প্রথম দিনেই লড়াকু পুঁজি, বাংলাদেশের শুভ সূচনা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:৪৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২৩

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩১০ রান। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৪ রান দূরে থাকা অবস্থায় সাজ ঘরে ফিরেন মাহমুদুল হাসান জয়। বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র অর্ধশত এসেছে জয়ের ব্যাট থেকে। বাকিরা ত্রিশের ঘরের আগে পরে আটকে ছিলো। দিনের শুরুতে জাকির হোসেন ১২ রানে ফিরে যায়। নাজমুল হাসান শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয় দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু টাইগার অধিনায়ক ব্যক্তিগত ৩৭ রানে ফিরে গেলেও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সে ুরির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন জয়।

অবশ্য ৮৬ রানের মাথায় ফিরে গেছেন তিনিও। এরপর মুশফিক-সোহানদের ব্যর্থতায় প্রথম দিনের খেলা শেষের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। যদিও দশম উইকেট জুটিতে দেয়াল হয়ে দাঁড়ালেন শরিফুল-তাইজুল। তাদের ১৯ বলে ২০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে কোনোরকমে দিন পার করেছে স্বাগতিকরা। অবশ্য দিনের নির্ধারিত ৯০ ওভার খেলা মাঠে গড়ায়নি। আলোকস্বল্পতার কারণে ৮৫ ওভার পর্যন্ত খেলা হয়েছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ চক্রের দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে গতকাল নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নিয়েছেন গেøন ফিলিপস। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট দখলে গেছে কাইল জেমিসন ও এজাজ প্যাটেলের।

লা বিরতিতে যাওয়ার আগমুহূর্তে বাজে শট খেলতে গিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। গ্লেন ফিলিপসের ফুল টস ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে চেয়েছিলেন শান্ত। কিন্তু ঠিকঠাক খেলতে পারেননি। মিড-অনে ক্যাচ তালুবন্দী করেন কেন উইলিয়ামসন। ফেরার আগে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৫ বলে ৩৭ রান করেন শান্ত। অধিনায়কের বিদায়ের পর রানের গতি কিছুটা কমলেও মুমিনুলকে নিয়ে ধীরে ধীরে এগোচ্ছিলেন জয়। তাদের মধ্যে ভালো একটি জুটি গড়ে ওঠে। মুমিনুলের আউটে ভাঙে তাদের ১৭১ বলে ৮৮ রানের জুটি। প্রিয় কাট শট খেলতে গিয়ে মুমিনুলের ব্যাটের কানায় লেগে বল আশ্রয় নেয় কিপারের গ্লাভসে।

শান্তর মতো মুমিুনলও থামলেন ব্যক্তিগত ৩৭ রানে। মুমিনুলের আউটের রেশ কাটতে না কাটতেই বিদায় নেন মাহমুদুল হাসান জয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল ৭৮ রানের। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের দারুণ সেই ইনিংসটি গতকাল সিলেটের মাটিতে ছাড়িয়ে গেলেন জয়। সাবধানী ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সে ুরির পথে। তবে ইশ সোধির বলে কটবিহাইন্ড হয়ে ফিরতে হয় ব্যক্তিগত ৮৬ রানের মাথায়। ১৬৬ বল খেলে ১১ চারের মারে এই রান করেন তিনি। দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা নড়বড়ে অবস্থানে থেকেই চা বিরতির পর শুরু করেছিল স্বাগতিকরা। মুশফিকুর রহিম ও অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন দীপুর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় দলীয় দুইশ পূর্ণ হয় বাংলাদেশের। তবে এরপরই আবারও ধাক্কা। এবার আঘাত হানলেন এজাজ প্যাটেল। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বল ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়েছিলেন মুশফিক। ধরা পড়ে যান মিড অফে দাঁড়ানো উইলিয়ামসনের হাতে।

২২ বলে ১২ রান করেন মুশফিক। মুশফিকের পর অভিষিক্ত দিপুকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় ছিলেন মিরাজ। শেষ পর্যন্ত কাইল জেমিসনের শর্ট বলের এক ডেলিভারিতে আর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারলেন না টাইগার এই অলরাউন্ডার। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় ¯িøপে। ৩০ বলে ২০ রান করেন মিরাজ। গ্লেন ফিলিপসের বলে শর্ট মিড-উইকেটে ধরা পড়েন অভিষিক্ত শাহাদাত দিপু। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ৫৪ বলে ২৪ রান। স্পিন সহায়ক পিচে আতঙ্ক ছড়ালেন ফিলিপস। দিপুর পর ফেরালেন সোহানকেও। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার চার উইকেট তুলে নিলেন। দশম উইকেট জুটিতে তাইজুল-শরিফুলের ব্যাটে তিনশ’ ছাড়ায় বাংলাদেশের সংগ্রহ। ৮ বলে ১৩ রানে অপরাজিত আছেন শরিফুল। আর ২১ বলে ৮ রানে টিকে আছেন তাইজুল।

তারা দুজন আজ আবারও ব্যাট করতে নামবেন। দ্বিতীয় দিন উইকেটে কিছুটা টান পাওয়ার ধারনা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্পিননারেরা বাড়তি সুবিধা পাবার সম্ভবানা রয়েছে।

Nagad