বৃষ্টি-তুষারপাতের সাথে লড়াই করছে তুর্কি উদ্ধারকর্মীরা

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে ও উত্তর সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১৫ হাজার আহত হয়েছেন। তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের এই ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে উদ্ধারকারীরা ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতের সাথে লড়াই করছে।

মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এইসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার ভোরে ঘটে যাওয়া ওই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।

বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দিনের আলো ফুটতেই উদ্ধারকারীরা তাদের উদ্ধার তৎপরতা বাড়াতে শুরু করে। উদ্ধারকাজের জন্য রাতভর আদানা শহরে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। পুরো শহরটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। যখনই কাউকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার করা হচ্ছিল উদ্ধারকারীরা ‘আল্লাহু আকবার’ তাকবির দিয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে, আদানার বাসিন্দারা এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। অনেকে খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছেই অবস্থিত ওসমানিয়া শহরে বৃষ্টির কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। পুরো শহরটিই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে শীত ও বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ছে।

Nagad

তুরস্কের জাতীয় দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধসে পড়া চার হাজার ৭০০-এর বেশি ভবন থেকে অন্তত আট হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে তুরস্কে পর পর দুইটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। প্রথমটি হয়েছে ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে, সেটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। আর দ্বিতীয় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে তার ১৫ মিনিট পর। সেটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দুটির উৎপত্তিস্থল। তুরস্ক ছাড়াও সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাসে কম্পন অনুভূত হয়েছে।

সারাদিন/০৭ ফেব্রুয়ারি/এমবি