আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
গাজা সিটির ‘কেন্দ্রস্থলে’ ইসরায়েলি সেনারা
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, তাঁর দেশের সেনারা এখন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার গাজা সিটির কেন্দ্রস্থলে আছেন।গতকাল মঙ্গলবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইয়োভ গ্যালান্ট এ কথা বলেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী স্থল, বিমান, নৌসেনাদের সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয়ের মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণ দিক দিয়ে গাজা সিটিতে হানা দিয়েছে বলে জানান ইয়োভ গ্যালান্ট।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরে গাজা সিটির অবস্থান। গাজা সিটি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইতিমধ্যে বলেছেন, তাঁর দেশের সেনারা গাজা সিটি ঘেরাও করছেন। তাঁরা গাজা সিটির ভেতরে সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছেন। তিনি বেসামরিক লোকজনকে গাজা উপত্যকার দক্ষিণে চলে যেতে অনুরোধ জানিয়েছেন। সূত্র: প্রথম আলো


জাপানে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে প্রাধান্য পাবে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ
বিশ্বের ধনী সাতটি দেশের জোট জি৭ বৈঠকে যোগ দিতে জাপানে জড়ো হয়েছেন সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বৈঠকে যোগ দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। পর্যবেক্ষক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া দুই দিনের বৈঠকে প্রাধান্য পাবে চলমান ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ। চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের সমাধান খুঁজতে সদ্য মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ
শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে গাজা
গাজা উপত্যাকায় এক মাস ধরে লাগাতার বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ সময়ে অন্তত ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে শিশু প্রায় অর্ধেক। সোমবারও হামলায় কমপক্ষে ২০০ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলের হামলা জোরদার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাজা শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতি ঘণ্টা পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘মানবিক অস্ত্রবিরতির’ প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি বাড়ছে। এর আগে এক যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলে, গাজা এবং ইসরায়েলে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকান্ড ভয়াবহ। তিনি আরও মন্তব্য করেন, এটি একটি সার্বিক মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে। গোটা বিশ্বের উচিত এ পরিস্থিতি থামানোর জন্য আবেদন করা। এর আগে গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, উপত্যকাটিতে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ছয় শিশু ও পাঁচ নারী নিহত হচ্ছেন এবং গাজার জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ ইসরায়েলি বোমা হামলা ও আক্রমণে বাধ্য হয়ে বাড়ি ছেড়েছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান: হোয়াইট হাউসের আমন্ত্রণ প্রত্যাখান কানাডিয়ান কবির
ইসরায়েল ও হামাসের চলমান যুদ্ধে জো বাইডেন প্রশাসনের অবস্থানের প্রতিবাদে হোয়াইট হাউসে দীপাবলি উদযাপনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখান করেছেন কানাডিয়ান কবি রুপি কৌর। খবর বিবিসি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে জানান, বেসামরিক ব্যক্তিদের ‘সম্মিলিত শাস্তিকে সমর্থন করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে না বলেছেন’ তিনি। অন্যান্য দক্ষিণ এশীয়দেরও মার্কিন সরকারকে জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়েছেন রুপি। আজ বুধবারের (৮ নভেম্বর) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।রুপি কৌরের জন্ম ভারতে। ‘মিল্ক অ্যান্ড হানি’ সংকলনের জন্য প্রশংসিত এ কবি বলেন, আশ্চর্য যে এই প্রশাসন দীপাবলি উদযাপন করা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছে। এটি হিন্দুদের আলোর উৎসব। মিথ্যার ওপর ধার্মিকতা ও অজ্ঞতার ওপর জ্ঞানকে গুরুত্ব দিয়ে এটি উদযাপন করা হয়। সূত্র: বণিক বার্তা।
ফিলিস্তিনিরা আর না, গাজার নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইসরায়েলের হাতে: ডানপন্থি রাজনীতিবিদ
কট্টর ডানপন্থি ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ সিমচা রথম্যান বলেছেন, যুদ্ধ শেষে গাজাকে কোনোভাবেই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) নিয়ন্ত্রণে দেওয়া যাবে না। রথম্যান বলেন, ‘[ফিলিস্তিনি] কর্তৃপক্ষ তাদের উসকানিমূলক “শিক্ষাব্যবস্থার” অধীনে পরের প্রজন্মকে ঘৃণ্য খুনি হিসেবে গড়ে তুলছে।’ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ইহুদিদের হত্যাকারীদের বেতন দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে রথম্যান লেখেন, ‘অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি করবেন না! একমাত্র ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ ও [গাজা] উপত্যকার পরিপূর্ণ অসামরিকীকরণই নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে পারে।’ পিএ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজায় ফিরতে পারে, এমন ইঙ্গিত দেওয়ার পরই এ মন্তব্য করলেন রথম্যান। তবে সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য গাজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজের হাতে রাখতে পারে। সংবাদমাধ্যম এবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুদ্ধ শেষ হলে গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরায়েল। নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলের হাতে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য গাজার সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে। আমাদের হাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব না থাকায় ইসরায়েলে অকল্পনীয় মাত্রায় হামলা চালিয়ে আসছে হামাস। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
যুদ্ধ শেষে ইসরায়েলের গাজা ‘দখল’ সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র
হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ শেষের পরও গাজায় ইসরায়েলের উপস্থিতি সমর্থন করেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েলি সেনাদের গাজা দখলে রাখা সঠিক কাজ হবে না বলে তাকে উদ্ধৃত করে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জন কারবি জানিয়েছেন। হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সেখানকার নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ অনির্দিষ্টকালের জন্য ইসরায়েলের হাতে থাকবে বলে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিক্রিয়া এল।মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কারবি বলেন, ‘যুদ্ধ শুরুর আগে গাজা যেমন ছিল, যুদ্ধ শেষের পর যে আর তেমন থাকবে না- এই একটি বিষয়ে আমরা অবশ্যই একমত। সেখানকার শাসনক্ষমতায় কাদের থাকা উচিত তা নির্ধারণে অবশ্যই যুদ্ধের পর সুষ্ঠু ও গঠনমূলক আলোচনা হওয়া জরুরি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ব্যাপারটি দেখছেন।’ সূত্র: আজকের পত্রিকা
সমর্থনের আবদার ইসরায়েলিদের
‘কিরিয়া’ হচ্ছে তেলআবিবের ‘পেন্টাগন’। অর্থাৎ এটি মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের মতো ইসরায়েলি প্রতিরক্ষার প্রাণকেন্দ্র। কিরিয়া চত্বরে গত শনিবার রাতে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কিছু শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমবেত হন ধর্মীয় স্কুলের শিক্ষক সিগাল ইৎজাহাক। হামাসের অতর্কিত হামলায় হতাহত ও জিম্মি মানুষজনের স্বজনদের সঙ্গে তিনিও এসেছেন সেখানে। অনেকেই আক্ষেপ প্রকাশ করছেন, বিশ্বে ইসরায়েলের প্রতি সহানুভূতিপূর্ণ জনমত হ্রাস পাচ্ছে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি আবেগ দেখা যাচ্ছে। সিগাল ইৎজাহাক বলেন, ‘গোটা বিশ্ব আমাদের ভুক্তভোগী হিসেবে দেখতে ভালোবাসে। আমি দুঃখের সঙ্গে বলছি, তারা (বিশ্ববাসী) ইসরায়েলকে ভালোবাসে, ইহুদিদের প্রতি সহমর্মিতা দেখায় যখন আমরা আক্রান্ত হই অথবা আমাদের হত্যা করা হয়। কিন্তু আমরা আমাদের রক্ষা করতে গেলে (সমর্থন কি পাওয়া যায়) তা কি হয়? উত্তর হচ্ছে, না।’ সূত্র: দেশ রুপান্তর
আরবরা ৫০ বছর আগে তেলকে যেভাবে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছিল
গত সাতই অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার ঘটনায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে আবারও সহিংসতা শুরু হয়েছে। এই যুদ্ধের প্রভাব মধ্যপ্রাচ্যের বাকি অংশেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।আজ থেকে ৫০ বছর আগে এইরকম এক সহিংসতার সময় তেল বিশেষ একটি অস্ত্র হয়ে উঠেছিল আরব দেশগুলোর জন্য।বিশ্বে তথাকথিত সেই ‘তেল সংকটের’ পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেছে। আজ মধ্যপ্রাচ্যের রাজতন্ত্র যে এতোটা সমৃদ্ধ, সেটার ভিত্তি স্থাপন করেছিল তাদের শক্তিশালী তেল সম্পদ। সেই সময় ওই সংকট যুক্তরাষ্ট্রকে পতনের দিকে ঠেলে দেয়ার মতো হুমকির সৃষ্টি করেছিল।১৯৪৮ সালে ইহুদি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের সাথে তাদের আরব প্রতিবেশীদের যতো যুদ্ধ বেধেছে তার মধ্যে একটি বড় ট্রিগার হিসেবে কাজ করেছে এই তেল।ইয়োম কিপুর যুদ্ধে ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এই সিদ্ধান্তের কারণে মিশর এবং সিরিয়া, ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
গাজা সিটির প্রাণকেন্দ্রে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি সেনারা
ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধের এক মাসের মাথায় ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাজধানী গাজা সিটির প্রাণকেন্দ্রে ঢুকে পড়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। নেতানিয়াহু সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ‘আমরা গাজা সিটির প্রাণকেন্দ্রে আছি। গাজা এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী ঘাঁটি।’ এ সময় তিনি হামাস যোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন।এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের কমান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল ইয়ারন ফিঙ্কেলম্যানও একই কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম আইডিএফ গাজা সিটির প্রাণকেন্দ্রে, সন্ত্রাসবাদের প্রাণকেন্দ্রে লড়ছে। ইসরায়েলি এই সেনা কর্তকর্তা বলেছেন, প্রতিদিনই ইসরায়েলি সেনারা হামাস যোদ্ধাদের হত্যা করছে। তাদের টানেল খুঁজে বের করছে; অস্ত্র ধ্বংস করছে। একই সঙ্গে শত্রুঘাঁটির দিকে এগিয়ে চলেছে। সূত্র: কালবেলা।
অস্ট্রেলিয়ায় ইন্টারনেট বিভ্রাটের কবলে কোটিরও বেশি গ্রাহক
অস্ট্রেলিয়ায় অপ্টাস নেটওয়ার্ক অপারেটরে গোলযোগের কারণে এক কোটিরও বেশি লোক ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবার বাইরে রয়েছেন। অপ্টাস দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম নেটওয়ার্ক অপারেটর।বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।বুধবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে নেটওয়ার্ক বিভ্রাট শুরু হয়। মেলবোর্নসহ অন্যান্য শহরে সকালের ভিড়ের সময় পেমেন্ট সিস্টেম এবং অনলাইন কর্মকাণ্ডকে বিপর্যস্ত করে এবং ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত করে।অস্ট্রেলিয়ার সরকার বলছে, মোবাইল ফোন, ল্যান্ডলাইন ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সবই প্রভাবিত হয়েছে। অপ্টাসের প্রধান নির্বাহী কেলি বায়ের রসমারিন সাইবার হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এবিসি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দীর্ঘ সময়ের বিভ্রাট নিয়ে কোনো কিছু বলেননি।তিনি বলেন, এটি খুব অসম্ভাব্য (যে সমস্যাটি অপ্টাস নেটওয়ার্কের সফটওয়্যারের মধ্যে শুরু হয়েছিল), আমাদের সিস্টেম প্রকৃতপক্ষে খুব স্থিতিশীল … এটি একটি খুব, খুব বিরল ঘটনা। সূত্র: বাংলানিউজ