কুমিল্লার মাধাইয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল ৫০ দোকান

কুমিল্লা সংবাদদাতা:কুমিল্লা সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪

কুমিল্লার চান্দিনার মাধাইয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে অন্তত ৪০ থেকে ৫০টি দোকান। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করলেও আগুন দ্রুত পুরো বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরে দাউদকান্দি ও কুমিল্লার ফায়ার স্টেশন থেকে আরও ইউনিট যুক্ত হয়।

সাড়ে ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি মিষ্টির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন বাজারের অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।

এই ভয়াবহ ঘটনায় আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রাথমিকভাবে এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আগুনের তীব্রতায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে পানির ট্যাংকারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম আনার জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Nagad

কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, চান্দিনা ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় দাউদকান্দি ও কুমিল্লার ফায়ার স্টেশন থেকে আরও পাঁচটি ইউনিট ডাকা হয়। মোট ছয়টি ইউনিটের সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

তিনি আরও বলেন, “আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।”

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দ্রুত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, বাজারের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনায় তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি ও পুনর্বাসনের বিষয়েও আলোচনা চলছে।

মাধাইয়া বাজার চান্দিনা উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এখানে বিভিন্ন ধরনের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই অগ্নিকাণ্ডে বাজারের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।