আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২২

কারা হাসপাতাল
বাক্সেই পড়ে আছে চিকিৎসা সরঞ্জাম
টেকনিশিয়ান ও প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে চিকিৎসা সরঞ্জাম কোনো কাজে আসছে না। কারাবন্দীরা পাচ্ছেন না যথাযথ চিকিৎসাসেবা।

কারাগারের হাসপাতালে রোগনির্ণয়ের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম আছে। কিন্তু নেই চালানোর মতো টেকনিশিয়ান ও জনবল। এই যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়নি কোনো ল্যাব। এ কারণে বছরের পর বছর ধরে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে শতকোটি টাকার সরঞ্জাম। এটি সরকারি অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। দেশের অন্তত ১০টি কারাগারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশির ভাগ কারা হাসপাতালের অধিকাংশ যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দী অবস্থায় পড়ে আছে। প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় এগুলো খোলাও হচ্ছে না। কারা হাসপাতালের চারজন চিকিৎসক প্রথম আলোকে বলেন, রেডিওগ্রাফার নেই, এক্স-রে মেশিন কেনা হয়েছে। সনোলজিস্ট নেই, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন কেনা হয়েছে। আবার সরঞ্জাম কেনা হয়েছে, যন্ত্রপাতি বসানোর ল্যাব বানানো হয়নি। আসলে কারাগারের মানুষকে সেবা দেওয়ার মানসিকতাই কারও নেই। প্রস্তুতি ছাড়া এসব যন্ত্রপাতি কেন নেওয়া হলো, সেটিও বড় এক প্রশ্ন। কিন্তু উত্তর দেওয়ার কেউ নেই। সূত্র: প্রথম আলো

নয়ছয় ১৮১ কোটি টাকা
বিআরডিবিতে কঠোর লকডাউনেও প্রশিক্ষণের নামে ভুয়া বিল-ভাউচার, একটি কলম-প্যাড-ফোল্ডারের দাম সাড়ে ৫ হাজার টাকা অনুমোদনহীন প্রশিক্ষণে খরচ আড়াই কোটি টাকার বেশি

২০২০ সালের ৫ এপ্রিল বিকাল ৩টা। রাজধানীর বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) সম্মেলনকক্ষ। ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার রূপকার’ শীর্ষক এক দিনের কর্মশালায় সভাপতিত্ব করছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক (ডিজি) সুপ্রিয় কুমার কুন্ডু। এতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (পরিকল্পনা) এস এম মাসুদুর রহমান, পরিচালক (সরেজমিন) আবদুর রশীদ, পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ইসমাইল হোসেনসহ বিভিন্ন পদের আরও ৩৮ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালা বিকাল ৩টার পর শুরু হলেও তাদের দুপুরের খাবার বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৪৫ টাকা। যা কেনা হয়েছিল কারওয়ান বাজারের চারুলতা রেস্তোরাঁ থেকে। বাস্তবে সেদিন ওই দোকানসহ রাজধানীর সব দোকানই বন্ধ ছিল। এমনকি বন্ধ ছিল বিআরডিবির প্রধান কার্যালয়ও। হয়নি কোনো কর্মশালাও। কারণ করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের ২৭ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ছিল কঠোর লকডাউন (সাধারণ ছুটি)। উপযুক্ত কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ায় ছিল কঠোর নিষেধাজ্ঞা। স্বাস্থ্যকর্মী, মেডিকেল প্রতিষ্ঠান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ জল, স্থল ও আকাশপথের যান চলাচলও বন্ধ করে দেয় সরকার। অথচ এমন কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও সরকারি ছুটির মধ্যেও ৫ এপ্রিলের মতো অফিসে বসে আরও এমন ভুয়া সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপ করেছেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

বদলে যাচ্ছে ঋতুচক্র
সিভিল এভিয়েশনের ইনস্ট্রাক্টর এবং রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সাবেক প্রধান বৈমানিক (চিফ পাইলট) আজিজ আব্বাসী রফিক নিয়মিত বিমান চালান। বাংলাদেশের আকাশ তার খুব চেনা। ভূ-পৃষ্ঠের ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার ফুট উচ্চতায় প্রচুর মেঘের অবস্থান দেখতে পান তিনি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, দেশে স্বাভাবিক মাত্রায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। জুলাই মাসে ৫৭ শতাংশ, আগস্টে ৩৬ শতাংশের কম ও সেপ্টেম্বরে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বায়ুম-লে বাড়ছে গরম, কমছে শীতের ব্যাপ্তি (সময়কাল)। আবহাওয়ায় বৈপরীত্য দেখা যাচ্ছে।পাইলট আজিজ আব্বাসী রফিকের বক্তব্যের যথার্থতার প্রতিফলন দেখা যায় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং জলবায়ু বিজ্ঞানী প্রফেসর এ কে এম সাইফুল ইসলামের কথায়। তিনি বলেন, ‘বায়ুম-লের তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বাড়লে ভাসমান ধূলিকণাগুলো ৭ শতাংশ বেশি পানি ধারণ করে রাখতে পারে। ঊর্ধ্বাকাশে বড় মেঘমালার বিচরণ প্রমাণ করে তাপমাত্রা বৃদ্ধির উপাত্ত সঠিক। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা আরও দুই-তিন ডিগ্রি বাড়তে পারে। তখন আরও বেশি মেঘ আকাশে উড়বে-ভাসবে, কিন্তু বৃষ্টি হবে না।’ সূত্র: দেশ রুপান্তর

বৈদেশিক মুদ্রা পরিস্থিতি
ঋণে বাড়ল রিজার্ভ যুদ্ধের ধাক্কায় তছনছ
সর্বোচ্চ ৮ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ ছিল, এখন ৩ মাসের * এলসি অনিষ্পন্ন ২০২০ সালে ১৬০ ভাগ, ২০২১ সালে ৬২.২২ শতাংশ বেড়েছে * এক বছরে স্বল্পকালীন বিদেশি ঋণ শতভাগ বেড়ে ২ হাজার কোটি ডলার, যা এখন গলার কাঁটা

Nagad

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে এ সরকার শুরু থেকেই বেশ স্বস্তিতে ছিল। রিজার্ভ বাড়িয়ে একের পর এক রেকর্ড করেছে। রিজার্ভ বেশি থাকায় ডলারের বিপরীতে টাকার মানও ধরে রেখেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমদানিও বেড়েছে ব্যাপকভাবে।করোনার ধাক্কাও বৈদেশিক খাতে ভালোভাবেই সামাল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় সব তছনছ হয়ে হয়ে গেছে। ঋণ নিয়ে বাড়ানো রিজার্ভের স্বস্তি এখন হয়ে গেছে বড় অস্বস্তি। দ্রুত কমে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছে গেছে। আমদানি ব্যয় মেটাতে সরকার হিমশিম খাচ্ছে। নতুন এলসি খুলতে ডলারের জোগান একেবারেই কম। ডলারের দাম বেড়ে গিয়ে এর বিপরীতে টাকার মান কমে যাচ্ছে। বেড়ে যাচ্ছে বৈদেশিক দায়দেনা। যা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে এলোমেলো করে দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত কয়েক বছর ধরেই বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বাড়ছে বেশি। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রায় স্বল্পমেয়াদি ঋণ নেওয়া হয়েছে। ঋণের অর্থ খরচ করে বৈদেশিক দায় মেটানো এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানির আয়ের একটি বড় অংশ দিয়ে কৃত্রিমভাবে রিজার্র্ভ বাড়ানো হয়েছে। ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখা হয়েছে। সব মিলে ২০২১ সালের জুলাই পর্র্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা পরিস্থিতি ছিল বেশ স্বস্তিদায়ক। এমন কি করোনার সময় বৈশ্বিক মন্দা দেখা দিলেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। ওই সময়ে রপ্তানি কমলেও রেমিট্যান্স বেড়েছে। বিপরীতে আমদানি কমেছে। সূত্র: যুগান্তর

ঢাকা ওয়াসার পানি শোধনাগার
উচ্চ ব্যয়ের নতুন প্রকল্পে উৎপাদন বিপর্যয়

যে কোনো নতুন যন্ত্র বা যানবাহনের প্রথম পর্যায়ে মেরামত বা মেইনটেন্যান্স (পরিচালন) খরচ কম হয়। উৎপাদন ও পারফরম্যান্স (ফলাফল) ভালো পাওয়া যায়। যন্ত্রটি যতই পুরোনো হতে থাকে, ততই কমতে থাকে তার উৎপাদন ক্ষমতা। বাড়তে থাকে পরিচালন ব্যয়। অথচ চিরাচরিত এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে ঢাকা ওয়াসায়। অপেক্ষাকৃত বেশি ব্যয়ে স্থাপন করা নতুন পানি শোধনাগার প্রকল্প থেকে পানি উৎপাদন হচ্ছে অনেক কম। মেরামত খরচও হচ্ছে বেশি। বিপরীতে অপেক্ষাকৃত অনেক কম ব্যয়ে স্থাপিত পুরোনো প্রকল্প থেকে পানি উৎপাদন হচ্ছে বেশি। সেগুলোর পরিচালন ব্যয়ও অনেক কম। ২০০২ সালে চালু হওয়া ঢাকা ওয়াসার সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার-১ এবং ২০১২ সালে চালু হওয়া সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার-২-এর সঙ্গে ২০১৯ সালে চালু হওয়া পদ্মা-জশলদিয়া পানি শোধনাগার প্রকল্পের খরচ, পরিচালন ব্যয় ও পানি উৎপাদনের চিত্র পর্যালোচনা করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। কিন্তু কেন এমনটি হলো, সে বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার দায়িত্বশীল কেউ মুখ খুলছেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা জানান, সায়েদাবাদ ফেজ-১ ও ফেজ-২ নির্মাণে সহযোগিতা করেছিল ডেনমার্কের দাতা সংস্থা ড্যানিডা। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারেরও বিনিয়োগ ছিল। দুই প্রকল্পেই কাজ হয়েছিল মানসম্মত। দুর্নীতির অভিযোগও ছিল না। এ কারণে এ দুই শোধনাগার থেকে পানি উত্তোলন বেশি হয়। ২০ বছরের পুরোনো ফেজ-১ থেকেও প্রতিদিন সাড়ে ২২ কোটি লিটার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২১ কোটি লিটারেরও বেশি পানি পাওয়া যাচ্ছে। পানি উৎপাদনের পারফরম্যান্স প্রায় ৯৪ শতাংশ। সমকাল

২০২৩ সালে কী হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না

দেশের রাজনীতির রহস্যপুরুষ হিসেবে পরিচিত সিরাজুল আলম খান। ষাটের দশকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দল জাসদের তাত্ত্বিক গুরু মনে করা হয় তাকে। দীর্ঘদিন ধরেই লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ মুখোমুখি হয়েছেন বণিক বার্তার। কথা বলেছেন দেশের রাজনীতির অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাইফ বাপ্পী ও আনিকা মাহজাবিন— আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ সালে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে এক বছরেরও বেশি সময় বাকি। এখনই এ নিয়ে কোনো কিছু বলা ঠিক হবে না। আরো কয়েকদিন যাক, তারপর বলা যাবে। তবে নির্বাচন নির্বাচনের মতোই হবে। ২০১৪ সালেও হয়েছিল। ২০১৮ সালেও হয়েছিল। এবারো যেকোনোভাবে হোক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেই। আসন্ন নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না।দেশের রাজনীতি ভবিষ্যৎ এখন কোনদিকে যাচ্ছে?বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়েও এখনই কিছু বলা ঠিক হবে না। আরো পাঁচ-দশ বছর যাক। তখন হয়তো কিছু বোঝা যাবে। কিন্তু আগামী ৫০ বছর পরে দেশের রাজনীতি-অর্থনীতির কী অবস্থা হবে, তা নিয়ে যাদের ভাবার কথা, তারা কেউ কিছু ভাবছে বলে মনে হচ্ছে না। আমাদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন একটা পরিস্থিতিতে আছে, তা নিয়ে যাদের ভাবার কথা তারা কি এখন কেউ কিছু ভাবে? দেশটা কীভাবে চলবে, তা বোঝা বড় কঠিন হয়ে পড়েছে। এখনকার যারা রাজনীতিবিদ, তাদের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ কিছুই নেই। দেশের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না, যদি না নতুন প্রজন্ম তৈরি হয়। নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। সঠিক হতে হবে।সূত্র: বণিক বার্তা।

সুবিধা সত্ত্বেও কেন এক-ব্যক্তি কোম্পানি গঠন নগণ্য

ছোট ব্যবসা গঠন করার সময় একজন উদ্যোক্তা তার সম্পদের সুরক্ষার সুবিধার পেতে চাইলে এক ব্যক্তি কোম্পানি (ওপিসি) হিসেবে নিবন্ধন নিতে পারেন। কারণ বৃহৎ কর্পোরেশনের মতোই ওপিসিরি দায় থাকে সীমিত, অন্যদিকে একক মালিকানার ব্যবসায় দায় থাকে সীমাহীন। এই সীমিত দায়সহ অন্যান্য সুবিধা থাকার পরও তেমন কেউ ওপিসি গঠনে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ২০২০ সালে সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও সহজে কোম্পানি খুলে ব্যবসা করার জন্য কোম্পানি আইন সংশোধন করে এক ব্যক্তি কোম্পানি (ওপিসি) খোলার অনুমতি দেয়। পরে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে করমুক্তিও দেয়। কিন্তু তারপরও এক ব্যক্তি কোম্পানি খোলার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তেমন সাড়া দেখা যায়নি।
এক ব্যক্তি কোম্পানি হলো এমন প্রতিষ্ঠান যেখানে একজন ব্যক্তিই শেয়ারহোল্ডার থাকেন, এর নমিনিও থাকেন একজনই। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড্

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশের এগারো জনের দলে এগারো সমস্যা

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল গত ১৫ বছরে ছয়টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে মাত্র একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে। চলতি বছর দলটি ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলে ১১টিতেই হেরেছে।জয় যে চারটিতে পেয়েছে তারা কেউই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের ওপরের দল নয়।এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়, যে দেশে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কখনোই কোনও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেনি। বিশ্বকাপের সেরা আট দল বাছাইয়ের সময় বাংলাদেশ র‍্যাংকিংয়ে আট নম্বরে থাকায় সরাসরি সুপার টুয়েলভ পর্বে খেলবে দলটি। বাংলাদেশের গ্রুপে আছে ভারত-পাকিস্তানের মতো দল, এছাড়া আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, যাদের শক্তিশালী ফাস্ট বোলিং লাইন আপ আছে।
বাংলাদেশ দল এখন যে অবস্থায় আছে তাতে করে শক্তিমত্তার জায়গা খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

বাস্তবায়ন নেই সড়ক পরিবহন বিধিমালার
দিবস যায় দিবস আসে নিরাপদ হয় না সড়ক
সড়কে মৃত্যু যেন এক বিভীষিকা। আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণও থামিয়ে দেয় জীবন। প্রতিবছর দেশে গড়ে চার-পাঁচ হাজার বা এর চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় সড়কে। আহত হওয়ার সংখ্যাও কম নয়। সড়কে কোনো শিক্ষার্থীর প্রাণ ঝরলে কেবল সড়ক নিরাপদ করার আন্দোলন গতি পায়। চলে কর্তৃপক্ষের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস ও আশার ফুলঝুরি। তারপর স্তিমিত হয়ে যায় সব। দিবস এলেও তা পোশাকি পালনের মধ্যেই থাকে সীমাবদ্ধ । আদতে সড়ক থেকে যাচ্ছে সেই অনিরাপদ।শনিবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। চলতি বছরদিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি।’ প্রতিপাদ্য ঠিক করলেও সড়ক পরিবহন আইনের দুর্বল দিক চিহ্নিত করে বিধিমালা বাস্তবায়ন নেই। ১৯৯৩ সালের ২২ অক্টোবর এক সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রীকে হারানোর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ শীর্ষক ওই আন্দোলন আরও গতি পেয়েছিল ২০১১ সালে ১৩ অগাস্ট সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীরের মৃত্যুতে। এরপর ২০১৭ সালের ৫ জুন মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ২২ অক্টোবরকে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।দিবস কেন্দ্র করে প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয় সরকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে। এর মধ্যেই ২০১৮ সালে ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে দুই কলেজ শিক্ষার্থী বাসের ধাক্কায় মারা যাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছিল দেশ। তখন সড়কে মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে আইন কঠোর করার পাশাপাশি নানান আশ্বাস দিয়ে ঘরে ফেরানো গেলেও আদতে পরের বছরগুলোতেও পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ২৪ হাজার। বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় জিডিপি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১ দশমিক ৬ শতাংশ। সূত্র: জাগো নিউজ

বাস, লঞ্চের পর বন্ধ করা হলো খুলনার রূপসা ও জেলখানা ঘাট

খুলনা নগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার রূপসা ঘাট ও জেলখানা ঘাটে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে শনিবার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য যাত্রী পারাপার বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলেও শুক্রবার রাত ৯টা থেকেই তা বন্ধ করে দেয় ঘাটমাঝি সংঘ।রূপসা ও জেলখানা খেয়াঘাটে ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে পারাপার করা হয়; দুটি খেয়াঘাটই রূপসা উপজেলার সঙ্গে যুক্ত।শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলখানা খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শুধু খুলনার দিক থেকে মানুষ পারাপার করা হচ্ছে। কিন্তু রূপসার দিক থেকে কোনো ট্রলারকে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। খুলনায় বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে ‘রাজনৈতিক চাপেই’ রূপসা ও জেলখানা ঘাটে যাত্রী পারাপার বন্ধ করা হয়েছে বলে দলের নেতারা অভিযোগ করলেও মাঝি সমিতির বলছে, ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে এ ধর্মঘট করছেন তারা। সূত্র: বিডি নিউজ