আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪

গাজায় চরম খাদ্য সংকটে ‘নারকীয় পরিস্থিতি’: ডব্লিউএইচও

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে খাবারের ব্যাপক সংকট থাকা সত্ত্বেও সেখানে তারা খাবার সরবরাহ করতে পারছে না। তল্লাশি কেন্দ্রগুলোতে বিলম্বের ফলে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। গাজার উত্তরাঞ্চলে খাদ্য সরবরাহের পর ত্রাণকর্মী মার্সি কর্পস বলেন, ‘দুজনকে দেখলাম দম বন্ধ হয়ে আসছে। প্রচুর লোকজনের ভিড়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।’ ওই এলাকায় খাদ্য সরবরাহ তেমন একটা হয়নি।
রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর কাছ থেকে পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মরদেহ দাফনের সময় চিকিৎসক ওমর আবু তাহা আলজাজিরাকে বলেন, ‘এরা কোথায় আহত হয়েছিলেন, এদের নামপরিচয়ই বা কী, আমরা তা জানি না।’ সূত্র: সমকাল

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাজ্য : ক্যামেরন

আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটেন প্রস্তুত বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তিনি মন্তব্য করেছেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সঠিক সময়ের অপেক্ষায় আছে যুক্তরাজ্য। সোমবার লন্ডনে ব্রিটেনের মন্ত্রিসভার এক অনুষ্ঠানে ক্যামেরন এ ঘোষণা দেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতমুখর পরিস্থিতি, ফিলিস্তিনিদের নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবির ন্যায্যতা, নিজেদের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ইসরায়েলের ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। ক্যামেরন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনিদের একটি রাজনৈতিক ভূমি দিতে হবে। ওয়েস্টমিনস্টারে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বরূপ কেমন হবে তা নির্ধারণ করা যুক্তরাজ্যের দায়িত্ব। যুক্তরাজ্যের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন বলেন, দুই রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়ে ফিলিস্তিনিদের একটি ‘অলঙ্ঘনীয় প্রক্রিয়ার’ বাস্তবায়ন দেখাতে হবে। কনজারভেটিভ মিডল ইস্ট কাউন্সিলকে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘসহ অন্য মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করব।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

রেকর্ড পরিমাণে অস্ত্র বিক্রি করেছে যুক্তরাষ্ট্র
* ২০২৩ সালে ২৩,৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি * ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে বিভিন্ন দেশে অস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে

বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত বছর বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ২০২৩ সালে সর্বমোট ২৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে সামরিক খাতে নিজেও সর্বোচ্চ ব্যয় করা দেশটি। ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপের আশপাশের দেশগুলো নিজেদের সুরক্ষা জোরদার করতে নতুন অস্ত্র কিনছে। পশ্চিমা মিত্রদের অনেকেই ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে। সে অস্ত্র জোগাড় করতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হচ্ছে। এ কারণেই মার্কিন অস্ত্র ব্যবসায় জোয়ার এসেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সোমবার জানায়, আট হাজার ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছে। এই অস্ত্র বিক্রির মাত্রা ২০২২ সালের তুলনায় ৫৬ শতাংশ বেশি। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Nagad

জর্ডানে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলার ‘কড়া জবাব’ দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

জর্ডানে সেনাঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় হতাহতের ঘটনায় ‘কড়া জবাব’ দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে পরিকল্পনা যাতে ফাঁস না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর ওপর আগের চেয়ে শক্তিশালী হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি দেশটি ইরানের অভ্যন্তরেও কোনো সামরিক স্থাপনাকেও লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।গত রোববার জর্ডানে সেনাঘাঁটিতে হামলায় নিহত তিন সেনার পরিচয় প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলায় আহত হয়েছেন ৪০ জনের বেশি সেনা। গত অক্টোবরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর মার্কিন সেনাদের ওপর এটাই বড় ধরনের হামলার ঘটনা। ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন বলছে, পাল্টা হামলা চালালেও তারা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না। এ ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর মতো জবাব দেওয়ার চাপ বাড়ছে বাইডেনের ওপর। গত অক্টোবর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্থাপনাগুলোকে ১৬০ বারের বেশি লক্ষ্যবস্তু করেছে ইরান-সমর্থিত জঙ্গিরা। সূত্র: প্রথম আলো

ডাক্তার সেজে হাসপাতালে হামলা
পশ্চিম তীরে ইসরাইলের নয়া তাণ্ডব

গাজার পর এবার পশ্চিম তীরে নয়া তাণ্ডব চালাল ইসরাইলের সেনাবাহিনী। ডাক্তার-নার্সের ছদ্মবেশে হাসপাতালে ঢুকে হত্যা করল রোগীদের। মঙ্গলবার জেনিন শহরের ইবনে সিনা হাসপাতালে ভয়ংকর এ হত্যাকাণ্ড ঘটাল ইসরাইল। বন্দুকে ‘সাইলেন্সার’ দিয়ে তিন ফিলিস্তিনিকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করেছে। নিহতদের তিনজনই যুবক বয়সি যাদের মধ্যে দুজন ভাই ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালের অভ্যন্তরে ইসরাইলের ‘হিট স্কোয়াড’ বাহিনীর বন্দুক দেখে আতঙ্কিত হয়ে যায় কর্মী এবং রোগীরা। হাসপাতালের সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা।অধিকৃত পশ্চিম তীরের হাসপাতালটিতে ইসরাইলি বিশেষ বাহিনীর ১০ জন কর্মী প্রবেশ করে। এর পরই চালায় হামলা। নিহত তিন ফিলিস্তিনি হলেন মোহাম্মদ, বাসিল আল-গাজ্জাভি এবং মোহাম্মদ জালামনা। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরাইল বাহিনী ছদ্মবেশে ইবনে সিনা হাসপাতালে ঢুকে পড়েছেন। সেখানে তিনজন নারী নার্সের বেশে আর দুজন ছিলেন চিকিৎসকের বেশে। তারা অস্ত্র হাতে হাসপাতালের বারান্দা দিয়ে ছোটাছুটি করছেন। ঘটনার পর হাসপাতালে একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, নিহত তিনজনের মধ্যে একজন কয়েক মাস আগে ইসরাইলি অভিযানে আহত হয়েছিলেন। এই হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। হামলার পর ইসরাইলিদের দাবি, হাসপাতালে লুকিয়ে থাকা হামাসদের ‘নির্মূল’ করতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাদের এই অপরাধের জবাব দেওয়া হবে। নিহত তিনজনের বিষয়ে হামাস আরও জানিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন এই সংগঠনের সদস্য। আরেকজন জেনিন ব্যাটালিয়নের আর অপরজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধা। সূত্র: যুগান্তর

প্রচণ্ড ক্ষুধায় ‘নরক’ হয়ে উঠেছে গাজা, নিহত বেড়ে ২৬৭৫১

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় দেওয়া জাতিসংঘের ত্রাণসহায়তা তহবিলে অর্থ দেওয়া বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি উন্নত দেশ। এই অবস্থায় অঞ্চলটিতে তীব্র খাদ্যসংকটের কারণে প্রচণ্ড ক্ষুধার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানম ঘেব্রেইসাস একে নরকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৭৫১। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা গাজা প্রশাসনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গাজায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় নিহতের সংখ্যা এখনো ক্রমেই বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে অঞ্চলটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৭৫১। একই সময়ে, ইসরায়েলি হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে আরও অন্তত ৬৫ হাজার ৬৩৬ জন। এ ছাড়া ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছিল ১ হাজার ১৩৯ জন। এই সময়ে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি প্রায় ২৪০ জন ইসরায়েলি ও বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জিম্মি করে আনে। সূত্র; আজকের পত্রিকা

দুই সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা করলেন স্কুল শিক্ষক

সরকারি স্কুলের এক শিক্ষক গুলি করে তার দুই সহকর্মীকে হত্যা করেছেন। পরে নিজের ওপর গুলি চালিয়েছেন তিনি। এ ঘটনার গুরুতর আহত হয়েছেন ওই শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ঝাড়খণ্ডে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাতে জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলার একটি সরকারি স্কুলে এক শিক্ষক দুই সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছেন। পরে তিনি নিজের ওপর গুলি চালান।এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাটি রাঁচি থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে পোরাইয়াহাট এলাকার আপগ্রেডেড একটি হাই স্কুলের। এদিন সকাল ১১টার দিকে স্কুল চলাকালীন সময়ে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে গাজার অর্ধেকের বেশি ভবন

হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের পর ঘরবাড়ি হারিয়ে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে গাজার বাসিন্দারা। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর প্রতিশোধমূলক আকাশ ও স্থল হামলা শুরু করে তেল আবিব। এতে উপত্যকাটির অর্ধেকেরও বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ। স্থানীয় সময় বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিবিসির এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এসব তথ্য। বিবিসির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে গাজায় আইডিএফের গোলা বর্ষণ আরো জোরদার করা হয়। তাতে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ এবং মধ্য গাজার বসত বাড়িসহ হাসপাতাল, স্কুল এবং বিভিন্ন রেস্তোরাঁ। সংঘাত শুরুর পর থেকে গাজাবাসীকে নিরাপত্তার জন্য দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে বলে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে গাজার দক্ষিণে আশ্রয় নিয়েও নিস্তার পায়নি উপত্যকাটির বেসামরিক বাসিন্দারা। তাদের ঘরবাড়িসহ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে হামলা আরো তীব্র করেছে আইডিএফ। সূত্র: বণিক বার্তা।

‘আমরা মারা যাচ্ছি’: ফিলিস্তিনিরা ঘাস খাচ্ছেন, পান করছেন দূষিত পানি; গাজাজুড়ে দুর্ভিক্ষ

৩৮ বছর বয়সি হানাদি গামাল সাইদ এল জামারা বলেন, আজকাল তার ছেলেমেয়েরা পেটের খিদের জ্বালা থেকে একটু মুক্তি পায় কেবল ঘুমিয়ে পড়লে। সাত সন্তানের মা জামারা এখন দক্ষিণ গাজার রাফাহর কর্দমাক্ত রাস্তায় খাবার ভিক্ষে করে বেড়ান। দিনে অন্তত একবারের জন্য সন্তানদের খাওয়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। তার ওপর স্বামী অসুস্থ, ভুগছেন ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসে।ছেলেমেয়েদের পরিস্থিতি নিয়ে গত ৯ জানুয়ারি জামারা সিএনএনকে বলেন, ‘তারা এখন সবাই দুর্বল, ডায়রিয়া লেগেই আছে। মুখগুলো হলুদ হয়ে গেছে। আমার স্বামী কিছু খেতে পারে না।’গাজা ক্রমশ পুরোদস্তুর দুর্ভিক্ষের দিকে যাচ্ছে। বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকেরা বলছেন, নিজের সন্তানদের মুখে একটু খাবার তুলে দিতে তারা নিজেরা অনেক বেলা না খেয়ে থাকছেন। ফিলিস্তিনিদের কপালে এখন যেটুকু পানি জুটছে, তাও বেশিরভাগ সময় পানের অযোগ্য। ত্রাণের ট্রাক এলে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এক টুকরো রুটি নিয়ে রাস্তায় ছোটছোট ছেলেমেয়েরা মারামারি করে। অনেকেই খাবারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হেঁটে যান। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

‘ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু হবে দিনকয়েকের মধ্যেই’

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য শান্তনু ঠাকুর-সহ একাধিক বিজেপি নেতা জানাচ্ছেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে দেশের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। চার বছরেরও বেশি আগে এই বিতর্কিত আইন দেশের পার্লামেন্টে পাশ হলেও এখনও ধারা তৈরি না হওয়ায় তা চালু হয়নি।এই আইনের ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে সে সব দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও খ্রিষ্টানরা যদি ধর্মীয় সহিংসতার কারণে ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসে থাকেন, তাহলে তারা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন। হিন্দুদের মতুয়া সম্প্রদায়ের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও কেন্দ্রীয় জাহাজ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের পরে পশ্চিমবঙ্গ ও জাতীয় স্তরের একাধিক বিজেপি নেতা বলেছেন যে আগামী সাত থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ চালু হয়ে যাবে। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও কলকাতায় এসে বলে গিয়েছিলেন যে ওই আইন চালু করে দেবে সরকার। সূত্র; বিবিসি বাংলা ।