আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২

ঢাকায় বিরোধী দলের পাড়া–মহল্লার নেতাদের তালিকা করছে পুলিশ

রাজধানীতে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মীদের তালিকা তৈরি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ঢাকার প্রতিটি থানা ও পাড়া-মহল্লাভিত্তিক নেতা-কর্মীর নাম-ঠিকানা; বিভিন্ন কমিটিতে পদ, পদবি ও মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে তালিকা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই তালিকা করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্র বলছে, সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে কেউ যাতে নাশকতা চালাতে না পারেন, আবার নাশকতার কোনো ঘটনা ঘটলে যাতে সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে জন্যই এই তালিকা করা হচ্ছে।
তবে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলের নেতারা মনে করছেন, বিরোধী দলকে দমনপীড়ন, নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় এবং মামলার আসামি করার জন্য নির্বাচনের আগে এই তালিকা করা হচ্ছে।ডিএমপির একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের থানা, ওয়ার্ড ও মহানগর পর্যায়ের বিভিন্ন কমিটির সদস্য এবং পাড়া-মহল্লা পর্যায় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে তালিকা করা হচ্ছে। বড় দল হিসেবে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামের তালিকা তৈরিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আগাম তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সূত্র: প্রথম আলো

ভর্তুকির বরাদ্দ পুনর্বিন্যাস করতে যাচ্ছে সরকার

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামের ওঠানামা, সার ও এলএনজির বাড়তি দামের কারণে এখন ভর্তুকির হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। সম্প্রতি শুধু জ্বালানি তেলের দামই দুইবার সমন্বয় করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সারের দাম। এসব কারণে অর্থনীতির শেষ ভরসা কৃষি নিয়েও বাড়ছে দুশ্চিন্তা।এ অবস্থায় বোরো মৌসুম সামনে রেখে ডিজেলে ভর্তুকি বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। জ্বালানি তেল ও গ্যাসের বাড়তি দামের কারণে বিদ্যুৎ খাতেও ভর্তুকি কমানো যাচ্ছে না। ফলে বিদ্যুতের দাম আবার বাড়ানোর পথে হাঁটছে সরকার। পরিস্থিতি সামাল দিতে কম গুরুত্বপূর্ণ খাতের ভর্তুকি সমন্বয় করে গুরুত্বপূর্ণ এসব খাতে অর্থ সরবরাহ করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে কোন কোন খাতে ভর্তুকি অর্থনীতিতে বিশেষ প্রভাব ফেলছে না সেগুলো চিহ্নিত করার কাজ চলছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এর বেশির ভাগ যাবে এসব পণ্যের ভর্তুকিতে। গম, পাম অয়েল, সয়াবিন তেল, কয়লা, ভুট্টা ও চাল আমদানিতেও এখন ভর্তুকির অর্থ খরচ হবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

প্রশাসনে গ্রহণযোগ্য কর্মকর্তার অভাব

প্রশাসনের শীর্ষ কয়েকটি পদ শিগগির শূন্য হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবও রয়েছেন। তাঁদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ দুটি পদ বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। তবে দুটি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আলোচনায় রয়েছেন, তাঁদের নিয়ে আছে নানা আলোচনা। আবার কোনো কোনো বিচক্ষণ কর্মকর্তা আলোচনায় থাকলেও তাঁরা জ্যেষ্ঠতার দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন। এ প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসনের শীর্ষ পদে আবারও কি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আসছে, নাকি নতুন কাউকে বেছে নেবে সরকার। তবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে প্রশাসনে রয়েছে অসন্তোষ। প্রশাসনের সংশ্নিষ্টদের কথায় উঠে এসছে এসব তথ্য।মন্ত্রিপরিষদ সচিব জনপ্রশাসনের শীর্ষতম পদ। পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির সর্বজ্যেষ্ঠ সচিব এ পদে নিয়োগের রীতি রয়েছে। চৌকস এই পদটিতে কে নিয়োগ পাবেন, তার ধারণা পাওয়া যায় বেশ আগেই। তবে এবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব কে হবেন- তা সহজেই কেউ অনুমান করতে পারছেন না। যদিও মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিবসহ প্রশাসনের সচিব নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।
প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে দীর্ঘ সময় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব তৈরির ক্ষেত্রে এক ধরনের শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। নিয়মিত চাকরি করে ভালো ভালো কর্মকর্তা অবসরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাচ্ছেন মন্ত্রণালয় বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থায়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কারণে সাধারণ প্রশাসনে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ধারাবাহিকতা রক্ষা না হওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে কে আসবেন, সেটা নিয়ে সচিবালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাও পড়ছেন দ্বিধায়। সূত্র: সমকাল

Nagad

বিমানবন্দরে ‘ভাগিনা সিন্ডিকেট’-এর কমিশন বাণিজ্য!
রানওয়ে উন্নয়ন কাজ বাতিল

ঠুনকো অজুহাতে বাতিল হয়ে গেল ৫৭০ কোটি টাকার ৩ অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প। বিমানবন্দরগুলো হলো যশোর, সৈয়দপুর ও রাজশাহীর শাহ মুখদুম বিমানবন্দর। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় পড়বেন তিন বিমানবন্দর দিয়ে আসা-যাওয়া করা আকাশপথের যাত্রীরা। বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণেও বাড়বে ঝুঁকি। ভেস্তে যাবে সরকারের ফ্লাইট সম্প্রসারণ পরিকল্পনা। বিশেষ করে বিমানবন্দরগুলোয় ওয়াইড বডির বড় উড়োজাহাজ নামতে পারবে না। নতুন করে প্রকল্প হাতে নিলে সময় এবং ব্যয় দুটোই বাড়বে। কমপক্ষে ৫শ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় বাড়বে। সময়ও লাগবে আরও ৩ বছর বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এই অবস্থায় দেশের আকাশপথের উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন, তা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। ত ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২১তম সভায় এই প্রকল্পটি বাতিল করা হয়। সভায় সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে প্রকল্পটি নিয়ে দীর্ঘ কালক্ষেপণ এবং সরকারি টাকা অপচয়কারীদের চিহ্নিত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা যায়, ঠিকাদারের জনবল ও ইকুইপমেন্ট আছে কি না, এর প্রমাণ না থাকার অজুহাতে প্রকল্পটি বাতিলের সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়। কিন্তু বেবিচকের মতে, এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সূত্র: যুগান্তর।

ঢাকায় বিক্ষোভে বিএনপি নেতারা
গুলি চালানোর ফল ভালো হবে না

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে সরকারের পরিণতি ভয়াবহ হবে। তিনি বলেন, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি চালানোর ফল ভালো হবে না। গতকাল বিকালে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালিতে নারায়ণগঞ্জে গুলিতে নিহত যুবদলকর্মী শাওন হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দুপুর আড়াইটায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও সকাল থেকেই ঢাকা ও আশপাশের জেলার নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে বিএনপি অফিসের সামনে আসতে থাকেন। ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত হয় সমাবেশটি। মির্জা ফখরুল বলেন, অন্যায় করলে যে শাস্তি পেতে হয় বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। যুবদল নেতা শাওনসহ বিএনপি নেতা-কর্মী হত্যার বিচার হবে। দেশের জনগণ একদিন প্রধানমন্ত্রীসহ এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশেরও বিচার করবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সরকার এখন চাপে আছে। তার প্রমাণ কয়েক দিন আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের বক্তব্য। দেশে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে উল্লেখ করে মিশেলের নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের প্রস্তাব বিশেষ একটি বার্তা বহন করে। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সব ক্ষেত্রে মিথ্যাচার অব্যাহত রাখলেও তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে প্রমাণ মেলে তারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছে। আবারও নেতা-কর্মীদের নামে গায়েবি মামলা করা হচ্ছে। পুলিশকে দিয়ে গুলি করিয়ে বিএনপিকে দমানোর চেষ্টা চলছে। নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করে পুলিশ শাওনকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করার কঠোর প্রতিবাদ জানান তিনি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

আমদানি নিয়ন্ত্রণে এলেও দায় নিষ্পত্তি বেড়েছে ৬৩ শতাংশ
রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামবে চলতি সপ্তাহেই

দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারসাম্য আনতে কঠোর নীতি নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমদানির লাগাম টানতে এরই মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খোলায় আরোপ করা হয়েছে নানা শর্ত। এতে কিছুটা হলেও কমে এসেছে নতুন এলসি খোলার পরিমাণ। তবে এলসি খোলা কমলেও এলসি নিষ্পত্তির হার বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম মাস জুলাইয়ে এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ। একই সময়ে এলসি নিষ্পত্তির হার ৬৩ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। জুলাইয়ের ধারাবাহিকতায় আগস্টেও এলসি নিষ্পত্তিতে প্রায় একই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত ছিল বলে জানা গিয়েছে। অথচ রেকর্ড আমদানি এলসি খোলার ২০২১-২২ অর্থবছরেও এলসি নিষ্পত্তিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৪৬ শতাংশ। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে এলসি নিষ্পত্তিতে প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশে সীমাবদ্ধ। এলসি নিষ্পত্তির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার বিরূপ প্রভাব দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ওপর পড়েছে। গত বছরের মাঝামাঝি ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়া রিজার্ভ এরই মধ্যে ৩৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৯ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। আগামীকাল এ রিজার্ভ থেকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) জুলাই-আগস্ট মেয়াদের ১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারের আমদানি দায় পরিশোধ করতে হবে। সে হিসাবে চলতি সপ্তাহেই রিজার্ভের পরিমাণ সাড়ে ৩৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র: বণিক বার্তা।

এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমদানি শুল্ক যৌক্তিকীকরণের ও প্রত্যক্ষ কর আহরণ জোরদারের সুপারিশ

স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণ বা এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলি সফলভাবে মোকাবিলায়– বাংলাদেশকে আমদানি শুল্ক যৌক্তিকীকরণ এবং সম্পূরক শুল্কহার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-র বিধান অনুযায়ী নির্ধারণ করতে হবে। এমন সুপারিশ করেছে ‘অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ ও ট্যারিফ যৌক্তিকীকরণ’ বিষয়ক একটি উপ-কমিটি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গঠিত এই কমিটি শনিবার অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে এক কর্মশালায় এসব সুপারিশ করেছে।শুল্ক যৌক্তিকীকরণের ফলে রাজস্বে যে ঘাটতি তৈরি হবে তা মোকাবিলায় প্রত্যক্ষ কর আহরণ জোরদার করারও সুপারিশও করেছে সাব-কমিটি।অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে হলে সরকারকে রপ্তানিকারকদের বিদ্যমান নগদ প্রণোদনার বিকল্প সুবিধা দিতে হবে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

কাঁদবেন না, আমি আসব, চাও খাব: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীকে এক চোখে দেখেই কথা বলছিলেন কর্ণফুলী চা বাগানের শ্রমিক লাকী নারায়ণ। এসময় চায়ের নিমন্ত্রণ দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লে অপর চোখের চিকিৎসার আশ্বাস দেন শেখ হাসিনা। শনিবার বিকালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার লেলাং ইউনিয়নের কর্ণফুলী চা বাগান থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন এই শিল্পের শ্রমিকরা।এসময় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের চণ্ডিছড়া চা বাগান, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পাত্রখোলা, সিলেট সদরের লাক্কাতুরা এবং চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির কর্ণফুলী চা বাগানের শ্রমিকরা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন।চার চা বাগানের মধ্যে সবার শেষে চট্টগ্রামের চা বাগানের শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীকে নিজেদের মনের কথা বলেন। সূত্র: বিডি নিউজ

পানিতে ভর্তুকি বন্ধের ঘোষণায় মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ

ঢাকার যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোডের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন। ভাড়া থাকেন চারতলা একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায়। ১৪ হাজার টাকা বেতনে কাজ করেন বাসা সংলগ্ন একটি ফার্নিচারের দোকানে। এখন তিনি যে বাসায় থাকেন, ভাড়ার সঙ্গে তাকে ঢাকা ওয়াসার প্রতি এক হাজার লিটার পানির জন্য ১৫ টাকা ১৮ পয়সা দাম দিতে হয়। ঢাকার আরেক অভিজাত আবাসিক এলাকা বনানী। এই এলাকার ১১ নম্বর রোডের ইকবাল মাহমুদ। তিনি একটি বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ব্যবসায় বিনিয়োগ প্রায় হাজার কোটি টাকা। পরিবার নিয়ে এই রোডের চারতলা একটি বাড়িতে একাই থাকেন। তিনিও প্রতি এক হাজার লিটার পানির জন্য ১৫ টাকা ১৮ পয়সা হারে দাম দিচ্ছেন। কা ওয়াসার পানির দাম নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এই দুই ব্যক্তির আয় এবং পেশার কথা উঠে এসেছে। সংস্থাটির সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহে প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। এই ভর্তুকি অভিজাত আবাসিক এলাকা ধানমন্ডি, বনানী, গুলশানের ধনীরাও পাচ্ছেন। আবার একই দামে বস্তির মানুষকেও পানি কিনতে হচ্ছে। তাই পানিতে ভর্তুকি বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ওয়াসা। সূত্র: জাগো নিউজ

 

জাতীয় নির্বাচন: আসনের আংশিক অন্য উপজেলায় না রাখার ভাবনা

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে এবার কিছু পরিবর্তন আনা হতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু কিছু আসনে ২০১৩ সালে আনা সীমানায় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আদশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ সাপেক্ষে প্রশাসনিক সুবিধা, ভৌগলিক অখণ্ডতা ও ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিধান রয়েছে আইনে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশন সর্বশেষ বড় রকমের পরিবর্তন আনে সংসদীয় আসনের সীমানায়। এতে বেশ কিছু আসনের ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষা হয়নি। এ নিয়ে পরবর্তী নূরুল হুদা কমিশনও তাঁর পূর্বসূরিদের সমালোচনা করেন। গত ফেব্রুয়ারিতে বিদায় নেওয়ার আগে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা এ নিয়ে বলেছিলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভৌগলিক অখণ্ডতা, প্রশাসনিক সুবিধা আমলে নেওয়া হয়নি। ফলে অনেকেই এসে কান্নাকাটি করেন, অভিশাপ দেন। সূত্র: বাংলানিউজ