আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২

ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি
নিরপেক্ষ সরকারের দাবির পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি, আসনভিত্তিক কর্মসূচিতে গুরুত্ব, ২২ দল নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত

সরকারের ফাঁদে পা দেবে না রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবিতে অনড় থাকলেও নীরবে চলছে নির্বাচনী প্রস্তুতি। প্রস্তুতি হিসেবে সারা দেশের প্রতিটি আসনে জরিপ পরিচালনা করছে দলটি। দলীয় একটি পেশাজীবী সংগঠনের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের খোঁজে জরিপের প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। আন্দোলনের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান এবং যোগাযোগ বাড়ানোসহ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান শক্ত করার জন্য চলমান কর্মসূচিতে আসনভিত্তিক সভা-সমাবেশকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা এই সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেব না। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করেই বিএনপি দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে। নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় হলে নির্বাচনী প্রস্তুতি কোনো ব্যাপার নয়। জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে সরকারের ফাঁদে পা না দিয়ে নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি। দলের সিনিয়র নেতাদের অনেকেই সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় ভোট করতে আগ্রহী। কিন্তু বিএনপির হাইকমান্ড তা নাকচ করে দিয়েছে। গত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা নিয়ে হাইকমান্ড থেকে বলা হচ্ছে, ক্ষমতাসীনদের অধীনে ভোটে গেলে কোনো সুফল আসবে না। সরকারবিরোধী অবস্থানে থেকে আন্দোলন প্রক্রিয়ায় সংকটের সমাধান করতে হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

আইডিএ ঋণ
বিশ্বব্যাংক থেকে বিনা সুদে মিলবে ঋণ
আইডিএ-২০–এর আওতায় স্বল্পমেয়াদি ঋণ বা শর্টটার্ম ম্যাচিউরিটি লোন নামে নতুন একটি শাখা করেছে।

বিশ্বব্যাংক থেকে বিনা সুদে ঋণ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের। বহুজাতিক ঋণদাতা এ সংস্থার বাংলাদেশের জন্য আপাতত প্রায় ৬০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখছে। বর্তমান বাজারদরে টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) বাংলাদেশসহ গরিব ও নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের জন্য নতুন একটি শাখা খুলেছে। যেখান থেকে বিনা সুদে স্বল্প সময়ের জন্য মিলবে ঋণ। ‘আইডিএ-২০’ নামে নতুন এ শাখা যুক্ত করা হয়েছে। আগামী তিন বছরে বাংলাদেশ এ শাখা থেকে ঋণ নিতে পারবে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, শর্টটার্ম ম্যাচিউরিটি লোন বা স্বল্পমেয়াদি এ ঋণ ১২ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে ছয় বছর রেয়াতকাল। এ ঋণে কোনো সুদ থাকবে না, সেবা মাশুলও থাকবে না। বলা যায়, প্রায় বিনা সুদেই এ ঋণ মিলবে। শুধু ঋণের কিস্তি পরিশোধ করলেই হবে। তবে স্বল্পমেয়াদি ঋণ হওয়ায় অবশ্য কিস্তির পরিমাণ বিশ্বব্যাংকের অন্য ঋণের তুলনায় বেশি হবে। জানা গেছে, ১২ বছর মেয়াদি এ ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে সপ্তম বছর থেকে। যেমন ১০০ ডলার ঋণ নিলে সপ্তম বছর থেকে দ্বাদশ বছর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৬৭ ডলার করে প্রতিবছর কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। সূত্র: প্রথম আলো

সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন
শিরোপার চেয়ে বেশি কিছু জয়

এমন একটি দিনের অপেক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশের সাবিনারা। বয়সভিত্তিক ফুটবলে শিরোপা জেতা বাংলাদেশ দলের কাছে সিনিয়র পর্যায়ের শ্রেষ্ঠত্ব ছিল আকাশের চাঁদ। গতকাল কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে সেই আকাশই ছুঁয়ে দিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা, কৃষ্ণার জোড়া গোল আর শামসুন্নাহারের ম্যাজিকে।স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে সাফ ফুটবলে প্রথমবার লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়েছেন মেয়েরা, যাঁরা এই গ্রামবাংলার খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি।একসময় ক্ষুধা-দারিদ্র্য ছিল যাঁদের নিত্যসঙ্গী, সেই মেয়েদের হাতেই আজ উড়ছে ফুটবলের পতাকা।বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও সহায়-সম্বলহীন মেয়েদের পরিশ্রমে গড়া শিরোপাসৌধের কথা বলেছেন, ‘এই মেয়েরা এসেছে খেটে খাওয়া পরিবার থেকে। ফুটবল না হলে হয়তো তারা অন্য কিছু করত গ্রামের বাড়িতে। ফুটবলের সৌভাগ্য তাদের স্বপ্ন দেখাতে পেরেছে, এর বিনিময়ে এই মেয়েরাও ফুটবলকে দুহাত ভরে দেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ’ সূত্র: কালের কণ্ঠ

Nagad

শূন্যরেখা ঘিরেও ছক মিয়ানমারের
সীমান্তে উত্তেজনা

মিয়ানমারের ভেতরে গোলাগুলি অব্যাহত থাকায় এখনও আতঙ্ক কাটেনি সীমান্তে। বিশেষ করে বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু এলাকার জনজীবন পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। গতকাল সোমবারও দফায় দফায় সীমান্তের ওপারের গোলার বিকট শব্দ এপারের বাসিন্দাদের উদ্বিগ্ন করে তোলে। আবার কখন গোলা এসে পড়ে- আছে সেই আতঙ্কও। এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে সন্তানদের আগলে ঘুমাতে যান মা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংকট বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় উদ্বেগ-উত্তেজনা ছড়ানো নিয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এর নেপথ্য কারণ খুঁজতে গেলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু দিন ধরে মিয়ানমার তাদের ভেতরের তিনটি সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। এগুলো হলো- আরাকান আর্মি, ওয়া আর্মি ও কাচিন ইনডিপেন্ডেন্ট আর্মি। প্রায় দেড় দশক আগে তিন সশস্ত্র সংগঠনের মধ্যে একটি চুক্তি ছিল। এটি ‘নর্দান অ্যালায়েন্স’ নামে পরিচিত। সম্প্রতি নর্দান অ্যালায়েন্স নাম বদল করে ‘ফ্রেন্ডশিপ অ্যালায়েন্স’ রাখা হয়। আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে মিয়ানমার লড়াই শুরু করার পর চুক্তি অনুযায়ী ওয়া আর্মি ও কাচিন আর্মি আরাকানকে সহযোগিতা করে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হামলার মুখে তাদের অভ্যন্তরের সীমান্ত এলাকায় আরাকান আর্মি শক্তি সঞ্চয় করে। দেশের ভেতরের সশস্ত্র সংগঠনকে মোকাবিলা করতে গিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করছে মিয়ানমার। একটি হলো শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের উস্কানি দেওয়া। তুমব্রুতে শূন্যরেখায় স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২০১৭ সালের পর থেকে চার হাজার ২৮০ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। সূত্র: সমকাল

আলোক হাসপাতাল ব্যস্ত রোগী শিকারে
লাইসেন্সের মেয়াদ নেই তবু থেমে নেই চিকিৎসা বাণিজ্য, টেস্ট রিপোর্টে জালিয়াতি ছাড়াও প্রতারণার নানা ফাঁদ

নাম আলোক হাসপাতাল। বাস্তবে সব বিপরীত কর্মকাণ্ড। আলোকের আলো বলতে তেমন কিছু নেই। পদে পদে আছে প্রতারণার ফাঁদ। সুস্থ হলেও সমস্যা নেই। যে কেউ চাইলেই ভর্তি হতে পারবেন। এরপর শুরু হবে পকেট সাবাড় করার ফর্মুলা। রোগীকে বলা হবে, বেডে শুয়ে পড়েন। আপনার অবস্থা তো খুবই খারাপ। অনেকগুলো টেস্টের ফর্দ ধরিয়ে দিয়ে বলা হবে, সময় কম। দ্রুত টেস্ট করাতে হবে। এমন সব বিস্ময়কর তথ্যপ্রমাণ মিলেছে যুগান্তরের অনুসন্ধানে। রোগী সেজে প্রতিবেদক নিজেই ভর্তি হয়ে এমন সব তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। এছাড়া ভুল রিপোর্ট দেওয়াসহ নানাভাবে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা ও হয়রানি করার একাধিক কেস স্টাডি মিলেছে এই অনুসন্ধানে। এদিকে হাসপাতালটির গোড়ায় গলদ। রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত আলোক হাসপাতালটির বিশাল সাইনবোর্ডে লেখা ১৩০ বেডের অত্যাধুনিক হাসপাতাল। অথচ অনুমোদিত লাইসেন্স ৫০ বেডের। অর্থাৎ নামের সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে প্রতারণা। এখানেই শেষ নয়, বর্তমানে হাসপাতালটির আইনগত কোনো বৈধতাও নেই। কারণ, গেল ৩০ জুন লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে। শর্তপূরণ করতে না পারায় লাইসেন্স নবায়নও হচ্ছে না। অথচ খোদ রাজধানীতে সবার চোখের সামনে দিব্বি এমন একটি অবৈধ হাসপাতাল রোগী সেবার নামে চুটিয়ে প্রতারণার ব্যবসা করে যাচ্ছে। ভুক্তভোগী মহল এবং সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, শুধু আলোক হাসপাতাল নয়, রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের বহু হাসপাতাল-ক্লিনিক প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে। অনুসন্ধানের প্রথম পর্বে আজ থাকছে আলোক হাসপাতালের সদর-অন্দরের চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য-উপাত্ত। সূত্র: যুগান্তর

কৃষকের ব্যাংক হিসাবে সঞ্চয় বাড়ে না গড় সঞ্চয় ৫৭৯ টাকা

কৃষকদের জন্য ১০ টাকায় বিশেষ ব্যাংক হিসাব খোলার উদ্যোগ বাস্তবায়ন শুরু হয় এক যুগ আগে। এখন পর্যন্ত দেশে এমন হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় এক কোটিতে। যদিও এসব হিসাবে কৃষকের অর্থ জমেছে খুবই সামান্য পরিমাণে। এই এক যুগে ব্যাংক হিসাবগুলোয় গড় সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭৯ টাকায়।
এখনো কৃষি আর কৃষককে ধরা হয় দেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি হিসেবে। যদিও দেশের কৃষকদের বড় অংশেরই অবস্থান দারিদ্র্যসীমার নিচে। দৈনন্দিন ব্যয় মেটানোর পর তাদের হাতে আর উদ্বৃত্ত অর্থ থাকছে না। জমছে না সঞ্চয়। কাটছে না আর্থিক দীনতাও।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুন শেষে দেশের কৃষকদের ১০ টাকার বিশেষ ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮ লাখ ২০ হাজার ৬৯৯। বিপুল এ ব্যাংক হিসাবে সঞ্চয় আছে মাত্র ৫৬৯ কোটি টাকার আমানত। সে হিসাবে দেশের কৃষকদের ব্যাংক হিসাবে গড় সঞ্চয়ের পরিমাণ ৫৮০ টাকারও কম। লেনদেন না থাকায় কৃষকদের ব্যাংক হিসাবের বেশির ভাগই সক্রিয় নেই। তবে ব্যাংক হিসাবের একটি অংশ সরকারি ভর্তুকি ও পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের মাধ্যমে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। রেমিট্যান্স গ্রহণের মাধ্যমেও সক্রিয় আছে কৃষকদের অল্প কিছু ব্যাংক হিসাব। প্রতি বছরই কৃষি ও কৃষকদের ভাগ্যোন্নয়নে ঋণ নীতিমালা ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দিষ্ট অংকের ব্যাংকঋণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষকদের জন্য বিভিন্ন বিশেষ প্রণোদনা ও রেয়াতি সুদের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলও ঘোষণা করা হচ্ছে। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় কৃষিতে বড় অংকের ভর্তুকি দিচ্ছে সরকারও। এসব নীতির সুফল কৃষকদের আর্থিক দীনতা কাটাতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। সূত্র: বণিক বার্তা।

গ্যাস অপচয় কমাতে ২৪ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা
৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে সরকার

৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গ্যাস সংযোগের ২৪ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করতে চায় সরকার।অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর সূত্রগুলি জানিয়েছে, প্রকল্প অর্থায়নের জন্য তারা এপর্যন্ত তিনটি বিদেশি ঋণদাতা সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেছে। এরমধ্যে ইআরডির পক্ষ থেকে দেওয়া প্রস্তাবে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক এবং পরবর্তী আলোচনা বেগবান করতে একটি ‘প্রজেক্ট ইনফরমেশন ডকুমেন্ট’ ইস্যু করেছে।বিশ্বব্যাংকের নথিটিতে বলা হয়েছে, মিটার স্থাপনের ফলে গ্যাসের অপচয় ও লোকসান দূর হবে এবং ভোক্তার ওপর চাপ কমবে।এ লক্ষ্যে তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের কাছে ৩ হাজার কোটি, জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি)’র কাছে ১ হাজার ২৮১ কোটি এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)’র কাছে ৯৪২ কোটি টাকা চেয়েছে ইআরডি।
এরমধ্যে ৫ লাখ ৪৯ হাজার মিটার স্থাপনে এডিবির কাছে অর্থায়ন চাওয়া হয়েছে ১ হাজার ৮৭ কোটি টাকা। আরও সাত লাখ মিটার স্থাপনে জেবিআইসি’র কাছে ১ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।’গ্যাস খাতের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং ডিকার্বনাইজেশন প্রকল্পে’র জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে চাওয়া হয়েছে ৩০ কোটি ডলার। এই ঋণের মধ্যে ২৭ কোটি ডলারে ১১ লাখ ৮৬ হাজার মিটার স্থাপনের একটি সাব-কম্পোনেন্ট রয়েছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

আবহাওয়া: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, সাগরে তিন নম্বর সংকেত, ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হওয়ায় আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মাছ ধরা ট্রলারগুলোকে গভীর সমুদ্রে না গিয়ে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।তিন নম্বর সতর্ক সংকেতের মানে হচ্ছে বন্দর ও বন্দরে নোঙর করা জাহাজগুলোর দুর্যোগ কবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসময় বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং ঘূর্ণি বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কি.মি. হতে পারে।সোমবার আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিম সাগরে লঘুচাপটি তৈরি হয়েছে। সেটি আরও প্রবল হয়ে উঠতে পারে। এখন পর্যন্ত সেটা ভারতের দিকে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এই পর্যায়ে পুরোপুরি নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

বাংলাদেশের দূতকে ডেকে ফের আরাকান আর্মি ও আরসাকে দুষল মিয়ানমার
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষায়, মিয়ানমারের এ ধরনের বক্তব্য ‘গতানুগতিক’। ইয়াঙ্গনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে সীমান্তে মর্টার হামলার দায় আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ওপর চাপিয়েছে মিয়ানমার সরকার। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ভেতরে আরাকান আর্মি ও আরসার ‘ঘাঁটি’ থাকার অভিযোগ তুলে সেগুলোর তদন্ত ও অপসারণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।সোমবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনজুরুল করিম খান চৌধুরীকে ডেকে নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক উ জাউ ফিউ উইন।এরপর রাতে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেইসবুক পেইজে এক বিবৃতিতে সেই বৈঠকের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।
সেখানে বলা হয়, ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকের বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশের তুলে ধরা বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে গোলাগুলির বিষয়ে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে ইয়াঙ্গনের অবস্থান তুলে ধরেছেন মহাপরিচালক ফিউ উইন। সূত্র: বিডি নিউজ

সীমান্তের ঘটনায় আরসা-আরাকান বাহিনীর ওপর দায় চাপালো মিয়ানমার

মিয়ানমার সীমান্তের ঘটনায় দেশটি আরাকান আর্মি ও রাখাইনের সশস্ত্র বাহিনী আরসার ওপর দায় চাপিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক নষ্ট করার জন্য তারা সীমান্তে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে চলছে। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নেপিতোয় সীমান্তের ঘটনায় মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক উ জো ফিয়ো উইন। বৈঠকের বিষয়ে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আরাকান আর্মি ও আরসা বাহিনী গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সীমান্ত বাহিনীর ওপর মর্টারশেল নিক্ষেপ করে। সে সময় তিনটি মর্টারের গোলা বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে পড়ে। আরাকান আর্মি ও আরসা ১৭ সেপ্টেম্বরও সীমান্তে আবারো হামলা চালায়। সে সময়ও মর্টারশেল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য আরসা ও আরাকান বাহিনী এ হামলা করছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমার। সূত্র: বাংলানিউজ