প্রণোদনার সুফল, ১০ দিনে রেমিট্যান্স ৮,৭৭৮ কোটি টাকা

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২৩

বাড়তি প্রণোদনা আশা জাগাচ্ছে রেমিট্যান্সে। নভেম্বর মাসের ১০ দিনে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় এসেছে ৭৯ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে)।

সবশেষ গত বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) খোলাবাজারে প্রতি ডলার ১২৭ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এরপরও ক্রেতারা চাহিদা মতো ডলার পাচ্ছেন না। গত বেশ কদিন ধরেই প্রতি ডলার লেনদেন চলছে ১২৪ টাকা পর্যন্ত। সংকটময় পরিস্থিতিতে বাড়তে শুরু করেছে ডলার আয়ের অন্যতম উৎস রেমিট্যান্স।

সম্প্রতি রেমিট্যান্স কেনায় বাড়তি প্রণোদনা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এতে প্রতি ডলার রেমিট্যান্স থেকে প্রবাসীদের স্বজনরা পাচ্ছেন বাড়তি প্রণোদনা। এতে রেমিট্যান্সে প্রতি ডলারের দাম হয়েছে ১১৫ টাকা। যদিও সংকট থাকায় গোপনে আরও বেশি দামে রেমিট্যান্স কিনছে ব্যাংক, যা খোলা বাজারের দরের চেয়ে বেশি। পাশাপাশি হুন্ডি দরের প্রায় কাছাকাছি। সার্বিক দিক বিবেচনায় প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এখন হুন্ডি (অবৈধ পথ) এড়িয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। এতে রেমিট্যান্সের পালে লাগছে নতুন হাওয়া। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি ডলার সংকট কমিয়ে রিজার্ভ বাড়াতে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।

রোববার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে গত ৪৪ মাসের মধ্যে ব্যাংকিং চ্যানেলে সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় দেশে আসে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকার ঘোষিত ২ টাকা ৫০ পয়সা প্রণোদনার পাশাপাশি প্রবাসী আয় সংগ্রহকারী ব্যাংকগুলো আরও ২ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রণোদনা দিতে পারবে, এমন অনুমতি দেয়।

এ ছাড়াও প্রবাসী আয়ের ডলার সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আরিও বেশি দামে ক্রয় করারও অনুমতি দেয়। এর ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় আসার পর অক্টোবর মাসে প্রবাসী আয়ে বেড়ে যায়, যা নভেম্বর মাসেও অব্যাহত রয়েছে।

Nagad

তথ্য অনুযায়ী, ১০ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৭২ কোটি ৩২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

এদিকে, নানা উদ্যোগেও কাটছে না ডলার সংকট। বিপরীতে বেড়েই চলেছে ডলারের দাম। এবিবি ও বাফেদা গত ১ সেপ্টেম্বর প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে। এর সঙ্গে রেমিট্যান্সে ব্যাংকগুলো নিজেদের মতো করে প্রণোদনা দিতে পারবে বলে জানানো হয়। তবে বেশিরভাগ ব্যাংক এ দামে ডলার পাচ্ছে না। এখন ১২২ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত দামে ডলার কিনছে অনেক ব্যাংক।