হামলার পরিকল্পিত, পুলিশের মনোবল ভাঙতে পুলিশ বক্সে হামলা : ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২২

অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সংগৃহীত ছবি

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) জানিয়েছে, রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবীতে ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা পরিকল্পিত। পুলিশের মনোবল ভাঙার উদ্দেশ্যে এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ-এসব কথা জানান।

হারুন বলেন, ‘পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার উদ্দেশে এবং পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—জনি ইসলাম, রাসেল মিয়া, সুরুজ, মো. আক্তার, শমসের উদ্দিন, মো. রনি, মো. কালিম, মাসুদ রানা ও মো. সাম।

হারুন বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, কিছু বড় ভাইয়ের ইন্ধনে তারা এ হামলায় অংশ নেন। পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট, মনোবল ভাঙার উদ্দেশে, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এই হামলা করা হয়েছে।’

ডিবির এই কর্মকর্তা জানান, ট্রাফিক পুলিশ একজন বয়স্ক ও পঙ্গু ব্যাটারিচালিত রিকশা চালককে মারধর করার অপপ্রচারে হামলা করা হয়। পরে অবৈধ রিকশার মালিক, চালক ও মোটর ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা উত্তেজনা ছড়িয়ে হামলায় ইন্ধন দেয়। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে কাজ করছিলেন পুলিশ সদস্যরা। হামলা ও উস্কানিতে জড়িত অনেকেই ঢাকার বাইরে আত্মগোপন করেছে। কারও কারও নাম পাওয়া গেছে সেটি ধরে তদন্ত চলছে।

Nagad

ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা পুলিশের মনোবল নষ্ট করতে চায়, হামলা করে কার্যক্রম বন্ধ করতে চায়, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে, সেই বড় ভাইরা কোনো রাজনৈতিক দলের কি না এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

এদিকে, পাঁচ পুলিশ বক্সে হামলা ও ভাঙচুর এবং দুই ট্রাফিক সদস্যকে মারধরের ঘটনায় পল্লবী থানায় গতরাতে মামলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পাঁচটি পুলিশ বক্সে হামলা ও ভাঙচুর এবং দুই ট্রাফিক সদস্যকে মারধরের ঘটনায় পল্লবী থানায় গত রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।