গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে মৃত্যু ৫৪ হাজার, বেশিরভাগই নারী ও শিশু
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫৩ হাজার ৯৭৭ জন ফিলিস্তিনি, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
মঙ্গলবার (২৭ মে) তুরস্কভিত্তিক আনাদোলু এজেন্সি ও কাতারভিত্তিক আলজাজিরা এই তথ্য জানায়।


প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন আরও ৮১ জন, যাদের মধ্যে ৫৩ জনই গাজা সিটির বাসিন্দা। আহত হয়েছেন অন্তত ১৬৯ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া অনেকে এখনও উদ্ধার না যাওয়ায় প্রকৃত মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।
কিন্তু বিরতির দুমাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে দখলদাররা। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৮২২ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১১ হাজার।
এদিকে, প্রায় তিন মাস ধরে চলা ইসরায়েলি অবরোধের ফলে গাজায় খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ সরবরাহ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সতর্ক করেছে, অল্প সময়ের মধ্যেই হাজার হাজার শিশু অনাহারে মারা যেতে পারে।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) বলছে, বর্তমানে গাজায় ৭০ হাজারেরও বেশি শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।