গাজীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, ‘গুলিবিদ্ধ হয়ে’ নারী নিহত

গাজীপুর সংবাদদাতা:গাজীপুর সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: ৪:০৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০২৩

গাজীপুরে আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আঞ্জুয়ারা খাতুন নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ১০ শ্রমিক। নতুন ঘোষিত মজুরিকাঠামো প্রত্যাখান করে মহাসড়কে নামতে গেলে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হওয়ার পর আঞ্জুয়ারাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই নারীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজন ঢামেকে এসেছিলেন। এদের মধ্যে আঞ্জুয়ারা নামে এক নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের জরুরি বিভাগের মর্গে আছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

নিহত আঞ্জুয়ারা কোনাবাড়ী জরুন এলাকার ইসলাম গার্মেন্টস-২ এর সেলাই মেশিন অপারেটর পদে চাকরি করতেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার চরগিরিশ এলাকায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বেতন বাড়ানোর দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এরপর ৭ নভেম্বর পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট না শ্রমিকরা।তাই গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের একাংশের বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। সকালে মহানগরীর কোনাবাড়ী ও জরুনসহ বিভিন্ন এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

গতকাল মঙ্গলবার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি, কুদ্দুস নগর ও জরুনসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সকাল ৮টার দিকে বিক্ষোভে নামেন।তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে কয়কজন আহত হন এবং শ্রমিকেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান

Nagad

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, শ্রমিকরা আঞ্চলিক সড়কগুলোতে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এছাড়া ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। শ্রমিকদের মহাসড়কে নামতে দেওয়া হয়নি। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।