‘পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় ছিল সেখানে শিক্ষার পরিবেশ ছিল না’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১১:২০ পূর্বাহ্ণ, মে ১২, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় ছিল সেখানে শিক্ষার পরিবেশ ছিল না। শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র হাতে তুলে দিয়েছিল। সেশনজট প্রতিনিয়ত ছিল। সাক্ষরতার হারও আর বাড়াতে পারেনি। আমরা ক্ষমতায় এসে সাক্ষরতার হার বাড়াই।

রোববার (১২ মে) সকাল সোয়া ১০টার পর গণভবনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে দিচ্ছি। প্রতিটি জেলা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। কারিগরি শিক্ষায় অংশগ্রহণের হার ২২ ভাগে উন্নীত হয়েছে। এটা ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ ভাগ, ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৪১ ভাগ করার পরিকল্পনা আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যাতে খেলতে খেলতে শিখতে পারে, সে উদ্যোগ নিতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে আমাদের ছেলেমেয়েদের শিখাতে হবে। জাতির পিতা বলতেন, সোনার বাংলা গড়তে হবে। সোনার বাংলার জন্য সোনার মানুষ অপরিহার্য।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্র সংখ্যা কম জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রদের সংখ্যাটা কেন কম কারণটা খুঁজে বের করতে হবে। আমাদেরও উদ্যোগ নিতে হবে। কী কারণে ছাত্ররা কমে যাচ্ছে দেখতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, পাসের হারেও মেয়েরা অগ্রগামী। এই বিষয়টা নিয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। সব উদ্যোগের পরও ছেলেরা কেন কমে যাচ্ছে এবং ফলাফলে তারা কেন পিছিয়ে সেটা বের করতে হবে।

Nagad

তবে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান। বলেন, মেয়েরা একটা সময স্কুলে যেতেই পারত না। এখন কিন্তু সেটা নেই। ৯৮ ভাগ মেয়ে স্কুলে যায়। মেয়েদের শিক্ষার পরিবেশ আমরাই করে দিয়েছি।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল দেওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। বলেন, একটা সময় মাসের পর মাস ছেলেমেয়েরা ফলাফল পেত না। এখন ৬০ দিনের মধ্যে পায়। কোভিডের মধ্যেও যথাসময়ে আমরা রেজাল্ট দিয়েছি।

এবারের পরীক্ষায় যারা কৃতকার্য হয়েছে তাদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও অভিনন্দন জানান তিনি। আর যারা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের মন খারাপ না করে আগামীতে আরও ভালো করার তাগিদ দেন সরকারপ্রধান।

এ সময় তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, ফেল করেছে বলে গালমন্দ করবেন না। ফেল করেছে এতেই তো তাদের মনোকষ্ট। তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে। পড়াশোনার দিকে আরও মনোযোগী করতে হবে। তাদের গালমন্দ করলে শিক্ষার্থীরা সেটা নিতে পারে না এবং অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

এদিন সোয়া ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। এতে মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।