‘বুনিয়ান মারসুস’: ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক পাল্টা-আক্রমণ শুরু
ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ এর বদলা হিসাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’ শুরু করেছে। শনিবার (১০ মে) ভোরে ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’ নামে এ হামলা শুরু হয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণসংযোগ শাখা (আইএসপিআর)। খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত তার তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তার জবাবে পাকিস্তান পাঠানকোট, উধমপুরসহ ভারতের বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালায়।


এর আগে, ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ভারত এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। উত্তেজনার পারদ চড়তেই মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। এরপরই প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
বলা হচ্ছে, ওই রাতে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার দাবি করে পাকিস্তান।
পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছিল নিজস্বভাবে তৈরি ‘ফতেহ-১’। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের বিয়াস এলাকায় ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের গুদামেও হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় ইসলামাবাদ।
ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পাকিস্তানের বিভিন্ন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। উত্তর ও পশ্চিম ভারতের একাধিক সামরিক স্থাপনায় লক্ষ্য করে চালানো হামলা ব্যর্থ হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ও রাডার লক্ষ্য করে চালানো এক হামলায় লাহোরের একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে।
অন্যদিকে, করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডিসহ বিভিন্ন শহরে ইসরায়েলের তৈরি ভারতের ২৯টি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।
ইতিপূর্বে পাকিস্তান অভিযোগ করেছিল, ভারত তাদের তিনটি বিমানঘাঁটি—নূর খান এয়ারবেস, মুরিদ বেস এবং শুরকোট এয়ারবেস—লক্ষ্য করে বিমান থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে পাকিস্তান জানিয়েছে, এসব ঘাঁটি এখনো নিরাপদ রয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, চীনের তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে পাকিস্তান ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এদের মধ্যে একটি ছিল ফ্রান্সের তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান।
ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও সীমান্ত সংঘাতে দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি চরমভাবে নাজুক হয়ে পড়েছে। পাল্টাপাল্টি অভিযানে যে কোনো সময় আরও বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মহল।