ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত: সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানসহ তিন সামরিক কর্মকর্তা বরখাস্ত
যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীতে বড় ধরনের রদবদল আনলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘চেয়ারম্যান অব জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ’ জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে বরখাস্ত করেছেন তিনি। একই সঙ্গে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঙ্কচেট্টি ও বিমান বাহিনীর উপপ্রধান জেনারেল জেমস স্লিফকেও অপসারণ করা হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প কিউ ব্রাউনের জায়গায় বিমান বাহিনীর (অব.) লেফটেনেন্ট জেনারেল জন ডান কেইনকে নিয়োগ দিয়েছেন। তবে কেইন ‘ফোর স্টার’ জেনারেল নন, বরং তাঁকে অবসর থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিশ্লেষকরা একে ‘অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন।


শুক্রবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউন একজন ভদ্রলোক এবং অসাধারণ নেতা ছিলেন।” তবে একই সঙ্গে তিনি আরও কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে অপসারণের ইঙ্গিত দেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথকে আরও পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে নির্দেশ দিয়েছি, যা দ্রুতই ঘোষণা করা হবে।’
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরখাস্ত হওয়া লিসা ফ্রাঙ্কচেট্টি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ ও নৌবাহিনীর প্রথম নারী প্রধান। তবে ট্রাম্পের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ তাঁর নিয়োগ নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। ২০২৪ সালেই লিসার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যদি নৌ কর্মকর্তারা ব্যর্থ হন, তবু আমরা মাথা উঁচু করে রাখতে পারব। কারণ আমাদের অন্তত একজন প্রথম নারী জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ রয়েছে।’
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই সামরিক বাহিনীতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার জেনারেল ব্রাউনকে বরখাস্ত করার মাধ্যমে তিনি সেই রদবদল শুরু করলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন নিয়োগ পাওয়া জন ডান কেইন একজন যুদ্ধবিমান এফ-১৬ এর পাইলট। গত বছর পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) মিলিটারি অ্যাফেয়ার্সের সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন।