চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা, যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৪৬ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২৪

আপাতত সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই সরকারের-বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন- আগামীতে বাড়াবো কিনা, বাড়ালে ভালো হবে কিনা—এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। বিষয়টি আরও আলোচনা-পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে দেখবো। তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।

সোমবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এসময় সম্পূরক প্রশ্নে চাঁদপুর-৫ আসনের রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম ও সংরক্ষিত আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিন চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে কিনা তা জানতে চান।

রফিকুল ইসলাম তার প্রশ্নে বলেন, সরকারি চাকরিতে যোগদানের যে বয়সসীমা রয়েছে তা অনেক আগে নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে আমাদের দেশের মানুষের আয়ুকাল ৬২ বছর থেকে ৭২ বছরে এসে পৌঁছেছে। এখন এটা অত্যন্ত যৌক্তিক হবে সরকারি চাকরিতে যোগদানের বর্তমান বয়সসীমা শিথিল করে অন্তত ৩৫ বছরের কাছে নিয়ে যান। এটা হলে কর্মসংস্থানের অভাবে আমাদের হতাশাগ্রস্ত তরুণ ও যুবসমাজ প্রতিযোগিতায় এসে সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারবে।

জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চাকরির বয়স ছিল ২৭ বছর, সেখান থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সেটা ৩২ বছর করা হয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে। আমরা সবসময় যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জনবল কাঠামো ও নিয়োগ প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করে থাকি। যুগের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমরা পরিবর্তনও করে থাকি।

বয়স বাড়ানো প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা সবসময় বলে আসছি, ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট যারা তাদের রিক্রুট করতে চাই। এটা সরকারের একটা পলিসি। আমরা বিসিএস-এর মাধ্যমে দেখে থাকি ২২/২৩ বছর বয়স থেকেই তারা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। তারা ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকেন। এজন্য তারা যোগদানের যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন।

Nagad

প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি সংসদে জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় যুগের প্রয়োজনে নতুন যেটা করলে ভালো হবে সেটা চিন্তা-ভাবনা করে থাকি। তবে আমি মনে করি, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমরা চাকরির বয়স-আগামীতে বাড়াব কী বাড়াব না, বাড়ালে ভালো হবে কিনা?— এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব।

সংরক্ষিত আসনের ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী একটি আধাসরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন। সরকারের এটা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের একটি পত্র আমরা এরইমধ্যে পেয়েছি। আগেই বলেছি এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনা করব। তবে আপাতত চাকরির প্রবেশের বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত নেই। এটা নিয়ে আরও আলোচনা-পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে দেখব।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।