নির্বাচনের দরজা সবার জন্য উন্মক্ত : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:০৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২৩

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই যে অপরাধ করেছেন জনগণের কাছে, বিশেষ করে জামায়াত-বিএনপি, অগ্নিসংযোগ করে জনগণকে হত্যা ও জানমালের ক্ষতি করেছেন, সে জন্য জাতির কাছে মাফ চেয়ে তারপর নির্বাচনে আসেন সেটাই আমরা চাই। নির্বাচনের দরজা সবার জন্য উন্মক্ত।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়ে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় অস্ত্র হাতে রাতের অন্ধকারে না, ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন হবে। সবসময় আমাদের লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারে আসার পর থেকে একের পর এক নির্বাচন হয়েছে। এখানে নানা ধরনের অনিয়ম দেখেছি। যখনই আমরা সুযোগ পেয়েছি সেগুলো সংশোধন করে জনগণের ভোটের অধিকার যাতে নিশ্চিত হয়, তার ব্যবস্থা করেছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন পর্যন্ত করে দিলাম। আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।

তিনি বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’— এই স্লোগান দিয়ে আমরা মানুষকে তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করি এবং ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করি।

কেউ নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না দাবি করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আগুন নিয়ে খেলছে। বিএনপি এবং তাদের যে জোট আছে তাদের শুধু একটা কথা বলবো। এই আগুন নিয়ে খেলা এটা বাংলাদেশের মানুষ কখনও মেনে নেবে না। (অতীতে) তারা নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছে, এটাও তারা বানচাল করতে পারবে না।

Nagad

বিএনপি-জামায়াত জনগণের ওপর আস্থা রাখতে না পেরে হামলা চালাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যারা সাধারণ মানুষ হত্যা করার পরিকল্পনা করে তাদের মানুষ কেন ভোট দেবে? তাদেও ওপর মানুষ কেন আস্থা রাখবে? আস্থা রাখে না। মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না, তারা ঘাতক চিহ্নিত। তারা ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত। সেটা তো মাথায় রাখতে হবে।

বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ার করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যারা নির্বাচন বানচালের জন্য অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে এদের কিন্তু ক্ষমা নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালার বিরাট পরিবর্তন আমরাই নিয়ে আসি। যেটা আমাদের সংবিধানের ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদ… যে সংবিধান জাতির পিতা স্বাধীনতার পর মাত্র নয় মাসের মধ্যে প্রণয়ন করেন এবং পরে দশ মাসের মধ্যে যে সংবিধান কার্যকর হয়। এই সংবিধানের ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা স্পষ্ট ছিল যে, জাতীয়করণ হবে।

তিনি বলেন, এর হলো মানে সরকারি, সমবায় ও বেসরকারি এই তিনটি খাতকে গুরুত্ব দেওয়া। সেটি অনুসরণ করেই আমরা অর্থনৈতিক খাতের নীতিমালা প্রণয়ন করি। আমরা সরকারে আসার পর সেই ঠিক সেভাবে বাস্তবায়ন শুরু করি এবং ব্যাপক হারে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেই। আমার লক্ষ্য একটাই ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা… যেন মানুষ কাজ পায় ও করার সুযোগ পায়।