শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জের, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:৪৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে সহপাঠীদের অবরোধ ও বিক্ষোভের মুখে শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ আদেশের পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের পরদিন শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে আবাসিক হল ছাড়ারও নির্দেশ দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা শাহ আমানত পরিবহনের আটকে রাখা দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে।

চুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আশানুরূপ সাড়া না দেওয়ায় চুয়েট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত সোমবার (২২ এপ্রিল) বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী শান্ত সাহা (২২) ও তৌফিক হোসেন (২১) নিহত হন। গুরুতর আহত হন জাকারিয়া হিমু (২১) নামে আরেক শিক্ষার্থী। হিমু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চুয়েটের কাছাকাছি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জিয়ানগর এলাকায় পৌঁছালে তাদের মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বেপরোয়া গতির শাহ আমানত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সেদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা চুয়েটের প্রধান গেটের সামনে শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।

দুই ছাত্র নিহত ও একজনের আহতের ঘটনায় এদিন রাতেই চুয়েট শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা করে। মঙ্গলবার ও বুধবারও শিক্ষার্থীদের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলে, যা বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চলমান থাকে।

Nagad

উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তৌফিকের গায়েবানা জানাজা চুয়েটের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।