ক্রেডিট কার্ড নিতে থাকছে না রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা
করদাতাদের কর সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা সহজ করতে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ক্রেডিট কার্ডসহ ১২টি সেবা গ্রহণে আর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকছে না। এসব সেবার ক্ষেত্রে কেবল টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) সার্টিফিকেট জমা দিলেই চলবে।
সোমবার (২ জুন) জাতীয় সংসদে নতুন বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, কর পরিপালনের প্রক্রিয়া সহজ করে তুলতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে করদাতারা আগে যেসব সেবা নিতে গেলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে বাধ্য হতেন, এখন সেগুলোর একটি অংশে তা আর প্রয়োজন হবে না।


আরও যেসব প্রস্তাব রয়েছে:
১. মৌলিক ধর্মীয় ও সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান ছাড়: তহবিল, এতিমখানা, অনাথ আশ্রম এবং ধর্মীয় উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে।
২. ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে উৎসে কর রিটার্ন: উৎসে কর কর্তনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য মাসিক রিটার্ন দাখিলের পরিবর্তে এখন থেকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে রিটার্ন জমা দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
৩. অতিরিক্ত দলিলমূল্যে কর নির্ধারণ: জমি বা স্থাপনা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে দলিলমূল্যের অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করলে, তা ব্যাংক বিবরণী ও দালিলিক প্রমাণাদির ভিত্তিতে যাচাই করে মূলধনি আয়ের হারে কর আরোপের বিধান রাখা হয়েছে।
৪. স্বনির্ধারণী রিটার্নের অডিট প্রক্রিয়া সহজ: স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিল করা রিটার্নের অডিট নিয়ে মাঠপর্যায়ে যে জটিলতা দেখা দিচ্ছিল, তা নিরসনে নতুন অডিট বিধান প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়িত হলে কর ব্যবস্থার জটিলতা অনেকটাই হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি করদাতাদের মধ্যে উৎসাহও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।