স্টার্টআপ বাংলাদেশ রোডম্যাপ প্রকাশ: উদ্ভাবন ও স্টার্টআপ খাত শক্তিশালীকরণে ৭ দফা কৌশল
উদ্ভাবন এবং স্টার্টআপ খাতকে শক্তিশালী করতে ‘স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এনাবলার্স রিপোর্ট ও রোডম্যাপ’ প্রকাশ করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অধীন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। রাজধানীতে আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের অংশীজন সভায় এই রোডম্যাপ উন্মোচন করা হয়।
আজ শনিবার (২৪মে) অনুষ্ঠিত হওয়া এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আইসিটি বিভাগের সচিব ও স্টার্টআপ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি। অংশ নেন স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন খাতের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনরা।


উন্মোচনকৃত প্রতিবেদনে সাতটি প্রধান এনাবলার বা সহায়ক উপাদানকে সামনে আনা হয়েছে: ১. অ্যাক্সিলারেটর ও ইনকিউবেটর, ২. চ্যালেঞ্জ ফান্ড, ৩. স্থানীয় এলপি সম্পৃক্ততা, ৪. ফান্ড ম্যানেজার প্রশিক্ষণ, ৫. ন্যাশন ব্র্যান্ডিং
৬. নীতিনির্ধারণী সহায়তা, ৭. স্টার্টআপ সামিট।
প্রতিবেদনটি স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে। রোডম্যাপ বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ এবং আইসিটি বিভাগ।
সভায় শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘এই রোডম্যাপ কেবল একটি কৌশলগত দলিল নয়, বরং আমাদের প্রতিশ্রুতি—একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, প্রতিযোগিতামূলক ও উদ্ভাবন-সহায়ক স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার। এক্ষেত্রে সরকার, বিনিয়োগকারী, একাডেমিয়া, কর্পোরেট এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
নতুন রোডম্যাপে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে স্টার্টআপের সংখ্যা বৃদ্ধি ও তাদের স্কেল আপ সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর। অংশীজন পর্যালোচনার ভিত্তিতে অগ্রাধিকারভিত্তিক কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে বলে জানায় স্টার্টআপ বাংলাদেশ।