আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩

প্যারাগুয়েতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে পার্লামেন্ট সদস্যসহ নিহত ৪

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়েতে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দেশটির এক পার্লামেন্ট সদস্য ও তার তিন সহযোগী নিহত হয়েছেন। শনিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে। খবর রয়টার্সের-নিহত পার্লামেন্ট সদস্যের নাম ওয়াল্টার হার্মস। তিনি প্যারাগুয়ের ক্ষমতাসীন দল কলোরাডো পার্টির সদস্য।পুলিশ জানায়, রাজধানী আসুনসিওনের ১৮০ কিলোমিটার (১১২ মাইল) দূরে এক এলাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, একটি মাঠে উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। সেখানে আগুন জ্বলছে। সূত্র: সমকাল

ফ্রান্সের প্যারিসে আইফেল টাওয়ারের কাছে ছুরি হামলায় নিহত ১

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আইফেল টাওয়ারের কাছে পর্যটকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন এক ব্যক্তি। হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুজন। গতকাল শনিবার ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন এই তথ্য জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড সাংবাদিকদের বলেন, হামলার ঘটনার পরপরই ২৬ বছর বয়সী এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি ফরাসি নাগরিক। জেরাল্ড জানান, একটি হামলার পরিকল্পনার দায়ে এই সন্দেহভাজন ব্যক্তির ২০১৬ সালে চার বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। তিনি ফরাসি নিরাপত্তা সংস্থার নজরদারির তালিকায় (ওয়াচ লিস্ট) ছিলেন। তাঁর মানসিক ব্যাধি থাকার কথাও জানা যায়। সূত্র: প্রথম আলো

ইসরাইলের হাত দিয়ে গাজাবাসীকে মারছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন বোমা বারুদের নতুন চালান তেল আবিবে

গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার শুরু থেকেই পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু মৌখিকভাবে নয়, অস্ত্র-গোলাবারুদ দিয়েও সহায়তা করে যাচ্ছে পরম মিত্রকে। আরব বিশ্ব থেকে শুরু করে গোটা বিশ্বের সামনেই যেমন নিয়মিতভাবে গাজার বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরাইলি হামলা বন্ধের নীতি কথা শুনাচ্ছে, তেমনি গাজা ধ্বংসে তেল আবিবে নিত্য নতুন বোমা-বারুদের চালানও পাঠাচ্ছে নিয়মিতই। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিধ্বংসী আধুনিক সেসব যুদ্ধাস্ত্রে ছারখার হচ্ছে গাজা। যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো এসব অস্ত্রেই হামাস ধ্বংসের অজুহাতে প্রতিদিন শত শত নারী-শিশুদের হত্যা করছে ইসরাইল। হাজার হাজার টন বোমায় ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে গাজার বাড়িঘর। অবরুদ্ধ ছোট্ট জনপদে প্রতিদিনই বাড়ছে লাশের পাহাড়। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।শুক্রবার নতুন করে হত্যাযজ্ঞ শুরুর আগেই ১৫ হাজার ছাড়িয়েছিল গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু! এরপরও ইসরাইলে ভয়ংকর সব বোমা-বারুদের চালান পাঠচ্ছে ইসরাইল। এত লাশ, এত রক্ত, এত হাহাকারেও যেন রক্তের পিপাসা মিটছে না যুক্তরাষ্ট্রের। সূত্র; যুগান্তর

Nagad

ইসরায়েলের টার্গেট তিন হামাস নেতা

তেল আবিবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের অফিসের দেয়ালে ঝুলছে একটি পোস্টার; সেখানে পিরামিড আকারে সাজানো রয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর কমান্ডারদের শত শত ছবি। একেবারে নিচে আছে হামাসের জুনিয়র ফিল্ড কমান্ডারদের ছবি। সবার ওপরে আছে হামাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কমান্ডারদের ছবি, এদের মধ্যে আছে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার মূল পরিকল্পনাকারীখ্যাত-মোহাম্মদ দেইফের ছবিও। রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় হামাসের যেসব নেতা নিহত হয়েছেন, তাদের ছবিতে বসেছে ক্রস চিহ্ন। কিন্তু ইসরায়েলের টার্গেটে থাকা প্রধান তিনজন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তারা হলেন- হামাসের সামরিক শাখা ইজ এল-দ্বীন আল-কাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দেইফ, তার ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ মারওয়ান ঈসা এবং গাজায় হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। কাতারের মধ্যস্থতায় সাত দিন ধরে চলা যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর শুক্রবার গাজায় আবার আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চার কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স লিখেছে, হামাসের এই তিন শীর্ষ নেতাকে বন্দি বা হত্যা না করা পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ থামার ‘সম্ভাবনা নেই’। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ইসরায়েলের সাত সপ্তাহের অভিযান-হামলায় গাজায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। তবে ইসরায়েলের অভিযান শুরু হয়েছিল ৭ অক্টোবর হামাসের হামলাকে কেন্দ্র করে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

সেনাদের প্রস্তুত থাকতে বললেন কিম জং উন

হুমকি মোকাবিলায় সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি নতুন অস্ত্র মোতায়েনের অঙ্গীকার করার পর তিনি এ কথা বললেন। শত্রুপক্ষের যেকোনো উসকানির জবাব দিতে সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেন তিনি। উত্তর কোরিয়া গত মাসে একটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর থেকেই কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা বেড়েছে। গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালের সই হওয়া সামরিক চুক্তির প্রধান একটি ধারা স্থগিত করে দক্ষিণ কোরিয়া। সূত্র; দেশ রুপান্তর

কোরীয় উপদ্বীপ
গোয়েন্দা উপগ্রহ নিয়ে উত্তেজনা

নতুন ইস্যু গোয়েন্দা উপগ্রহ নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে চিরশত্রু যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার মহাকাশসম্পদের ওপর ওয়াশিংটন কোনো হামলার চেষ্টা করলে মার্কিন গোয়েন্দা উপগ্রহগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে গতকাল শনিবার হুমকি দিয়েছে পিয়ংইয়ং। গত সপ্তাহেই নিজেদের প্রথম গোয়েন্দা উপগ্রহ সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। কমিউনিস্ট দেশটির সফল গোয়েন্দা উপগ্রহ উেক্ষপণের কথা উল্লেখ করে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ওয়াশিংটন বিভিন্ন পরিবর্তনশীল ও স্থায়ী উপায় প্রয়োগ করে প্রতিপক্ষের মহাকাশ ও স্থল সক্ষমতা অগ্রাহ্য করতে পারে।ওই মার্কিন কর্মকর্তার মন্তব্যের পর উত্তর কোরিয়ার এই হুমকি সামনে এলো।উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের বক্তব্য উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের পদক্ষেপ ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ সপ্তাহেই মার্কিন স্পেস কমান্ডের মুখপাত্র শেরিল ক্লিনকেল রেডিও ফ্রি এশিয়াকে বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী মহাকাশের সমগ্র ক্ষেত্রজুড়ে প্রতিপক্ষ শক্তির কার্যকারিতা ও ভয়াবহতা মোকাবেলা করতে পারে। সূত্র; কালের কণ্ঠ

জাতিসংঘ
দক্ষিণ গাজায় হামলা ১০ লাখ মানুষকে সীমান্তে ঠেলে দেবে

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান সতর্ক করে বলেছেন, দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলের হামলা ১০ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে মিসর সীমান্তের দিকে ঠেলে দিতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বলেন, যদি সেখানে যুদ্ধ হয়, তাহলে শরণার্থীদের আরো দক্ষিণে ও সীমান্তের ওপারে পালিয়ে যাওয়ার আশংকা বেশি।তিনি জানান, দক্ষিণ গাজায় জাতিসংঘের স্থাপনায় নয় লাখ মানুষ রয়েছে। উত্তরে রয়েছে আরো এক লাখ।এক সপ্তাহের মানবিক বিরতির পর ফিলিস্তিনি ছিটমহলে আবারো শুরু হয়েছে ইসরায়েলি হামলা।ফিলিপ লাজারিনি সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো পক্ষে অবস্থান নেন। তার মতে, মেয়াদ না বাড়ালে দক্ষিণ গাজায় আক্রমণের পরিণতি নিয়েও ইসরায়েলকে ভাবতে হবে।তিনি জানান, এরই মধ্যে আমরা বড় ধরনের মানব ট্র্যাজেডির মুখোমুখি হয়েছি। আরো হামলা গভীর উদ্বেগ ও হতাহতের পূর্বাভাস দিচ্ছে। সূত্র: বণিক বার্তা ।

ফিলিপাইনের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রার্থনার সময় বিস্ফোরণ, নিহত ৯

ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রার্থনা চলাকালে বিস্ফোরণে ৯ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার মিন্দানাও স্টেট ইউনিভার্সিটির শরীরচর্চাকেন্দ্রে ক্যাথলিকদের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে খবরটি জানানো হয়। বিস্ফোরণে আহতদের মারাওয়ি শহরের আমাই পাকপাক মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়েছে।মিন্দানাও স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বিস্ফোরণের তদন্ত কর্তৃপক্ষ করছে বলে জানান আঞ্চলিক পুলিশ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অ্যালান নোবলেজা। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ইসলামিক স্টেটপন্থী জঙ্গিরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। প্রতিশোধ নিতে তারা এই হামলা করে থাকতে পারে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

কাতার থেকে ইসরায়েলি আলোচকদের ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
মোসাদের ওই বিবৃতিতে জানানো হয়, মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া ‘(কাতারের) দোহায় অবস্থানকারী তার টিমকে ইসরায়েলে ফিরে আসতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কথায় তিনি এ নির্দেশ দেন।কাতারের মধ্যস্ততায় দেশটিতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য অবস্থান করছেন ইসরায়েলি গোয়ান্দা কর্মকর্তারা। তবে এ আলোচনা নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় তাদেরকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে তেল আবিব। আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। খবর বিবিসির। মোসাদের ওই বিবৃতিতে জানানো হয়, মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া ‘(কাতারের) দোহায় অবস্থানকারী তার টিমকে ইসরায়েলে ফিরে আসতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কথায় তিনি এ নির্দেশ দেন।বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস এই চুক্তিতে তাদের অংশ (অঙ্গীকার) রক্ষা করেনি। যা ছিল একটি তালিকায় থাকা সকল শিশু ও নারীকে মুক্তিদান। হামাসকে ওই তালিকা দেওয়া হয়েছিল এবং তারা এতে সম্মতিও দিয়েছিল।’ যুদ্ধ শুরুর পরেই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্ততার করছে কাতার। হামাসের থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের সাম্প্রতিক মুক্তির পেছনে কাতারই প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

স্যাটেলাইটের ছবিতে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের যে চিত্র বেরিয়ে এসেছে

বিবিসির হাতে আসা নতুন কিছু স্যাটেলাইটের ছবিতে প্রকাশ পেয়েছে, ইসরায়েল আর হামাসের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে, উত্তর গাজাজুড়ে ব্যাপক পরিমাণ ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। স্যাটেলাইটের ছবিগুলো গত ২৩শে নভেম্বরের, টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চলার পর যখন যুদ্ধবিরতি হয় তার ঠিক আগের।আরেকটি আলাদা স্যাটেলাইট তথ্য বিশ্লেষণে পুরো গাজার ধ্বংসযজ্ঞের বিভিন্ন চিত্র খুঁজে পাওয়া যায়।ড্রোন ফুটেজ ও ভেরিফায়েড ভিডিওতে আরও দেখা যায় বিভিন্ন ভবন ও কোথাও পুরো পাড়া একেবারে মাটিতে মিশে গিয়েছে।যদিও ইসরায়েলের সর্বাত্মক স্থল অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল গাজার উত্তরাঞ্চল, যা ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন বহন করছে, কিন্তু আসলে পুরো উপত্যকা জুড়েই মারাত্মক ধ্বংসের চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। সূত্র; বিবিসি বাংলা।