দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করে বিল পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৮:০৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২৪

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এমপিদের সমালোচনার মুখেই দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করতে বিল পাস করা হয়েছে। আইনটি এতদিন বিভিন্ন মেয়াদে সময় বাড়িয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এবার সময় বাড়ানোর পরিবর্তে স্থায়ী রূপ দিতে জাতীয় সংসদে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন)’ বিল পাস করা হয়েছে। এসময় বিরোধী দলের নেতারা সমালোচনা করে সংসদে আইনটি স্থায়ী না করার প্রস্তাব দিলেও কণ্ঠভোটে তা নাকচ হয়ে যায়।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে ‘আইন–শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার-সংশোধন) বিল-২০২৪’ উত্থাপন করা হয়।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রণীত এ আইনটি স্থায়ী করতে মাত্র ২৪ মিনিটের মধ্যে বিল পাসের প্রক্রিয়া শেষ হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন।

বিলে বলা হয়েছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাকালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র ক্রয়, বিক্রয়, গ্রহণ বা দাখিলে জোরপূর্বক বাধা প্রদান বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ (২০০২ সালের ১১ নম্বর আইন) প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির জন্য এই আইনটি মেয়াদান্তে পুনঃ পুনঃ সময় বৃদ্ধি না করে স্থায়ীভাবে আইনে পরিণত করা প্রয়োজন।

এমতাবস্থায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে এবং বিভিন্ন ধরনের গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০২৪ শীর্ষক বিলটি জাতীয় সংসদে আনা হয়েছে।

Nagad

বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলের সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ এবং মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।