আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২২

দেশে ঘূর্ণিঝড়ে বছরে ক্ষতি ১০ হাজার কোটি টাকা

দেশে শুধু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বছরে গড় ক্ষতির পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলার, যা জিডিপির ০.৭ শতাংশ। প্রতি ডলার ১০০ টাকা মূল্যে এই ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় দশ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া শুধু বায়ুদূষণের ফলে বছরে জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ক্ষতি ৯ শতাংশ। একই সঙ্গে বাংলাদেশে ৩২ শতাংশ মৃত্যুই হচ্ছে পরিবেশদূষণের সঙ্গে সম্পর্কিত নানা কারণে।গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংকের ‘কান্ট্রি ক্লাইমেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্টে’ এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। মূলত বিশ্বব্যাংক সরকারের নানা সংস্থা থেকে এসব তথ্য-উপাত্ত নিয়ে গত এক বছর ধরে গবেষণা করে প্রতিবেদনটি দিয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

যশোরের টেকা নদী
সেতু নির্মাণের বাঁধে ‘মৃতপ্রায়’ নদী
২০০ ফুট প্রস্থের নদীর দুই পাশে বাঁধ দিয়ে মাঝখানে ২০ ফুটের মতো জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে। এতে পানিপ্রবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

সেতুর পিলারের (খুঁটি) ভিত (বেজমেন্ট) ঢালাইয়ের জন্য নদীর দুই পাশে দেওয়া হয়েছে আড়াআড়ি মাটির বাঁধ। মাঝখানে ২০ ফুটের মতো জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে। এতে ক্ষীণ ধারার পানিপ্রবাহও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ‘মৃতপ্রায়’ এ নদীর নাম টেকা। যশোরের অভয়নগর ও মনিরামপুর উপজেলার মাঝামাঝি টেকার ঘাট এলাকায় নদীটির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে গার্ডার সেতু।পরিবেশবাদী ও নদী রক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, সেতু নির্মাণের জন্য এভাবে বাঁধ দেওয়া নদী হত্যার শামিল। কারণ, পরে বাঁধ কেটে দেওয়া হলেও নিচে ভরাট হওয়ার কারণে নদীতে আর আগের পানিপ্রবাহ ফেরে না।সেতুটি নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। মনিরামপুরের এলজিইডি সূত্র জানায়, ৫১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ দশমিক ৭ মিটার প্রস্থের পুরোনো সেতু ভেঙে একই স্থানে নতুন সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এর দৈর্ঘ্য হবে ৯৬ মিটার ও প্রস্থ ৫ দশমিক ৫ মিটার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৫৭ লাখ ২৮ হাজার ৫০৭ টাকা। নির্মাণকাজ পেয়েছে যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড শামীম চাকলাদার (জেভি)। গত বছরের ১৩ অক্টোবর সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। আগামী বছরের ৭ মার্চ এর কাজ শেষ হওয়ার কথা। সূত্র: প্রথম আলো

রেমিট্যান্সের পতন অব্যাহত
বিদেশ যাওয়া পৌনে ৯ লাখ নতুন শ্রমিকের রেমিট্যান্স গেল কোথায়

কভিডসৃষ্ট দুর্যোগ কাটিয়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামী অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিয়েছেন ৮ লাখ ৭৪ হাজার শ্রমিক। সিংহভাগেরই গন্তব্য ছিল সৌদি আরব। সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, কুয়েত, সিঙ্গাপুরেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশী অভিবাসী হয়েছেন। শ্রমিকের সংখ্যার সঙ্গে প্রধান এসব শ্রমবাজার থেকে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়ার কথা। কিন্তু একেবারেই বিপরীত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের প্রধান শ্রমবাজার সৌদি আরব থেকে গত অর্থবছরে (২০২১-২২) রেমিট্যান্স প্রবাহ ২১ শতাংশ কমেছে। সে ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশটি থেকে আসা রেমিট্যান্স কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। অথচ চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশে অভিবাসী হয়েছেন ৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৫৩ বাংলাদেশী শ্রমিক। ২০২১ সালেও পাড়ি দিয়েছেন ৪ লাখ ৫৭ হাজার ২২৭ জন। সৌদি আরব ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের যে দেশগুলোয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাংলাদেশী শ্রমিক অভিবাসী হয়েছেন, তার সবক’টি থেকেই কমেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। গত অর্থবছরে ১৫ শতাংশ রেমিট্যান্স কমেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। একই সময়ে কুয়েত থেকে কমেছে ১০ দশমিক ৪৩, ওমান থেকে ৪১ দশমিক ৫৬ ও কাতার থেকে ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ রেমিট্যান্স আহরণ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার সিঙ্গাপুর থেকেও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে ৩৮ শতাংশের বেশি। চলতি অর্থবছরে সেই প্রবাহ আরো বেশি নিম্নমুখী। সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ১৭ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। অথচ আগের মাস আগস্টেও দেশটি থেকে ৩০ কোটি ডলার এসেছিল। আমিরাতের মতোই খারাপ পরিস্থিতি ওমান থেকে আসা রেমিট্যান্সের। সেপ্টেম্বরে কেবল ৪ কোটি ডলার এসেছে, যেখানে জুলাইয়েও এসেছিল প্রায় ৮ কোটি ডলার। সূত্র: বণিক বার্তা।

Nagad

কৃষ্ণসাগর চুক্তি থেকে রাশিয়া সরে যাওয়ায় ব্যাহত হবে বাংলাদেশের গম আমদানি

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে সরে গেছে রাশিয়া। এতে ইতোমধ্যেই নাজুক অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের গম ও গম থেকে তৈরি খাদ্যপণ্যের বাজারে বড় ধরনের সরবরাহ সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে সরকার আগের মতোই আশাবাদী অবস্থানে রয়েছে।ইউক্রেনের বন্দরগুলির ওপর মস্কো পুনরায় অবরোধ না দিলেও– গমের বিশ্ববাজারে ক্ষতি যা হওয়ার তা এরমধ্যেই হয়ে গেছে।খাদ্য আমদানিকারকরা বলছেন, রাশিয়ার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই অনিশ্চিত গমের বাজারকে আরও অনিশ্চিত করে তুলবে, দাম আরও বাড়বে এবং সরবরাহ কমবে।রাশিয়া চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার একদিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে টনপ্রতি গমের দাম ১০-১৫ ডলার পর্যন্ত বেড়ে গেছে। ফলে বাংলাদেশকে বিকল্প উৎসের দিকে ছুটতে হচ্ছে। কিন্তু, এই প্রচেষ্টা অতীতেও তেমন সুফল বয়ে আনেনি।খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. মাহবুবুর রহমান (বৈদেশিক ক্রয়) টিবিএসকে বলেন, ‘রাশিয়া থেকে ১ লাখ টন গম আমদানি হয়েছে(পূর্ব চুক্তির আওতায়); বাকি চালানও সময়মত আসবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে রপ্তানি চুক্তির পরও বেসরকারিভাবে খুব বেশি গম রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে আসেনি’। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ।

নিবন্ধন পেতে ৯৮ রাজনৈতিক দলের আবেদন
কার্যালয়-কার্যক্রম নেই অনেক দলের
কেউ কেউ কার্যালয় হিসাবে দেখিয়েছে চাকরিস্থল, চেম্বার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে * তালিকায় আছে পুরোনো দলও

রাজধানীর সেগুনবাগিচার তোপখানা রোড। বাড়ি নম্বর ২৭/৮। নিচ তলায় প্রিন্টিং প্রেস এবং দোতলায় কাজী অফিস ও একটি ট্রাভেল এজেন্সির কার্যালয়। তিন তলায় অফিসটি তালাবদ্ধ। ওই অফিসটি সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজিজ সরকারের ল’ চেম্বার। তিনি এ ভবনেরও মালিক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। এই ল’ চেম্বারটিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসাবে উল্লেখ করেছে ‘বাংলাদেশ জনমত পার্টি’। এটিকে সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় দেখিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধনও চেয়ে আবেদন করেছে দলটি। এতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কার্যালয় রয়েছে বলেও আবেদনে উল্লেখ করেছে। সরেজমিন পরিদর্শন ও অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে।
আরও জানা গেছে, শুধু ল’ চেম্বার নয়, মিউজিক প্রতিষ্ঠান, চাকরিস্থল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় দেখিয়ে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন চেয়েছে আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। অথচ ওইসব স্থানে রাজনৈতিক কোনো কার্যকলাপও পরিচালিত হয় না। বেশ কয়েকটি দল রয়েছে যেগুলোর দলীয় কার্যক্রম ও কার্যালয়ও নেই। সাম্প্রতিক সময়ে গড়া কয়েকটি দলও নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে। আবার এর বিপরীত চিত্রও রয়েছে। ন্যাপ (ভাসানী), বাংলাদেশ আওয়ামী পার্টি (ভাসানী ন্যাপ)সহ কয়েকটি পুরোনো রাজনৈতিক দলও নিবন্ধন চেয়েছে। নির্বাচন কমিশনের গতকাল দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধন পেতে এবার সর্বোচ্চ ৯৮টি রাজনৈতিক দল আবেদন করেছে। যদিও রোববার নির্বাচন কমিশন ৮০টি দল আবেদন জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছিল। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৭৬টি দল আবেদন করলেও ইসি একটিকেও নিবন্ধন দেয়নি। যদিও পরে আদালতের রায়ে দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৩৯। সূত্র: যুগান্তর।

রোহিঙ্গা শিবিরে কেন এত খুনোখুনি

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত সাড়ে পাঁচ বছরে খুন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৫ জন। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য- এ ক্যাম্প এখন পরিণত হয়েছে ‘যমপুরী’তে। আধিপত্য বিস্তার, গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণসহ ২৫ কারণে স্বজাতি নিধনে মেতেছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদেরই একটি অংশ। ফলে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এ মৃত্যুর মিছিলের রাশ টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রশাসনকে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, গোষ্ঠীগত আক্রোশ, এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে চলে যাওয়ার জের, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এসব খুন হয়েছে। এর সঙ্গে বেকারত্ব, হতাশা তো রয়েছেই। ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ চলছে।’ সাবেক কূটনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘাত-খুনোখুনির অসংখ্য কারণ রয়েছে। যার অন্যতম হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে রোহিঙ্গারা উগ্রজাতি। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্যাম্প সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’ কক্সবাজার জেলা পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ৩২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কমপক্ষে ১২৫টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। গত এক সপ্তাহেই খুন হয়েছেন ছয়জন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

ক্রিকট্র্যাকারের কথিত‌ প্রতিবেদন ও ফেসবুকে মাশরাফির আক্ষেপ

ভারতীয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকট্র্যাকারের কথিত বাংলাদেশের ‘শীর্ষ ধনী’ ক্রিকেটারের তালিকা নিয়ে আক্ষেপের কথা জানালেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা।এর আগ ফেসবুকে ভাইরাল হয় কথিত সংবাদটি, যেখানে বলা হয়েছে ৫১০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন মাশরাফি। অবশ্য ক্রিকট্র্যাকারে এখন আর প্রতিবেদনটি দেখা যাচ্ছে না।এই তালিকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হয়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মাশরাফি ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা সম্পদ আছে বলে হিসাব দেন। মাত্র ৪ বছরের ব্যবধানে থেকে ৫১০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হলেন কিভাবে এই সংসদ সদস্য। ‘টপ টেন রিচেস্ট বাংলাদেশ ক্রিকেটার্স’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি ২৩ অক্টোবর প্রকাশ করেছিল ক্রিকট্র্যাকার। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

বিশ্বজিৎ হত্যা: যাবজ্জীবনের আসামি ইউনুস ১০ বছর পর গ্রেপ্তার
পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব-২ জানায়, সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের কিল্লারপুল এলাকা থেকে খন্দকার মো. ইউনুছ আলী ওরফে ইউনুছকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে তারা।বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজার রায় মাথায় নিয়ে গত দশ বছর ধরে পলাতক জীবন কাটাচ্ছিলেন ইউনূস।২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধের মধ্যে সূত্রাপুরের বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়। সূত্র: বিডি নিউজ

‘রিজার্ভ পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক’
করোনা মহামারির মধ্যেই রিজার্ভে রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। মহামারি কাটতে না কাটতেই শুরু হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সংকটে পড়লো গোটা বিশ্ব। যার আঁচ এসে পড়লো আমাদের রিজার্ভেও। সরকার যে রিজার্ভ নিয়ে শঙ্কিত, তা সংশ্লিষ্টদের কথাতেও স্পষ্ট। রিজার্ভ নিয়ে আলোচনা করছেন প্রধানমন্ত্রীও। সরকার রিজার্ভ কমার জন্য বৈশ্বিক পরিস্থিতি আর উন্নয়ন ব্যয়কে দায়ী করলেও অন্য আলোচনাও আছে এই ইস্যুতে। ‘সংকট হতে পারে, তা নানা সূচকেই প্রকাশ পাচ্ছিল। রিজার্ভ পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। আমরা রিজার্ভ, রেমিটেন্সের মোহ কেটে যাবে বলে উল্লেখ করেছিলাম। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কথা আমলে নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয়নি।’
রিজার্ভ কমে আসা, সংকট উত্তরণে করণীয় প্রভৃতি প্রসঙ্গ নিয়ে জাগো নিউজের মুখোমুখি হন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। দু’জনই অধ্যাপনা করছেন বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে।মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম তার আলোচনায় বলেন, ‘আজকের যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তার জন্য আমরা আগে থেকেই সাবধান করে বক্তব্য দিয়ে আসছি। সংকট হতে পারে, তা নানা সূচকেই প্রকাশ পাচ্ছিল। রিজার্ভ পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। আমরা রিজার্ভ, রেমিট্যান্সের মোহ কেটে যাবে বলে উল্লেখ করেছিলাম। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কথা আমলে নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয়নি। বরং সরকার সমালোচনা গ্রহণ করতেও নারাজ।’ সূত্র: জাগো নিউজ

আসামে ১৭ বাংলাদেশিসহ ২৭ বিদেশি আটক

ভিসা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতের আসাম রাজ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত এক মাসে ২৭ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ১৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বাকিদের মধ্যে ৩ জন সুইডিশ ও ৭ জার্মান নাগরিক। দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।আসাম পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার বিশেষ মহাপরিচালক জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা পর্যটক ভিসা নিয়ে ভারতে এসে ধর্মীয় সভা সমিতিতে অংশ নেন। তবে তারা কেউ ধর্মান্তরকরণে অংশ নিয়েছিলেন কি না সে বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো প্রমাণ এখনো পর্যন্ত নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।এদিকে, পর্যটক ভিসা নিয়ে ভারতে এসে আসামে মাদ্রাসার কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে রাজ্যের পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় সভা সমিতিতেও অংশ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে-সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন