জালিয়াতির অভিযোগে সু চির আরও ৩ বছর কারাদণ্ড
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে এবার নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির জান্তা সরকারের আদালত এ রায় দেন।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর থেকে কারাগারে আছেন তিনি। এর আগে দেশদ্রোহীতা, দুর্নীতিসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগে তাকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন মিয়ানমারের সামরিক আদালত। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
শুক্রবার তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতি করেছেন বলে আনা অভিযোগের বিচার করা হয়। ওই নির্বাচনে তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) আইনসভায় ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল এবং শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর তৈরি করা দলটি পরাজিত হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করার অনুরোধে সাড়া দেননি। জান্তা বলেছে, সু চির যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিচার হচ্ছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। সু চির এনএলডিকে নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠন করা থেকে বিরত রাখার জন্য তারা বলেছিল, নির্বাচনে জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, যা সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়নি।
এনএলডি জালিয়াতির কথা অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, তারা স্বচ্ছভাবে জিতেছে।
৭৬ বছর বয়সী সু চিকে দুর্নীতি এবং উসকানি থেকে শুরু করে অফিসিয়াল গোপনীয়তা ফাঁস পর্যন্ত একাধিক অভিযোগে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। এসব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বমোট সর্বোচ্চ ১৯০ বছরেরও বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।
দেশটির রাজধানী নেপিদোতে সু চির বিচার অন্তত্য গোপনভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং বিচারের বিষয়ে জান্তার বক্তব্য খুবই সীমিত। সুচির আইনজীবীদের ওপরেও এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠীর মতে, ক্ষমতা দখলের পর থেকে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর দমন অভিযানে দুই হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১৫ হাজার জনেরও বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স