জামিন পেলেন বিএনপি নেতা হাফিজ
রাজধানীর গুলশান থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার (১০ মার্চ) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আ স ম শামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
মেজর অব. মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী এনায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের বক্তব্য শুনে এবং বয়সের বিবেচনায় আদালতের বিচারক তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ২৮ ডিসেম্বর পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা এ মামলায় বিএনপিনেতা মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদের এক বছর ৯ মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৪ জুন মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাঙ্কির সামনে রাস্তায় সমাবেশ করার সময় আসামিরা পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের আক্রমণ করেন। তারা রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান তালুকদার এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার বর্ণনায় তিনি বলেন, মামলার ২ নম্বর আসামি একই এলাকার মো. বাবুল হাওলাদারের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন মেজর হাফিজ। ওই ফোনালাপে আপত্তিকর কথাবার্তা ছিল, যা দ্বারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুলের চেষ্টা করা হয়েছে। বিষয়টি পরবর্তীকালে সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ফরিদুল হক পরে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাটি বর্তমানে বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।
বর্তমান সরকার দেশকে লুটপাট করতে ক্ষমতায় এসেছে বলে মন্তব্য করেন মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এই লুটপাটের খবর যাতে চতুরদিকে ছড়িয়ে পরতে না পারে তাই সাংবাদিকদের হেনস্থা করতে সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা যাতে ভয় পায়, তারা যাতে সত্য তুলে আনার ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত হয় এজন্য দমন নীতি চালানো হচ্ছে। অথচ তাদের নিজেদের সম্পদের হিসাব এখনো তারা দেয়নি।