আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ দশ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪

দেশের দুর্নীতি উদ্বেগজনক

সরকারি কেনাকাটায় অনিয়ম, প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের শূন্য সহনশীল নীতি কার্যকর না হওয়া, অর্থ পাচারসহ নানা কারণে দেশে অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়েছে দুর্নীতি। বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রকাশিত দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই)-২০২৩-এ বাংলাদেশে দুর্নীতি উদ্বেগজনক হারে বাড়ার চিত্রই ফুটে উঠেছে। এবার দুই ধাপ অবনতি হয়ে ১৮০ দেশের মধ্যে নিম্নক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান দশম। স্কোরও ১ পয়েন্ট কমে হয়েছে ২৪। গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিকভাবে এই সূচক একযোগে প্রকাশ করা হয়। একই দিনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বাংলাদেশের দুর্নীতির সূচক প্রকাশ করে। এবার টিআই সূচকের প্রতিপাদ্য ছিল ‘দুর্নীতি ও অবিচার’। এবারের সূচকে ৯০ স্কোর পেয়ে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে আছে ডেনমার্ক। একই সঙ্গে ১১ স্কোর পেয়ে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হয়েছে সোমালিয়া। রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস ভবনের টিআইবি কার্যালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের দুর্নীতির ধারণা সূচক তুলে ধরেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। টিআইবি বলেছে, দুর্নীতির ধারণা সূচকে স্কোর ও অবস্থানের এই অবনমন প্রমাণ করে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীল নীতি ঘোষণাসহ সরকারের বিভিন্ন অঙ্গীকার-সূচকের তথ্যের সময়কালে বাস্তবিক অর্থে কার্যকর প্রয়োগ হয়নি; বরং আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতায় বাংলাদেশের অবস্থানের আরও অবনতি হয়েছে। সূত্র; সমকাল

ঢাকায় বাধায় পণ্ড কালো পতাকা মিছিল
♦ মঈন খান আটক, পরে মুক্ত ♦ সারা দেশে মিছিল সমাবেশ

বর্তমান সংসদ বাতিলের দাবিতে রাজধানীর উত্তরায় গতকাল বিএনপির কালো পতাকা মিছিল পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানকে ভ্যানে তুলে নেয় পুলিশ। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বেলা সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টর কবরস্থানের পাশের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে মিছিল থেকে আটক করা হয়েছে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিল ও নতুন সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে দলটি গতকাল রাজধানীসহ সারা দেশে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি পালন করে। পুলিশ ভ্যানে তোলার আগে মঈন খান পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি কী অপরাধ করেছি?’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঈন খানকে পেছন থেকে ঠেলতে ঠেলতে ভ্যানে তোলে পুলিশ। তিনি এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন। মঈন খান দলের কিছু নেতা-কর্মীকে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ৮ থেকে ১০ জন পুলিশ সদস্য দৌড়ে আসে। পুলিশ আসতে দেখে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন কর্মী দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় মঈন খান বক্তব্য দিচ্ছিলেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

এমপিওভুক্ত ৬০ হাজার শিক্ষকের পদ খালি

সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদ মজনু মিয়া একাডেমিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকের পদ ১২টি। এর মধ্যে সাতটি পদই শূন্য। বিষয়গুলো হচ্ছে ইংরেজি, সামাজিক বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, তথ্য-প্রযুক্তি, ইসলাম ধর্ম ও শারীরিক শিক্ষা। কিছু খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে চলছে স্কুলটি। মোহাম্মদ মজনু মিয়া একাডেমির প্রধান শিক্ষক নেপাল চন্দ্র দেবনাথ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বর্তমানে এমপিওভুক্ত পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষকসংকটের কারণে চারজন খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর পরও স্কুল চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখন নতুন কারিকুলামে পড়ালেখা। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Nagad

বেনাপোল স্থলবন্দরে ‘ডিজিটাল’ কারসাজি করে রাজস্ব ফাঁকি
জালিয়াতিতে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে ১০ কর্মকর্তা–কর্মচারীকে বদলি।

এই স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে ৭-৮ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি।
প্রতারকেরা ওজন স্কেলে কাঙ্ক্ষিত ওজন না পেলে অ্যাডমিন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ওজন পরিবর্তন করে দিত। যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের ওজন স্কেলে (ওজন পরিমাপক যন্ত্র) কারসাজি করে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে একটি চক্র। ওজন স্কেলের জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যারের আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে শুল্ক পরিশোধ ছাড়াই আমদানিকারকদের ভারত থেকে পণ্য আনার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এ কাজে বন্দরের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। জালিয়াতিতে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করেছে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে এ ঘটনায় ছয়টি তদন্ত কমিটি করা হলেও ছয় মাসেও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানিয়েছে, দেশে স্থলবন্দর আছে ২৪টি। এর মধ্যে বেনাপোল দিয়ে সবচেয়ে বেশি ৬০-৭০ শতাংশ পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। দেশের বৃহত্তম এই স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে ৭-৮ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি করা হয়। গত অর্থবছরে বন্দর থেকে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করেছে সরকার। বন্দর ও কাস্টমস-সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, শুধু গত অর্থবছরেই ওজন কারসাজির মাধ্যমে প্রতারকেরা প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি
রপ্তানিতে প্রণোদনা ও ভর্তুকির হার কমল
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার: নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রপ্তানি খাতে * বর্তমানে সরকার ৪৩ খাতে বিশেষ প্রণোদনা বা ভর্তুকি দিচ্ছে

বৈশ্বিক ও দেশীয় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বিভিন্ন খাতে সরকারের দেওয়া রপ্তানিতে প্রণোদনা ও ভর্তুকির হার কমানো হয়েছে। আগের হারের চেয়ে গড়ে দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ প্রণোদনা কমেছে। রপ্তানি বাড়াতে বর্তমানে ৪৩টি খাতে বিভিন্ন হারে প্রণোদনা দেওয়া হয়। প্রায় সব খাতেই এ হার কমানো হয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে এসব খাতে যেসব পণ্য রপ্তানির জন্য জাহাজীকরণ করা হয়েছে, সেগুলোয় প্রণোদনা কম পাবেন উদ্যোক্তারা। একই সঙ্গে ৩০ জুন পর্যন্ত যেসব পণ্য রপ্তানির জন্য জাহাজীকরণ করা হবে, ওইসব পণ্যের বিপরীতে রপ্তানির ভর্তুকির হার কমানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তে বলা হয়, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিধান অনুযায়ী, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটলে কোনো খাতে রপ্তানিতে বিশেষ প্রণোদনা বা ভর্তুকি দেওয়া যাবে না। বর্তমানে সরকার ৪৩টি খাতে বিশেষ প্রণোদনা বা ভর্তুকি দিয়ে আসছে। এসব ভর্তুকির অর্থ একসঙ্গে প্রত্যাহার করা হলে সংশ্লিষ্ট খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এ কারণে ভর্তুকির হার পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ভর্তুকির হার কমানো হবে। এর অংশ হিসাবে ১ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে যেসব পণ্য রপ্তানির জন্য জাহাজীকরণ করা হয়েছে বা করা হবে, সেগুলোয় ভর্তুকির হার কিছুটা কামনো হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ ঘটলে যেসব পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হবে, এর প্রস্তুতি হিসাবে আগাম সতর্কতামূলক ভর্তুকির হার কমানো হয়েছে। ৩০ জুনের পর নতুন বাজেটে ভর্তুকির ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্র: যুগান্তর

বিএমইটির স্মার্ট কার্ড: সার্ভারে জালিয়াতদের আছর
অ্যাপ বা সরাসরি আবেদন ছাড়াই কার্ড বানিয়ে দিচ্ছে জালিয়াত চক্র।
জালিয়াতি করে বানানো ২৪টি কার্ড চিহ্নিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
সন্দেহভাজন সিস্টেম অ্যানালিস্টকেও কমিটিতে রাখায় তদন্তের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) যে সুরক্ষিত সার্ভার থেকে বিদেশগামী কর্মীদের জন্য স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়, তাতে ঢুকে পড়ছে জালিয়াত চক্র। অভিবাসনপ্রত্যাশী কারও কারও কাছ থেকে টাকা নিয়ে জালিয়াতেরা ওই সার্ভারে ঢুকে নিজেদের ইচ্ছেমতো স্মার্ট কার্ড বানিয়ে দিচ্ছে। বিএমইটি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি টের পেয়ে এমন ২৪টি কার্ড চিহ্নিত করেছে। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএমইটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রমতে, পাঁচ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিএমইটির পরিচালক মো. মিজানুর রহমানকে। এ ছাড়া সন্দেহভাজন একজন সিস্টেম অ্যানালিস্টকেও কমিটিতে রাখা হয়েছে। ফলে তদন্তে আসল অপরাধীদের শনাক্ত করা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: আজকের পত্রিকা

বিদেশে মূল্যহ্রাস দেশে দীর্ঘশ্বাস

এবার একটু আগেভাগেই হ্রাসকৃত মূল্যে আসন্ন রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ব্রিটিশ সুপার মার্কেট চেইন আসদা স্টোরস লিমিটেড। ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে ব্যবসা করা প্রতিষ্ঠানটি রমজানের অন্তত দেড় মাস আগে থেকেই মুসলিম ভোক্তাদের কাছে ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ হ্রাসকৃত মূল্যে ভোজ্য তেল, চালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছে। আসন্ন রমজানে রোজাদারদের স্বস্তি দিতে মধ্যপ্রাচ্যসহ এশিয়া ও ইউরোপের অনেক দেশেই হাজার হাজার পণ্যে বিশেষ ছাড় থাকবে। শুধু বাংলাদেশই এর ব্যতিক্রম। রমজান কেন্দ্র করে এ দেশের ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা করার প্রবণতা দেখা যায়। আর পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে ব্যাপক তোড়জোড় চালাতে হয় সরকারকে। রোজার সময়টাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা যখন হ্রাসকৃত মূল্যে পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছেন, সেখানে বাংলাদেশের ভোক্তাদের দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হচ্ছে, উচ্চমূল্যে নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

তৈরি পোশাক খাত
এপ্রিল পর্যন্ত অব্যবহৃত থাকবে উৎপাদন সক্ষমতার প্রায় ৪০ শতাংশ

নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ মিলছে না কারখানায়। ডলার সংকটে কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য এলসি খুলতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন উদ্যোক্তারা। পর্যাপ্ত ডলার না মেলায় আমদানিও করা যাচ্ছে না প্রয়োজনমতো। অন্যদিকে আমদানি-রফতানির সরবরাহ চেইনে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটিয়েছে লোহিত সাগরের চলমান সংঘাত। অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যস্ফীতির প্রভাবে ক্রেতাদেশগুলোর ভোক্তাদের ক্রয়াভ্যাসেও এসেছে বড় ধরনের পরিবর্তন। ফলে দেশগুলো থেকে ক্রয়াদেশও কমেছে। সব মিলিয়ে দেশের তৈরি পোশাক খাতের কারখানাগুলোর উৎপাদন সক্ষমতার বড় একটি অংশ এখন অব্যবহৃতই থেকে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে দেশের তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা অভিযোগ তুলেছেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের কারখানার মোট সক্ষমতার অর্ধেকেরও বেশি অব্যবহৃত অবস্থায় বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। গতকাল প্রকাশিত এক জরিপেও অর্ধশতাধিক পোশাক কারখানার মালিক জানিয়েছেন, এপ্রিল পর্যন্ত বছরের প্রথম চার মাস তাদের কারখানার উৎপাদন সক্ষমতার প্রায় ৪০ শতাংশ বসিয়ে রাখতে হবে। সূত্র: বণিক বার্তা।

জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণে কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে

জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণে বিদ্যমান আয়করের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বর্তমানে এলাকাভেদে সম্পত্তি অধিগ্রহণে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণের ওপর যথাক্রমে ছয় শতাংশ ও তিন শতাংশ হিসেবে সোর্স ট্যাক্স আদায় করা হয়। তবে মূলধনি আয় বা ক্যাপিটাল গেইন হিসেবে এর ওপর ট্যাক্স ১৫ শতাংশ। সে হিসেবে জমির মালিকদের (ক্ষতিপূরণের ওপর) আরো ৯ ও ১২ শতাংশ কর দেওয়ার কথা। তবে এনবিআরের ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট সোর্সে কর্তনকৃত ট্যাক্সকে ফাইনাল সেটেলমেন্ট হিসেবে ঘোষণা দিতে যাচ্ছে। এর অর্থ হলো শুরুতে ছয় ও তিন শতাংশ হিসেবে সোর্সে কর্তিত করের বাইরে ওই আয়ের ওপর আর কোনো কর দিতে হবে না। এনবিআরের ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ বিষয়ে একটি আদেশ (স্ট্যাটিউটরি রেগুলেটরি অর্ডার বা এসআরও) জারি করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। যেকোনো সময় তা প্রকাশ করা হবে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

‘অধিকাংশ গার্মেন্টস পণ্য থেকে রফতানি প্রণোদনা প্রত্যাহার’

‘অধিকাংশ গার্মেন্টস পণ্য থেকে রফতানি প্রণোদনা প্রত্যাহার’, এই খবরটি বণিক বার্তার প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, এক সার্কুলারের মাধ্যমে গত ৩০শে জানুয়ারি মোট ৪৩টি রপ্তানিমুখী খাতে নগদ প্রণোদনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ৪৩টি পণ্যের মাঝে অধিকাংশই আবার গার্মেন্ট খাতের। মূলত, স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে চূড়ান্তভাবে বের হওয়ার পদক্ষেপ হিসেবে এসব পণ্যে প্রণোদনা প্রত্যাহার করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হলে কোনও রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রদান করা যাবে না। তবে এটি একসঙ্গে প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে বলে চলতি মাসের শুরু থেকেই বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তার হার অল্প অল্প করে কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সূত্র; বিবিসি বাংলা ।