ছাত্রদল নেতা পরিচয়ে চাঁদাবাজি: গণধোলাইয়ের পর পুলিশের হাতে সোপর্দ
দিনাজপুর সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক ও তার সহযোগী আপেল চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। নিজেকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে দিনাজপুর সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের ভাটিনা ঠাকুরবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।


মামলার বাদী চৈতু বর্মণের অভিযোগ, ছাত্রদল নেতা আব্দুর রাজ্জাক ও তার সহযোগীরা একটি প্রেম ঘটিত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে চৈতুকে তার ছেলের অবস্থান জানানোর জন্য জোরপূর্বক টাঙ্গাইল নিয়ে যান। পরে চৈতু ও তার ছেলেকে দিনাজপুরে এনে আটক রেখে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে আব্দুর রাজ্জাক পুনরায় ভাটিনা ঠাকুরবাড়ি এলাকায় এসে চাঁদার টাকা দাবি করলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তারা এগিয়ে এসে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রাজ্জাক ও তার সহযোগীরা পালানোর চেষ্টা করেন। বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মতিউর রহমান জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাককে ছাত্রদলের আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের সতর্কতা ও ৯৯৯-এ অভিযোগ জানানোর ফলে এ ধরনের একটি অপরাধ দ্রুত দমন করা সম্ভব হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে জনসচেতনতার জন্য স্থানীয়দের ধন্যবাদ জানিয়েছে।