‘জামায়াত মুখোশপরা সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, নিষিদ্ধের পদক্ষেপ শুরু’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:৫৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২৪

সাবেক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

১৪ দলের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের পদক্ষেপ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন-জামায়াত ধর্মের নামে মুখোশপরা সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। নানা সময় তাদের প্রকাশ্যে ও গোপনে নানা অপতৎপরতা, নাশকতা, ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং দেশের জনগণও সেটা অবগত।

আইনের ফাঁক গলে জামায়াত যেন কোনভাবে পার না পেতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার পর সারাদেশে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের জানা মতে নিরপরাধ কাউকে আটক করা হচ্ছে না। অতি উৎসাহী হয়ে কেউ যেন নিরপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানি না করে সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের আটকের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছেন বলেও অভিযোগ করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবদের কাছে আবার সবাই নিরপরাধ, সবাই অসহায়। তাহলে প্রশ্ন, এই ধ্বংসযজ্ঞ চালালো কারা? কারা অগ্নিসংযোগ করলো? আজকে বাংলাদেশে যে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে, এগুলো কারা করেছে? আজকে কথায় কথায় সরকার ও আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করা হয়। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, এই ঘটনাপ্রবাহে আমরা আক্রান্ত, আমরা আক্রমণকারী ছিলাম না। এখন অপবাদ দেওয়া হচ্ছে আক্রান্তদের।’

তিনি আরও বলেন- জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা জন্য বিভিন্ন দিক থেকে দীর্ঘদিন যাবত রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা, নাগরিক সমাজ দাবি তুলে আসছে। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সেসময় গঠিত গণআদালত, অতীতে গণজাগরণ মঞ্চের দাবিও ছিল জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করা। এছাড়া দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এক রায় জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে।

Nagad

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন না থাকলে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমন আছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হিটলারের নক্সে পার্টি রাজনীতি করতে পারেনি জার্মানিতে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জামায়াত ইসলাম দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ আছে।