ধর্ষণে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, গা ঢাকা দিয়েছে জিসান

মাদারিপুর সংবাদদাতা:মাদারিপুর সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: ১১:৪৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২

মাদারীপুরে হত্যার হুমকি দিয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক বখাটের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে ওই শিক্ষার্থী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। বিষয়টি স্থানীয় মাতবরদের কাছে জানালে দফায় দফায় হুমকিও দেওয়া হচ্ছে নির্যাতিতা পরিবারকে। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত জিসান (২২) ও তার পরিবার। পুলিশ বলছে, ঘটনা যাচাই করে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।

নির্যাতিতার পরিবার জানায়, ৬ মাস আগে মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খাটোপাড়া গ্রামের কিরণ মাতবরের ছেলে জিসান ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ওই শিক্ষার্থীকে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি বাগানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ভয় আর আতঙ্কে ১২ বছরের মেয়েটি বিষয়টি পরিবার থেকে গোপন রাখে।

সম্প্রতি তার পেটে ব্যথা হলে পরিবারের লোকজন সদর উপজেলার মোহাম্মদ আলী মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রথমে টিউমার মনে হলেও চিকিৎসক রেজাউল করিম রেজা আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে স্থানীয় মাতবরদের বিষয়টি জানালে দফায় দফায় নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এ ঘটনার ন্যায্য বিচার পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। এলাকার নেতাদের কাছে বলছি, তারা কোনো সুরহা করছে না।’

শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘মাতবরদের কাছে জানিয়েছি। তারা শুধু সময় নিচ্ছেন সমাধান করার জন্য। এছাড়া হুমকি দিচ্ছে অনেকেই। আমার মেয়ের সর্বনাশ যে করেছে, তার সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমি আইনের আশ্রয় নেব।’

মোহাম্মদ আলী মেমোরিয়াল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার রেজাউল করিম রেজা বলেন, ‘মেয়েটির এখন পূর্ণ বিশ্রাম দরকার। পরিবারের লোকজন বাচ্চা নষ্ট করতে চেয়েছিল। কোনো অবস্থাতেই বাচ্চা নষ্ট করা যাবে না। এতে বাচ্চা ও মেয়ে দুজনেরই জীবনহানি হতে পারে।‘

Nagad

অভিযুক্ত জিসানের ফুফু সাহিদা বেগম বলেন, ‘এটা ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। মেয়ে ও তার পরিবারের লোকজন ভালো না। এ ছাড়া এলাকার লোকের উসকানি রয়েছে।’

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, ‘এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত জিসানের বাবা গ্রিস প্রবাসী। ঘটনার পর জিসান লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। আমরা ভুক্তভোগী মেয়েটির পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করবো।’ সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়