‘অর্থনীতিকে ক্যাশলেস ও ইন্টারঅপারেবল স্মার্ট অর্থনীতিতে পরিণত করতে চাই’

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:৪২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪

আমাদের অর্থনীতিকে ক্যাশলেস ও ইন্টারঅপারেবল স্মার্ট অর্থনীতিতে পরিণত করতে চাই-বলে মন্তব্য করেছেন-ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন- আমাদের প্রতিটা নাগরিককে আমরা অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল, উদ্ভাবনী, সৃজনশীল স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সরকারি সেবা ব্যবস্থাকে পেপারলেস, ফেইসলেস, কানেক্টেড ও দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট সরকার ব্যবস্থায় পরিণত করতে চাই। বাংলাদেশের শহর-গ্রামের দূরত্ব দূর করে, ধনী-দরিদ্র বৈষম্য দূর করে, নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিকরূপ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে হার পাওয়ার শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও জয়পুরহাট জেলার ৫৮০ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন- আমরা বাংলাদেশের সকল তরুণ-তরুণীকে দক্ষ মানবসম্পদ ও জনশক্তিতে রূপান্তর করতে চাই। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এবং প্রতিবছর কর্মজীবনে প্রবেশ করা প্রায় ২৫ লক্ষাধিক তরুণদের পাশাপাশি আমাদের নারী গোষ্ঠীকে ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছি।

আমরা প্রথমে ‘সি পাওয়ার’ নামে একটা পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছিলাম; সেখানে ১০,৫০০ জন নারী উদ্যোক্তা তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি জানিয়ে পলক বলেন- সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আমরা নতুন আরেকটি প্রকল্পের প্রস্তাব দেই এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা খুশি হয়ে প্রকল্পের অনুমোদন দেন এবং নিজেই নামকরণ করেন ‘হার পাওয়ার’। নারী শক্তিকে প্রযুক্তির শক্তির সাথে সম্মেলন ঘটিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান। ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩০টি উপজেলায় নারীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা বৃদ্ধিতে নারী ফ্রিল্যান্সার, নারী আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার, নারী ই-কমার্স ও নারী কল সেন্টার এজেন্ট এই ৪টি বিষয়ে মোট ২৫,১২৫ জন নারীকে ৫ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ ও ১ মাসের মেন্টরশীপ প্রদান করা হবে। যেসব প্রশিক্ষণার্থী সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করবে তাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ১টি ল্যাপটপ প্রদান করা হবে।

মে মাসের মধ্যে আমরা দেশের ৫০০টি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে পরিণত করব জানিয়ে পলক বলেন- বাংলাদেশে ই-কমার্স উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যের আদান-প্রদান, আর্থিক লেনদেন সহজ ও স্মার্টভাবে করতে পারে সেজন্য ডাক অধিদপ্তরের সকল কার্যক্রমকে পর্যায়ক্রমে স্মার্ট ডাকঘরে পরিণত করা হবে।

Nagad

পলক বলেন, সারা দেশে ৯ হাজারের অধিক ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে একজন পুরুষের পাশাপাশি একজন করে নারী উদ্যোক্তা রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী, বলেন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত উদ্যোক্তা সংস্কৃতির বিকাশ এবং তরুণ-তরুণীদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রশিক্ষণার্থীরা যদি উদ্যোক্তা হতে চায় তবে তাদের জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৫০ লাখ থেকে ৫ কোটি বিনিয়োগ করা হবে। এ জন্য তাদেরকে যোগ্যতা অর্জনের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন বাংলাদেশের কোন উৎপাদিত পণ্য স্মার্ট ডাকঘরের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা যেন ৩০ লক্ষ প্রবাসী বাঙালির কাছে পাঠাতে পারে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হার পাওয়ার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রায়হানা ইসলাম।