দেশে ফিরলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আমন্ত্রণে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ভুটান থেকে দেশে ফিরেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় একটি ফ্লাইটে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ প্রমুখ।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক সভা সাউথ ইস্ট এশিয়ান রিজিওনাল অর্গানাইজেশনের (এসইএআরও) পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্দেশ্যে তিনি ভুটানে যাত্রা করেন।
পাঁচ দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোভিড মোকাবেলায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেসব বিষয় তুলে ধরেন। একইসঙ্গে কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলপ্রসু দিক নির্দেশনা ও সার্বিক পরামর্শের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ভুটানের পারো শহরের হোটেল লা মেরিডিয়ানে ভারতের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ড. ভারতী প্রভীন পাওয়ারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।
এসময় তিনি করোনাকালীন বিভিন্ন প্রয়োজনে বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে উভয় দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে করণীয় সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য আলাপ-আলোচনা হয়। অল্টারনেটিভ মেডিসিন, যৌথ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা, তথ্য বিনিময়, ভ্যাকসিন উৎপাদন, ঔষধ উৎপাদন, ট্রাডিশনাল মেডিসিন, চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন, ল্যাব ইকুইপমেন্ট, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া নির্মূলে যৌথ প্রচেষ্টা, মেডিকেল ভ্রমণে সমঝোতা স্মারক, ফার্মাসিটিক্যালস সেক্টরের উন্নয়ন , ডিজিটাল হেলথ সার্ভিসেস প্রভৃতি বিষয় নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও যৌথভাবে কাজ করার জন্য মতবিনিময় হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ দিনব্যাপী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক সম্মেলন ভুটানের পারো শহরে শুরু হয়।
সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় ভবিষ্যতে মহামারী মোকাবিলা, কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা, সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাসহ অসংক্রামক ব্যাধি মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণসহ সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একযোগে কাজ করার কৌশল নির্ধারণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিতে বাংলাদেশ ও ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভুটানে উপস্থিত হন।