে এ জন্য তাঁদের ভবনে প্রবেশ করতে হবে।

এদিকে, খাজা টাওয়ার এখনো ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে। ভবনের ভেতরে বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করছেন তারা। জরুরি সেবা বিবেচনায় শুধুমাত্র ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এমদাদুল হক বলেন, এনআরবি ডাটা সেন্টারটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হাই-সেফটির কারণে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি সচল রয়েছে। এগুলো বের করে অস্থায়ী ডাটা সেন্টারে বসাতে পারলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে। ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে বেশ সময় লাগবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আগুন লাগে ভবনটিতে। বিকেল ৪টা ৫৯ মিনিটে খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। শুরুতে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট। পরে ধাপে ধাপে আরও ৯টি ইউনিট যোগ দেয় সেখানে। সন্ধ্যা ৬টা ১০মিনিটে তাদের সহায়তায় যোগ দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী।

এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে।