ইরানে তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ, নিহত ৯

ইরানে হিজাব আইন ভঙ্গের অভিযোগে মাশা আমিনি নামে এক তরুণীকে আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন গত শুক্রবার। ওই তরুণীর মৃত্যুর পর হিজাব ও নৈতিকতা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে নয় জনকে নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন পুলিশও রয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, বিক্ষোভকারীদের পুলিশকে ধাওয়া করা, গুলির শব্দ এবং মেয়েদের হিজাবে আগুন লাগানো – ইত্যাদি দৃশ্য দেখা গেছে।

ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সারিতে বিক্ষোভের পঞ্চম দিন মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) হিজাবে আগুন দিতে দেখা গেছে। তখন বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বাকিরা উল্লাস করেন।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, উরমিয়া, পিরানশাহর এবং কেরমানশাহে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত তিন বিক্ষোভকারীর মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন।

ইরানি কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কেরমানশাহে দু’জন বেসামরিক নাগরিকের পাশাপাশি শিরাজে একজন পুলিশ সহকারীকে হত্যার অভিযোগ করেছে।

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সাকেজ থেকে আসা ২২ বছর বয়সী কুর্দি নারী মাশা আমিনি হাসপাতালে কোমায় তিন দিন কাটানোর পর গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালে মারা যান।

তেহরানে তার ভাইয়ের সাথে থাকার সময় ইরানের নৈতিকতা বিষয়ক পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারা মিজ আমিনির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল যে তিনি নারীদের হিজাব বা চাদর দিয়ে চুল ঢেকে রাখা এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরার আইন ভঙ্গ করেছেন। পুলিশের একটি ডিটেনশন সেন্টারে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরপরই তিনি কোমায় চলে যান।

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামিক বিপ্লব হওয়ার পর থেকে নারীদের জন্য হিজাব পরিধান বাধ্যতামূলক। দেশটির মোরাল পুলিশ এই ড্রেস কোড কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করে।

সারাদিন/২২ সেপ্টেম্বর/এমবি