আশুলিয়ায় সাংবাদিকের সাথে পুলিশের রুঢ় আচারণের অভিযোগ
সাভারের আশুলিয়ায় মারামারির ঘটনার খবর দেওয়ায় ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকের সাথে রাগান্বিত হয়ে রুঢ় আচরণের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী দৈনিক দেশবাংলার শিল্পাঞ্চল (সাভার) প্রতিনিধি হাসান ভূইয়া। এর আগে গেল রাতে তার বিরুদ্ধে রুঢ় আচরণ করেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম।


ভুক্তভোগী সাংবাদিক হলেন হাসান ভুঁইয়া। তিনি দৈনিক দেশবাংলার শিল্পাঞ্চল (সাভার) প্রতিনিধি। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি নিষ্ঠার সাথে সংবাদ পরিবেশন করে আসছেন।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য হলেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম। তিনি ঘটনার দিন রাতে “পাপা” ডিউটিতে ছিলেন।
এ বিষয়ে দৈনিক দেশবাংলার শিল্পাঞ্চল (সাভার) প্রতিনিধি হাসান ভূইয়া বলেন, একজন সিনিয়র সাংবাদিকের তথ্যের ভিত্তিত্বে ঢাকা প্রকাশ’র সাভার প্রতিনিধি সাকিব আসলাম ও আমি ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাস্থলে আগে থেকেই দুইজন সিনিয়র সাংবাদিক দাড়িয়ে ছিলেন। আমরা ঘটনাস্থলে গেলে তারা আমাকে থানা পুলিশকে জানাতে বলেন। আমি পাপা ডিউটিতে নুরুল ইসলাম আছে জানতে পেরে তাকে ফোন দিয়ে পরিচয় দিয়ে বলি বাইপাইল ব্রিজ এলাকায় মারামারির ঘটনা আছে আপনি কি জানেন, তিনি কয়েকবার হ্যালো হ্যালো বলে ফোনটি কেটে দেন বা কেটে যায়।
তিনি আরও বলেন, কিছুক্ষন পরে আশুলিয়া থানার এসআই নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন এবং গাড়ি থেকে না নেমে ঘটনার বিবরণ জানতে চান। পরে তিনি গাড়ি থেকে নেমে ঘটনাস্থল যান। এবং সবাইকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। আমি তার দিকে এগিয়ে যাই, এ সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন কে ফোন করেছে?, আমি উত্তরে বলি আমি ফোন করেছি। এ সময় উপস্থিত সকলের সামনে তিনি আমার উপর উত্তেজিত হোন। পরে আমি ঘটনাস্থল থেকে সরে আসি এবং বিষয়টি আমার সম্পাদককে জানাই।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা ঢাকা প্রকাশ’র সাভার প্রতিনিধি সাকিব আসলাম বলেন, ওই এসআই ঘটনাস্থলে এসেই হাসান ভাইয়ের উপর চড়াও হোন। বিষয়টি কিছু বুঝে আসেনি। তিনি কেন ? রাগ করলেন। তাহলে সাধারণ মানুষ পুলিশকে কিভাবে ফোন দিবে। তিনি কাজটি ঠিক করেননি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত রেডেক্সে কর্মরত রাজ জানান, ঘটনাস্থলে এসে প্রথমেই পুলিশের এভাবে রাগাটা ঠিক হয়নি। তিনি এটা অন্যায় করেছেন। এটা সত্য।
ঘটনার পার্শ্ববর্তী আড়তের এক কলা ব্যবসায়ী জানান, পুলিশ এখানে এসে যে কাজটা করেছে তা তাদের ঠিক হয়নি। তারা এখানে এসেই সাংবাদিক ভাইয়ের উপর চেতে যায়। পরে অন্য সাংবাদিকরা এগিয়ে আসলে দারোগা কিছুটা ঠান্ডা হয়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক ক্রিড়া ও সাস্কৃতিক সম্পাদক হাজী আবুল হায়াত বাচ্চু বলেন, হাসানকে আমরা ফোন দিয়ে আনিয়েছি। পরে তাকে থানায় ফোন দিতে বলি। সে থানায় ফোন দেয়। কিন্তু দারাগো ঘটনাস্থলে এস কেন রাগারাগি করলো বিষয়টি বুঝে আসলো না। পরে আমরা হাসানকে ঘটনাস্থলে থেকে সরে যেতে বলি। সে চলে যায়। এই জানি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এসআই নুরুল ইসলামের কাছে এবিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, আমার কারও সাথে কথা কাটাকাটি হয় নি। হয়তো তিনি ভুল বুঝেছেন।
আশুলিয়া থানার ওসি (অপারেশন) আব্দুর রশিদ বলেন, তিনি কেন এমন আচরণ করলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সারাদিন/১৪ সেপ্টেম্বর