আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
সংকটের মধ্যে সরকারের ‘গাড়িবিলাস’
করোনাকাল ও অর্থনৈতিক সংকটে সরকারের সুদমুক্ত ঋণে গাড়ি কিনেছেন কর্মকর্তারা। ডিসি–ইউএনওদের সরকার দিচ্ছে নতুন গাড়ি
করোনাকালে দেশের অর্থনীতি সংকটে পড়েছিল। এখন চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধপরবর্তী সংকট। এই সংকটে সরকার মিতব্যয়িতা, অর্থাৎ কৃচ্ছ্রসাধনের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই চলছে সরকারি কর্মচারীদের জন্য গাড়ি কেনা। সরকারি কর্মচারীদের সরকার সুদমুক্ত ঋণে গাড়ি দেয়। এর বাইরে নতুন করে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য গাড়ি কেনা হচ্ছে। ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের জন্য গাড়ি কেনার প্রস্তাব জমা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। প্রকৌশলী ও পুলিশের গাড়ি কেনার প্রস্তাবও জমা আছে।সরকার গাড়ি কেনার ব্যয়সীমাও সম্প্রতি বাড়িয়েছে। এখন ৯৪ লাখ টাকার বদলে সর্বোচ্চ ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা দামের গাড়ি কেনা যাবে।
যদিও সরকার টাকার সংকটে রয়েছে। কয়েকটি খাতে ভর্তুকির অর্থ যথাসময়ে দেওয়া হচ্ছে না। জ্বালানি খাতে ভর্তুকি তুলে নেওয়া হয়েছে। সারে ভর্তুকি কমাতে দাম বাড়ানো হয়েছে দুই দফা। বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানো হয়েছে দফায় দফায়। চিনি ও ভোজ্যতেলের মতো কিছু খাদ্যপণ্যে শুল্কছাড়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো
আবার দেখা হাসিনা-বাইডেন
বৈশ্বিক অর্থসংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা পুনর্গঠন করুন, উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। বাইডেন ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে নিউইয়র্কে আগত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্ট’-এ ভোজসভার মধ্য দিয়ে এ সংবর্ধনার আয়োজন করেন। প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) থিমেটিক অ্যাম্বাসাডর সায়মা ওয়াজেদ এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। এদিকে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে স্পেন ও ইউরোপীয় কাউন্সিল আয়োজিত ‘টুওয়ার্ডস এ ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল-আর্কিটেকচার’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এই গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী ক্রেডিট রেটিং সিস্টেম পর্যালোচনা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এটি বর্তমানে অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের জন্য তহবিলের সুবিধা সীমিত করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে একমত যে বৈশ্বিক ক্রেডিট রেটিং সিস্টেম অবশ্যই পর্যালোচনা করা উচিত। বর্তমান রেটিং সিস্টেম অনেক নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশের জন্য তহবিলের সুবিধা আরও সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
বিএনপি আসবে না ধরেই ইসির ‘সুষ্ঠু’ ভোটের প্রস্তুতি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আসবে না– এমনটা ধরে নিয়েই ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ’ ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। সংবিধান নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজনে সরকার বদ্ধপরিকর– ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে। ফলে জোরেশোরে প্রস্তুতি শুরু করেছে কমিশন।নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মকর্তারা বলছেন, অংশগ্রহণমূলক না হলেও নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, সে জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবেন। সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় প্রতিশ্রুতিও পাওয়া গেছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। অন্যদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, বর্তমান কমিশন সরকারের হয়ে কাজ করবে। এতে বিস্ময়ের কিছু নেই। ইসির শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, সাংবিধানিক নির্দেশনা মেনে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইসি কার্যালয়ের সচিব জাহাংগীর আলম গতকাল বুধবার বলেন, ‘নির্বাচনের টাইমলাইনের মধ্যে ইসি ঢুকে গেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশন যখন যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে অনুযায়ী সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে তারা কাজ করবেন।’ সূত্র: সমকাল
বেসরকারি ব্যাংক পরিচালনা
পর্ষদ ও এমডির দ্বন্দ্বে দুর্বল হচ্ছে ব্যাংক
বেনামি ও বেআইনি ঋণ অনুমোদন না করাই বিরোধের মূল কারণ * নির্বাচনের বছরে বিধিবহির্ভূত ঋণ দেওয়ার চাপ বাড়ে
পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো কোনো বেসরকারি ব্যাংক পর্ষদের পরিচালক মাত্রাতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করছেন। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিবিধানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বেআইনি সুযোগ-সুবিধা পেতে চাচ্ছেন। এসব দিয়ে একদিকে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) ফেঁসে যাচ্ছেন। অন্যদিকে না দিলে ব্যাংকে মানসম্মান নিয়ে থাকা যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করছেন। সম্প্রতি চারটি ব্যাংকের এমডি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হস্তক্ষেপ করে দুজন এমডিকে কাজে যোগদান করাতে পেরেছেন। এসব বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা নষ্ট হচ্ছে। এতে নানামুখী টানাপোড়েন বাড়ছে। ফলে দুর্বল হয়ে পড়ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো। প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংক চলে আস্থা, বিশ্বাস ও সুশাসনের ওপর। তিনটি বিষয়েই এখন বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ ঘাটতির কারণেই পর্ষদ ও এমডির মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এটি আগে পর্ষদের বৈঠকেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখন সেটি প্রকাশ্যে এসেছে। এতে ব্যাংকের দুর্নাম হচ্ছে। সূত্র: যুগান্তর
অপ্রতুল চিকিৎসা, স্যালাইন সংকট: ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগীদের দুর্ভোগ কাটছেনা
ঢাকার বাইরে দ্বিগুণ হারে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগী। রোগী বাড়লেও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে এখনো ইনজেকশনযোগ্য স্যালাইনের সংকট রয়েছে। হাসপাতালে বেড সংকট, জনবল সংকট, প্লাটিলেট আলাদা করার ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীরা। সে কারণে জটিল অবস্থায় ডেঙ্গু রোগীরা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসতে বাধ্য হচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে, এদের মধ্যে ১০ জন ঢাকার এবং ১১ জন ঢাকার বাইরে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩,০১৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৮৫৭ জন ঢাকার, বাকি ২,১৫৮ জন দেশের অন্যান্য স্থানের।এদিকে ঢাকার ৩৮১৯ জন সহ সারা দেশের মোট ১০,২৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী এখন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঢাকার বাইরে ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। গত দুই মাসে ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৩৮ জন মারা গেছে। বর্তমানে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৮২১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়লেও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি।হাসপাতালগুলোতে বেড সংকট তীব্র। অনেক রোগীকে মেঝেতে-বারান্দায়, চলাচলের রাস্তায় বিছানা পেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে চরম সংকট দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইনজেকশনযোগ্য স্যালাইনের। এছাড়াও কয়েকগুণ বেড়েছে রক্তের চাহিদা। চাহিদা অনুযায়ী রক্ত ও প্লাটিলেট দেওয়া যাচ্ছে না। ফরিদপুরের মত বাগেরহাটে বেড়েই চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় সঠিক সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বাগেরহাট ২৫০ বেড জেলা হাসপাতালে শুধু ডেঙ্গু রোগীই ভর্তি আছে ৩০২ জন। অন্যান্য হাসপাতালগুলোতেও বেডের তুলনায় ডেঙ্গু রোগী বেশি ভর্তি আছে। এ হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নেওয়া আলোকদিয়া এলাকার নজরুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, “হাসপাতাল এত অপরিষ্কার তা বোঝানো যায় না। বাথরুমে আলো নাই, ট্যাপ নাই, দরজার সামনে ময়লা। গরিব মানুষ তাই, সরকারি হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু এত অপরিষ্কার জায়গায় থাকলে তো অসুস্থ হয়ে যাব।” ইকবাল হোসেন নামে আরেক রোগী বলেন, “ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু দুর্গন্ধে থাকতে না পেরে মেঝেতে এসে রয়েছি। ওখানে থাকলে মানুষ আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাবে।”বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, “শুধু ডেঙ্গু নয়, হাসপাতালে সব ধরণের রোগী বেড়েছে। ঔষধের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও, জনবল সংকটের কারণে রোগীদের সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। যার কারণে মানুষকে কাঙ্খিত সেবা দিতে পারছিনা। এরপরেও আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।” সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা মারার কাজ শুধু কথায়
শহর ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এবার ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। এডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে মানুষ। রাজধানীর বাইরে হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মশা নিধন বা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনামুখর বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরাও। প্রশ্ন আছে সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা নিয়েও।জানা গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা ও প্রচার খাতে (স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যয়ের বাইরে) ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। এরই মধ্যে ৩২৫টি পৌরসভাকে প্রথম কিস্তির মোট ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর আগে সিটি করপোরেশনগুলোকে দেওয়া হয়েছে মোট ১০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞরা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, এই বরাদ্দ একেবারেই অপ্রতুল। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
চনপাড়া অপবাদ কবে ঘুচবে, প্রশ্ন ফুলজান বিবির
রোকসানা খানম (ছদ্মনাম)। চনপাড়া পুনর্বাসনের মেয়ে। একযুগ আগে বিয়ে হয়েছিল মুন্সীগঞ্জে। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর মুখে তার এলাকার (চনপাড়ার) অপবাদ শুনতে হতো। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। একপর্যায়ে তাদের তালাক হয়ে যায়। গত ৪ বছর ধরে ওই নারী মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছেন। যেন নিজের মতো মেয়ের জীবনে চনপাড়ার অপবাদ গায়ে মাখতে না হয়।
ফাল্গুনী আক্তার ও রোশনা বেগম (ছদ্মনাম)। থাকতেন চনপাড়া পুনর্বাসনে। অনেক চেষ্টায় বিয়ে হয় পাশের নোয়াপাড়া এলাকায়। কিন্তু চনপাড়া পুনর্বাসন এলাকার মেয়ে হওয়ায় আজও মেনে নেয়নি ছেলেদের পরিবার। ১১ বছর ধরে তারা চনপাড়া নামক অপবাদ মাথায় বইয়ে বেড়াচ্ছেন। মাদক ও অপরাধের সাম্রাজ্য হওয়ার কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।রোজা (ছদ্মনাম)। মাস্টার্স পাস করেছেন বছর তিনেক আগে। এ পর্যন্ত অনেক বিয়ের সম্বন্ধ এসেছে। অনেক ভালো ছেলে দেখতে এসেছে। কিন্তু চনপাড়া নাম শোনার পর আর বিয়ে এগোয়নি। রোজাকে নিয়ে তার পরিবার এখন চিন্তায় আছেন। সূত্র: দৈনিক বাংলা ।
লক্ষ্য কম প্রাপ্তি আরও কম
বিদেশি মুদ্রার সংকট বাড়ছে, বাড়ছে সরকারের ঋণ পরিশোধের চাপও। প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমায় রিজার্ভ ৯ বছরের সর্বনিম্ন অবস্থায়। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরে সরকার যে ঋণ পাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে, সেখানেও প্রাপ্তি কম। সরকার ১১ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে অর্থবছরের প্রথম মাসে পেয়েছে ৪০ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৭ শতাংশ কম। ঋণের অর্থছাড়ের এ গতি চলতে থাকলে চলতি অর্থবছরেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হয়ে যাবে। আগের অর্থবছরে (২০২২-২৩) বিদেশি ঋণের অর্থ পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ বিলিয়ন ডলারের। কিন্তু বছর শেষে পাওয়া গেছে ৮ বিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৩ শতাংশ কম।বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিদেশি চাপ অব্যাহত আছে। ঋণদাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকেও সাড়া মিলছে না। সরকার রিজার্ভ বাড়াতে বিদেশি ঋণদাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে চলতি অর্থবছর বিভিন্ন প্রকল্পে নতুন করে আরও ৬২২ কোটি ডলার ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। সরকার এটাকে পাইপলাইনে থাকা অর্থ হিসেবে বিবেচনা করছে। ঋণের অর্থছাড় হয় চুক্তি হওয়ার মধ্য থেকে।গত অর্থবছরের শুরুতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, সরকারের পাইপলাইনে এ পর্যন্ত ৫০ বিলিয়ন ডলার ঋণ আটকে আছে। অর্থাৎ এ পরিমাণ অর্থ পাওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে, কিন্তু কোনো চুক্তি হয়নি। সূত্র: দেশ রুপান্তর
‘নির্বাচন ঘিরে সংঘাত দেখছে ইইউ, পাঠাবে না পর্যবেক্ষক’
নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক পাঠানো প্রসঙ্গে সমকালের প্রধান শিরোনাম, “নির্বাচন ঘিরে সংঘাত দেখছে ইইউ, পাঠাবে না পর্যবেক্ষক”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সংঘাতের শঙ্কা করে পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রাক পর্যবেক্ষক দলের তৈরি করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।নির্বাচন কমিশন বা সরকার আমন্ত্রণ জানালে জাতীয় নির্বাচনে পূর্ণ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর বদলে ছোট একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে পারে ইইউ। বুধবার সরকারকে এ বিষয়ক চিঠি দিয়েছে তারা।বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলস থেকে এ-সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
‘খেলোয়াড়দের’ পোয়াবারো, বিপাকে বিনিয়োগকারী-ব্রোকার
একের পর এক কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়িয়ে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার থেকে মোটা অঙ্কের মুনাফা তুলে নিচ্ছেন, যাদের শেয়ারবাজারে ‘খেলোয়াড়’ বা ‘বিশেষ চক্র’ বলা হয়। এই ‘খেলোয়াড়রা’ শেয়ারবাজার থেকে বড় অঙ্কের মুনাফা তুলে নিলেও শেয়ারবাজারের প্রাণ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বিপাকে রয়েছেন। সেই সঙ্গে যাদের মাধ্যমে শেয়ারবাজারের লেনদেন হয়, সেই ব্রোকারেজ হাউজ সংশ্লিষ্টরাও রয়েছেন বিপাকে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বেঁধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) আটকে থাকায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বেশিরভাগ নতুন বিনিয়োগে যেতে পারছেন না। মাসের পর মাস লোকসানে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হচ্ছেন।অপরদিকে অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন না হওয়ায় লেনদেনের গতিও বাড়ছে না। ফলে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আয়েও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আয়ের একমাত্র উৎস লেনদেন থেকে পাওয়া কমিশন। লেনদেন কম হওয়ায় তাদের কমিশন আয় কমে গেছে। ফলে অনেক ব্রোকার তাদের কর্মীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। সূত্র: জাগো নিউজ