‘যারা নির্বাচনে বাধা দেবে, নিষেধাজ্ঞা তাদের দেবে আমাদের কেনো?’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:২৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২৩

ওবায়দুল কাদের । ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা নির্বাচনে বাধা দেবে, নিষেধাজ্ঞা তাদের দেবে। আমাদের কেনো? আমরা তো শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষে।

তিনি বলেন- আমরা বর্তমানে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আছি। অন্য কিছু মাথায় আসে না। এই মুহূর্তে কারো চিন্তাভাবনা নেতিবাচক দেখছি না। এ ব্যাপারে আমাদের মাথাব্যথা নেই। বাইরের কে নিষেধাজ্ঞা দিলো, সেটা নিয়ে আমরা ভাবি না। আমাদের দেশের নির্বাচন, আমরা একটা স্বাধীন দেশ, আমাদের সংবিধান আছে, আমাদের সংবিধানের আলোকে আমাদের ইচ্ছায় নির্বাচন হবে। অন্য কারো নির্দেশ বা নিষেধাজ্ঞায় হবে না।

বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে কমনওয়েলথের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং নির্বাচন কমিশনকে আইনগত কাঠামো দিয়ে যুক্ত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সংসদীয় আইনের মাধ্যমে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় আইনের সংস্কার করা হয়েছে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সকল পদক্ষেপ নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীতে গণতন্ত্র দিক থেকে পারফেট কোন দেশ আছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হয়েছে কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদের। এত অপপ্রচারের পরেও নির্বাচনের জন্য কমনওয়েলথ প্রতিনিধিরা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, এটা একটি পজেটিভ বিষয়। প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে তারা পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারে।’

কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রক্রিয়াটা গনতান্ত্রিক। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব সংস্থা রয়েছে যাদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে মনোনয়নের বিষয়ে চূড়ান্ত করা হবে।’

Nagad

বিএনপির নির্বাচন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘কেউ আসা না আসা কিংবা প্রতিহত এটা গণতান্ত্রিক, তবে সহিংসতা কিংবা চোরাগোপ্তা হামলা করছে….তাহলে সেখানে নিষেধাজ্ঞা কোথায়…।’

তপশিল পেছানোর দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তপশিল পেছানো বা নির্বাচনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত, সময়সীমার মধ্যে তারা তাদের যেকোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে। নির্বাচনের বিষয়ে ৩০ নভেম্বর পর সবকিছু স্বচ্ছ হয়ে যাবে।’

উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে বলে জানায় ইসি।