আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২৩

গাজায় বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান রেড ক্রসের

গাজায় বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরিভিত্তিতে আবেদন জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। ইসরায়েল জানিয়ছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে তারা হামলা সম্প্রসারণ করতে যাচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, হাসাসের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ দ্বিতীয় পর্যায়ে গড়াচ্ছে। এ অবস্থায় আইসিআরসি গাজার বেসামরিক মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আবেদন জানাল।আইসিআরসির প্রেসিডেন্ট মিরজানা স্পোলজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মানুষের দুর্ভোগের অসহনীয় মাত্রা দেখে আমি হতবাক এবং সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোকে এখনই সংযত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’আইসিআরসির প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, এত বেসামরিক মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। এটা অগ্রহণযোগ্য যে ব্যাপক বোমাবর্ষণের মধ্যে বেসামরিক মানুষের গাজায় যাওয়ার জন্য কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। এমনকি সেখানে সামরিক অবরোধের ফলে বর্তমানে পর্যাপ্ত মানবিক কর্মকাণ্ড চালানো সম্ভব নয়। এটি একটি সর্বনাশা ব্যর্থতা, যা বিশ্বের সহ্য করা উচিত নয়। সূত্র: প্রথম আলো

সিএনএনের বিশ্লেষণ
না চাইলেও যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে ইরা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় কট্টরপন্থী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত চলছে। এর জের ধরে হামাস ছাড়াও ইরানের সমর্থনপুষ্ট লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের আরেক সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে সংঘাতের আশঙ্কা করছে ইসরায়েল। এতে উত্তর ইসরায়েলে যুদ্ধের আরেক রণাঙ্গন খুলতে পারে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এমনকি হামাস ও হিজবুল্লাহর সমর্থক ইরানের সঙ্গেও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে ইসরায়েল।বিশ্লেষকদের একাংশের ভাষ্য, তেহরান আশঙ্কা করছে, তারা ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। ইরানের সমর্থনপুষ্ট আঞ্চলিক ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো স্বাধীনভাবে গাজার যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না-ও থাকতে পারে। তেল আবিবের ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের ইরান প্রগ্রামের প্রধান সিমা শাইন বলেন, ইরানের সঙ্গে এসব গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতার অন্যতম প্রধান কারণ তাদের ইসরায়েলবিরোধী নীতি। এই গোষ্ঠীগুলো ওপর ইরানের প্রভাব থাকলেও তাদের সব কার্যক্রম তেহরানের নিয়ন্ত্রণে নেই। সূত্র: কালের কণ্ঠ

হামাসের টানেলে মজুত চার মাসের যুদ্ধসামগ্রী

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার মধ্যে লড়াই অব্যাহত রাখতে পারবে কি হামাস– এমন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। গাজায় পানি ও খাবারের তীব্র সংকটে টিকে থাকতে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠনটির রয়েছে পর্যাপ্ত খাবার ও নিত্যপণ্যের মজুত। বছরের পর বছর ধরে তারা গাজার ভূগর্ভে মাইলের পর মাইল টানেল বা সুড়ঙ্গ নির্মাণ করেছেন। যুদ্ধে টিকে থাকতে কার্যত সেখানে সবকিছু মজুত রাখা হয়েছে। শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। আরব ও ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, রকেট ও যানবাহনের জন্য হামাসের কাছে লাখ লাখ গ্যালন জ্বালানি তেল রয়েছে। বিস্ফোরক, দাহ্য পদার্থ ও অন্যান্য জিনিসপত্র আছে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত খাবার, পানি ও ওষুধ মজুত রেখেছে তারা। লেবাননের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, গাজায় হামাস সদস্যের সংখ্যা আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ হাজার। কোনো ধরনের সরবরাহ না থাকলেও তারা তিন থেকে চার মাস যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবেন। সূত্র: সমকাল

Nagad

নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল স্টেশন বন্ধ করে দিল বিক্ষোভকারীরা
গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি দাবিতে কয়েক শ বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করায় নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এ ঘটনা ঘটেছে বলে নগরীর মেট্রোপলিটন পরিবহন কর্তৃপক্ষ (এমটিএ) জানিয়েছে। নিজেদের ওয়েবসাইটে এমটিএ বলেছে, ‘একটি প্রতিবাদের কারণে গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনাল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত এটি বন্ধ থাকবে।’ যাত্রীদের বিকল্প স্টেশনগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে তারা। আর অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করার পরিকল্পনা করতে বলেছে। স্টেশন ভবনের ভিতরে টাঙানো একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘মৃতদের জন্য শোক এবং জীবিতদের জন্য নরকের মতো লড়াই করুন।’ রয়টার্স জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে আসা ছবিগুলোতে বিক্ষোভকারীদের ট্রেন স্টেশনটিতে ও মিডটাউন ম্যানহাটনের ৪২তম সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। আইন প্রয়োগকারীরা এখান থেকে বহু বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে। ‘জুইশ ভয়েস ফর পিস’ নামের একটি ইহুদি সংগঠন এ বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। ইনস্টাগ্রামে তাদের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লম্বা একটি লাইনকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে যাদের পরনে ‘এখনই গোলাগুলি বন্ধ কর’ এবং ‘আমাদের নামে নয়’ লেখা টি-শার্ট আর তাদের হাত পেছনে রাখা। পোস্টে গোষ্ঠীটি লিখেছে, ‘দুই দশকের মধ্যে এটিই সম্ভবত নিউইয়র্কে হওয়া সবচেয়ে বড় গণবিক্ষোভ সমাবেশ। শত শত ইহুদি ও তাদের মিত্ররা গ্রেফতার হচ্ছে।’ শুক্রবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনি ভূখন্ড গাজায় তাদের আকাশ ও স্থল হামলার পরিধি বাড়িয়েছে। আর গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস বলেছে তারা ‘পূর্ণ শক্তিতে’ ইসরায়েলি আক্রমণ মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

বড় যুদ্ধের শঙ্কা এখন সত্যি

প্রায় ২০ মাস ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে টালমাটাল পৃথিবীর রাজনীতি, অর্থনীতি, সম্পর্ক। এর মধ্যে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আকস্মিক ইসরায়েলে হামলা চালালে শুরু হয় নতুন এক যুদ্ধের। দুই পক্ষই যুদ্ধ ঘোষণা করে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। হামাস-ইসরায়েলের এ যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বও দুইভাগে ভাগ হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় নারী-শিশুর হতাহতের ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকাসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের নেতারা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ তার ইউরোপ ও এশিয়ার মিত্ররা বলছে, ইসরায়েল আত্মরক্ষার জন্য গাজায় অভিযান চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র কেবল মৌখিক পক্ষ নিয়েই থামেনি। পাশাপাশি দেশটি উসকানি দিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলকে, দিচ্ছে অস্ত্রও। সেই অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে গাজার নারী-শিশুদের ওপর। শেষ অবধি গতকাল থেকে গাজায় ইসরায়েল যে স্থল অভিযান শুরু করেছে তার পেছনেও আছে যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ফলে অঞ্চলটি আরও বড় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল।বিবিসি বলছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান প্রসারিত হচ্ছে বলে গত শুক্রবার ইসরায়েলের ঘোষণার পর দেশটির সেনাবাহিনী রাত থেকেই গাজায় বোমা হামলা জোরদার করেছে। শুক্রবার রাতে মুহুর্মুহু ইসরায়েলি বোমার আঘাতে গাজা বারবার প্রকম্পিত হয়। গাজার রাতের আকাশে দেখা যায় বোমা বিস্ফোরণের ঝলকানি। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রাতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজায় প্রচণ্ড বোমা হামলা চালিয়েছে। কিছু ইসরায়েলি সেনা ও ট্যাংক গাজায় প্রবেশ করেছে। ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)-এর মুখপাত্র নিরাপত্তার জন্য গাজার উত্তরের বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যেতে বলেছেন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের বিমান বাহিনী ব্যাপকভাবে মাটির নিচের বিভিন্ন নিশানায় আক্রমণ শানাচ্ছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

৩ হাজার শিশুর মৃত্যুর পরও কীভাবে নীরব থাকে বিশ্ব, আব্বাসের প্রশ্ন

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আছে ৩ হাজারেরও বেশি শিশু। এই ধ্বংসযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, তিন হাজার শিশুর মৃত্যুর পরও কীভাবে নীরব থাকে বিশ্ব! টানা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। বিপুলসংখ্যক বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এ অবস্থায় ইসরায়েলি বাহিনীকে হামলা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। গত শনিবার রামাল্লায় পিএলও নির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে আব্বাস এই আহ্বান জানান বলে ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে। সূত্র: আজকের পত্রিকা ।

ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা
বৈরুতের বিমানবন্দর ও আশপাশের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ

ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় লেবাননের কর্তৃপক্ষ দেশটির প্রধান বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এর আশপাশের সব স্থাপনা থেকে লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে যাতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা না ঘটে সেজন্য শনিবার বৈরুত কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশনা জারি করেছে।রাজধানীর দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত বৈরুত রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এর আশপাশ থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্তে এই মুহূর্তে সংঘাত আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে কি না, সেবিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ইসরায়েলের দিকে ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার চেষ্টা করেছে লেবাননের হিজবুল্লাহ। পরে লেবাননের ভূখণ্ডে তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক

‘গাজায় ইসরায়েলের হামলা দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করেছে’

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের স্থল অভিযান দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শনিবার এক টেলিভিশন ভাষণে একে “দীর্ঘমেয়াদী ও কঠিন” যুদ্ধ এবং ইহুদিদের টিকিয়ে রাখতে তিন হাজার বছরের পুরনো যুদ্ধ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা জিতব। আমরা জয়ী হব।” হামাসকে পরাজিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”হামাসকে পরাস্ত করতে ইসরায়েলি অতিরিক্ত স্থল বাহিনী এখন গাজা উপত্যকার সর্বত্র মোতায়েন রয়েছে বলে তিনি জানান।তার এমন ঘোষণার পরপরই শনিবার রাতে দক্ষিণ ইসরায়েল থেকে গাজায় একাধিক হামলার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্য-এশিয়াজুড়ে বিক্ষোভ

গাজায় ইসরায়েল হামলা বিমান ও স্থল হামলা জোরদার করায় শনিবার ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার দেশগুলোতে লাখো মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলে দলে মানুষ। বিমান থেকে তোলা ছবিতে সে দৃশ্য ধরা পড়েছে। তারা একটি যুদ্ধবিরতি আহ্বানের জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে আহ্বান জানানোর দাবি তোলেন।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, “বিশ্বে ভুমিকা রাখা সুপারপাওয়ারগুলো এ মুহূর্তে যথেষ্ট কিছু করছে না। সেকারণেই আমরা এখানে। আমরা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনের অধিকার, তাদের অস্তিত্বের অধিকার, বাঁচার অধিকার, মানবাধিকারসহ সব অধিকারের জন্য ডাক দিচ্ছি। এটি হামাসের বিষয় না। এটি ফিলিস্তিনিদের জীবনের সুরক্ষার ব্যাপার।” সূত্র: বিডি নিউজ

 

ইসরায়েলের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ে প্রস্তুত হামাস

ইসরায়েলের সঙ্গে ‘তাৎক্ষণিক’ বন্দি বিনিময়ের জন্য প্রস্তুত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক থাকা সকল ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি চায় তারা। গাজা উপত্যকার এই প্রতিরোধ গোষ্ঠীটি এমন কথাই জানিয়েছে। মূলত বন্দি সংকট মেটাতে পর্দার আড়ালে উভয়পক্ষের সঙ্গে কাতার কাজ করে চলেছে এবং দেশটির এই প্রচেষ্টার মধ্যেই হামাসের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য সামনে এলো। রোববার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে ‘তাৎক্ষণিক’ বন্দি বিনিময়ের জন্য হামাস প্রস্তুত বলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার জানিয়েছেন।